বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রধানমন্ত্রীর সময় শেষ, তাই তাড়াহুড়া করে মেট্রোরেল উদ্বোধন: দুদু

  •    
  • ২৮ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৫:২৩

‘প্রধানমন্ত্রী আপনি বুঝতে পেরেছেন আর সময় বেশি নাই আপনাকে চলে যেতে হবে। ক্ষমতা থেকে চলে যেতে হবে। আজ আপনি মেট্রোরেল উদ্বোধন করছেন। যে মেট্রোরেলের রাস্তা হচ্ছে ৫১ কিলোমিটার। ৫১কিলোমিটার এর কাজ শেষ করার পরে আপনি উদ্বোধন করবেন এটাই ছিল স্বাভাবিক। কিন্তু ১০ থেকে ১১ কিলোমিটার হওয়ার পরে আপনি উদ্বোধন করছেন। তাহলে কি আমরা বুঝে নেব ৫১ কিলোমিটার এর কাজ শেষ করার সময় আপনার নাই? এইজন্য কি তাড়াহুড়া করে মেট্রোরেল উদ্বোধন করছেন?’

মেট্রোরেলের রুটের অর্ধেক ঘটা করে উদ্বোধন করা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির একজন জ্যেষ্ঠ নেতা। তার দাবি, প্রধানমন্ত্রীর সময় শেষ হয়ে এসেছে। তাই তিনি অর্ধেক রুটেই যাত্রী পারাপার উদ্বোধন করেছেন।

বুধবার সরকার প্রধান উত্তরারা দিয়াবাড়ী থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত দেশের প্রথম মেট্রোরেল উদ্বোধনের দিন জাতীয় প্রেস ক্লাবে একটি মানববন্ধনে বক্তব্য রাখছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। এ সময় তিনি এ কথা বলেন।

ঢাকায় মোট ছয়টি রুটে মেট্রোরেল চায় সরকার। এর মধ্যে প্রথমটি হলো দিয়াবাড়ী থেকে কমলাপুর। পুরো রুট চালু হবে ২০২৫ সালে। তবে মতিঝিল পর্যন্ত ভায়াডাক্ট হয়ে গেছে। আগারগাঁ থেকে বাকি অংশের বাকি কাজ চলছে এখন। মতিঝিল পর্যন্ত লাইনে ট্রেন চলবে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে।উত্তরা থেকে মতিঝিলের দূরত্ব প্রায় ২১ কিলোমিটার। তবে দুদু একে ৫১ কিলোমিটার উল্লেখ করেই রাখেন বক্তব্য।

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আপনি বুঝতে পেরেছেন আর সময় বেশি নাই আপনাকে চলে যেতে হবে। ক্ষমতা থেকে চলে যেতে হবে। আজ আপনি মেট্রোরেল উদ্বোধন করছেন। যে মেট্রোরেলের রাস্তা হচ্ছে ৫১ কিলোমিটার। ৫১কিলোমিটার এর কাজ শেষ করার পরে আপনি উদ্বোধন করবেন এটাই ছিল স্বাভাবিক। কিন্তু ১০ থেকে ১১ কিলোমিটার হওয়ার পরে আপনি উদ্বোধন করছেন। তাহলে কি আমরা বুঝে নেব ৫১ কিলোমিটার এর কাজ শেষ করার সময় আপনার নাই? এইজন্য কি তাড়াহুড়া করে মেট্রোরেল উদ্বোধন করছেন?’

২০২৩ সালেই সরকারের পতনের ভবিষ্যদ্বাণী করেন বিএনপি নেতা। তিনি বলেন, ‘আর ৩-৪ দিন পরে নতুন বছর আসছে। আমি নিশ্চিত নতুন বছর হবে নতুন সরকারের বিজয় বার্তা। আল্লাহ ছাড়া কোনো শক্তি নাই এই অবধারিত বিজয়কে কেউ বাধা দেয়।’

দেশে গণতন্ত্র নেই দাবি করে তিনি আরও বলেন, ‘যত অন্যায়কারী জুলুমবাজ গত দুই শ বছরে বাঙালিদের উত্ত্যক্ত করেছে, তারা ক্ষমতায় থাকতে পারে নাই। এখনও সময় আছে গণতন্ত্র ফেরত দেন, পদত্যাগ করুন। তা না হলে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আপনাকে বিদায় করা হবে।’

দুদু বলেন, ‘এই সরকারের ভাত দেয়ার ক্ষমতা নাই, চাকরি দেয়ার ক্ষমতা নাই, কিল দেয়ার গোসাই। এই সরকারের লোকজন সব ব্যাংক থেকে টাকা লুটপাট করে ব্যাংকগুলোকে ফোকলা বানিয়ে দিয়েছে।

‘বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশ এ সরকারের বিপক্ষে। আমেরিকা ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাদের বিপক্ষে। কোন দেশের রাষ্ট্রদূত কারও বাড়িতে গেলে অপমান অপদস্থ হতে হয়। এ কেমন দেশে বাস করছি আমরা!’

বিএনপির ১০ দফা নিয়ে তিনি বলেন, ‘সেই দাবিগুলো বাস্তবায়ন হলে রাষ্ট্র মেরামতের ২৭ টি পয়েন্টের কথা বলেছি সেগুলো বাস্তবায়ন করব। আমরা ২৪ তারিখে প্রোগ্রাম করতে চেয়েছিলাম আপনাদের অনুরোধে ৩০ তারিখ করছি। এরই মধ্যে আপনারা নেতা-কর্মীদেরকে গ্রেপ্তার শুরু করেছেন। ইতিমধ্যে একজন শহীদ হয়েছে। এইভাবে আপনি ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না। এটা মুক্তিযুদ্ধের জাতি।’

দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন নামে একটি সংগঠন দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে এই মানববন্ধনের আয়োজন করে আয়োজন সংগঠনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব।

এ বিভাগের আরো খবর