প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে সপরিবারে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর-উত্তম।
গণভবনে শুক্রবার সন্ধ্যায় এই সাক্ষাৎ করেন তিনি।
আওয়ামী লীগের ২২তম সম্মেলনের ঠিক আগের দিন এবং জাতীয় নির্বাচনের আগে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর এ সাক্ষাৎ রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন মেরুকরণ তৈরি হয়েছে।
অবশ্য প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেসসচিব শাখাওয়াত মুন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সৌজন্য সাক্ষাতে তারা পরস্পরের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেছেন। একে অপরের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে পাঠানো ছবিতে দেখা গেছে, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী ও তার স্ত্রী নাসরিন সিদ্দিকীসহ পরিবারের আরও দুই তরুণী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। দুই তরুণীর পরিচয় অবশ্য জানা যায়নি।
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাঘা সিদ্দিকী নামে পরিচিত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সমরনায়ক তিনি। ভারতীয় মিত্র বাহিনীর সাহায্য ছাড়াই ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে ঢাকা আক্রমণের প্রস্তুতি শেষ করেছিলেন। তাকে বঙ্গবীর নামেও ডাকা হয়।
মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম কাদেরিয়া বাহিনী তার নেতৃত্বে গঠিত ও পরিচালিত হয়েছিল।
মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য তাকে বীর-উত্তম খেতাবে ভূষিত করা হয়। তার নামে সখিপুরে ‘কাদেরনগর’ গ্রামের নামকরণ করা হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধ-পূর্ব ও পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত থাকলেও ১৯৯৯ সালে তিনি আওয়ামী লীগ ত্যাগ করেন এবং কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ নামে রাজনৈতিক দল গঠন করেন। তিনি এই দলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি।