বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিদেশিরা কাউকে ক্ষমতায় বসাবে না: কাদের

  •    
  • ২৬ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৫:৪১

কাদের বলেন, ‘বিদেশিরা কাউকে ক্ষমতায় বসাবে না। ক্ষমতায় বসাবে বাংলাদেশের জনগণ। বিদেশি দূতাবাসের যারা কথা বলেন আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে, জেনেভা কনভেনশনে একটা নীতি আছে, তার বাইরে তাদের যাওয়া উচিত না। আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় আমরাই সমাধান করব।’

বিদেশিরা কাউকে ক্ষমতায় বসাবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় আমরাই সমাধান করব।’

দেশের রাজনীতি নিয়ে কূটনীতিকদের মন্তব্যের বিষয়ে সচিবালয়ে সোমবার নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে ঢাকায় দুই পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মুখোমুখি অবস্থান নেয়। যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার ঢাকা দূতাবাস দেয় বিবৃতি ও পাল্টা বিবৃতি।

এ বিষয়ে কাদের বলেন, ‘বিদেশিরা কাউকে ক্ষমতায় বসাবে না। ক্ষমতায় বসাবে বাংলাদেশের জনগণ। বিদেশি দূতাবাসের যারা কথা বলেন আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে, জেনেভা কনভেনশনে একটা নীতি আছে, তার বাইরে তাদের যাওয়া উচিত না। আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় আমরাই সমাধান করব।’

বিএনপির আন্দোলন ঘিরে যেকোনো বিশৃঙ্খলা মোকাবিলায় আওয়াামী লীগ সতর্ক থাকবে বলেও জানান কাদের। বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের কর্মসূচি ঘিরে আগে ব্যাপক সহিংসতা হয়েছে, আবারও এর পুনরাবৃত্তি হলে আওয়ামী লীগ কী করবে জানতে চাইলে কাদের বলেন, ‘আমরা সতর্ক পাহারায় থাকব পার্টি হিসেবে। আমরা উসকানি দিতে পারি না, অশান্তির উসকানি আমরা দিতে পারি না।

‘তবে কেউ যদি বিশৃঙ্খলা করে, আগুন সন্ত্রাস করে এবং জনজীবনে অশান্তি-দুর্ভোগের কারণ সৃষ্টি করে, সে অবস্থায় উদ্ভূত পরিস্থিতি বলে দেবে কীভাবে আমরা মোকাবিলা করব। যদি তারা অপকর্ম করে সেটার জবাব তো শান্তিপূর্ণভাবে করা যাবে না। সেখানে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা আছে। তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব আছে এবং তারা সেই পরিস্থিতি মোকাবিলা করবে।’

বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের কর্মসূচি নিয়ে কাদের বলেন, সবাই তো ভেবেছিল বিদেশিরাও আশঙ্কা করেছিল ১০ তারিখ মনে হয় এখানে একটা কারবালার রোল পড়ে যাবে এবং এখানে একটা ধ্বংসলীলা দেখতে পাওয়া যাবে, কিন্তু সেটা কী হয়েছে? দুই দিন আগে সচিবালয়ে আমি বলেছিলাম, আমাদের আকাশে মেঘ ঘনীভূত হয় আবার এই মেঘ কেটেও যায়। কী হয়েছে? এগুলো হবে আবার একসময় শান্তিও আসবে। এ দেশটা আমাদের সবার। এ দেশ তো আওয়ামী লীগের একার নয়, সবার দেশ যারা এ দেশে বাস করেন। কাজেই আমাদের এখানে গণতন্ত্রটা শক্তিশালী হোক, আমরা আবারও চাই।’

প্রেক্ষাপট

ঘটনার সূত্রপাত ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে। সেদিন ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ১৩ বছর আগে নিখোঁজ বিএনপির এক নেতার বাসায় যান। বিশেষজ্ঞরা এই ঘটনাকে পিটার হাসের বাংলাদেশে বিভাজনের রাজনীতিতে প্রবেশ হিসেবে দেখছেন।

এ সফরের সময় সেখানে পিটার হাসের কাছে স্মারকলিপি দিতে যান জিয়াউর রহমানের আমলে সশস্ত্র বাহিনীতে হত্যা ও নিখোঁজের শিকার পরিবারের সদস্যদের সংগঠন ‘মায়ের কান্না’র সদস্যরা। এতে পিটার হাস সেখানে তার অবস্থান সংক্ষিপ্ত করেন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে ঘটনার বিবরণ দিয়ে নিরাপত্তার শঙ্কার কথা জানান।

পরের দিন ১৫ ডিসেম্বর ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরানকে তলব করে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট। জানানো হয় ঢাকায় পিটার হাসের নিরাপত্তা উদ্বেগের কথা। বাংলাদেশের পক্ষ থেকেও রাষ্ট্রদূত ঢাকার অবস্থান ও সেদিনকার ঘটনার ব্যাখ্যা দেন।

এদিকে গত মঙ্গলবার ঢাকার রুশ দূতাবাস তাদের ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে জানায়, ‘রাশিয়া অন্য কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার নীতিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাংলাদেশের মতো যে দেশগুলো বিদেশি শক্তির নেতৃত্ব অনুসরণ না করে জাতীয় স্বার্থ বিবেচনায় বৈদেশিক ও অভ্যন্তরীণ নীতি গ্রহণ করে, সে দেশগুলোর প্রতি রাশিয়া পুরোপুরি সমর্থন জানায়।’

রুশ দূতাবাসের এই বিবৃতি প্রকাশের পরদিন পাল্টা অবস্থান প্রকাশ করে ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস। এক টুইট বার্তায় দূতাবাস ইউক্রেনে রুশ আক্রমণের প্রসঙ্গ টেনে আনে।

রাশিয়ার ওই বিবৃতি নিয়ে দ্য ডেইলি স্টারে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন শেয়ার করে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের টুইট বার্তায় লেখা হয়, ‘ইউক্রেনের ক্ষেত্রে কি এই নীতি মানা হয়েছে?’

এ বিভাগের আরো খবর