বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আওয়ামী লীগের সম্মেলনে মেগা প্রকল্পের ছাপ

  •    
  • ২৩ ডিসেম্বর, ২০২২ ২১:০১

‘এই প্রকল্পগুলো আওয়ামী লীগের শাসনামলের সার্থকতা। কেউ কখনও ভাবেনি এতগুলো কাজ হবে দেশে। এগুলো শেখ হাসিনা করেছেন। তাই সম্মেলনে আমরা সেগুলোকে বিশেষভাবে তুলে ধরছি।’

আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব বাছাইয়ে দলের জাতীয় সম্মেলনে দলটির নেতৃত্বাধীন সরকারের মেগাপ্রকল্পগুলোর ছাপ থাকছে।

সম্মেলনের মঞ্চ গড়া হয়েছে দলটির নির্বাচনি প্রতীক নৌকার আদলে। তবে তাতে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র, কর্ণফুলী টানেলসহ মেগা প্রকল্পগুলোর উপস্থিতিও থাকছে।

শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শুরু হবে সম্মেলন। জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে শুরু হবে আনুষ্ঠানিকতা। জাতীয় পতাকা তুলবেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা, দলের পতাকা থাকবে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের হাতে।

এরপর তারা যাবেন মঞ্চে। সেখানে থাকবে ১২০টি চেয়ার। সারি থাকবে চারটি। প্রথম সারিতে সভাপতি শেখ হাসিনা এবং সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বসবেন।

দ্বিতীয় সারিতে বসবেন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, জ্যেষ্ঠ নেতা ও সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যরা। বাকি দুই সারিতে বসবেন অন্য নেতারা।

নেতারা মঞ্চে উঠলে শুরু হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এরপর শোক প্রস্তাব উত্থাপন করবেন দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া। সাধারণ সম্পাদকের প্রতিবেদন উপস্থাপন করবেন ওবায়দুল কাদের। স্বাগত বক্তব্য রাখবেন অভ্যর্থনা কমিটির আহ্বায়ক শেখ ফজলুল করিম সেলিম।

সভাপতি শেখ হাসিনার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শেষ হবে। পরে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে শুরু হবে কাউন্সিল অধিবেশন। সেখানেই দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করা হবে।

নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইউসূফ হোসেন হুমায়ুনের নেতৃত্বে গঠন করা হয়েছে তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশন। এই কমিশন শীর্ষ নেতৃত্ব নির্বাচনের পর কাউন্সিলরদের মতামতের আলোকে হবে ৮১ সদস্যের কার্যনির্বাহী কমিটি।

এবারের জাতীয় সম্মেলনে সারাদেশ থেকে প্রায় ৭ হাজার কাউন্সিলর অংশ নেবে। এরই মধ্যে বেশিরভাগ ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন। সম্মেলনকে ঘিরে প্রায় এক লাখ নেতা-কর্মী এতে আসবেন বলেও জানিয়েছে ক্ষমতাসীন দল।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সম্মেলন উপলক্ষ্যে গঠিত অর্থ-উপ কমিটির আহ্বায়ক কাজী জাফর উল্লাহ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মঞ্চ নির্মিত হয়েছে নৌকা এবং পদ্মা সেতুর আদলে। এ মঞ্চে মেট্রোরেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও বঙ্গবন্ধু কর্ণফুলী টানেলসহ মেগাপ্রকল্পগুলোর ছাপ থাকবে। ‘এল’ সেপে নির্মিত মঞ্চে আছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, চার জাতীয় নেতা, সজিব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের ছবি।’তিনি বলেন, ‘এই প্রকল্পগুলো আওয়ামী লীগের শাসনামলের সার্থকতা। কেউ কখনও ভাবেনি এতগুলো কাজ হবে দেশে। এগুলো শেখ হাসিনা করেছেন। তাই সম্মেলনে আমরা সেগুলোকে বিশেষভাবে তুলে ধরছি।’

সম্মেলনের মঞ্চ ও সাজসজ্জা উপকমিটির আহবায়ক ও সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক জানান, মঞ্চের আয়তন ৮০ ফুট বনাম ৪৪ ফুট। উচ্চতা ৭ ফুট। মূল মঞ্চে চার ভাগে সাজানো হবে চেয়ার। থাকবে পর্যাপ্ত এলইডি মনিটর, যেখানে সম্মেলনের কার্যক্রম দেখা যাবে।

‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ শ্লোগান নিয়ে এবং ২০৪১ সাল নাগাদ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অঙ্গীকারে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের এবারের সম্মেলন। এবারই প্রথম দলটির সম্মেলন উপলক্ষে তৈরি করা হয়েছে থিম সং। দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার পরিকল্পনায় গানটির সুর ও সংগীত পরিচালনা করেছেন পাভেল আরিন।

সম্মেলনে এবার ঢাকায় বিভিন্ন রাষ্ট্রদূতদের আমন্ত্রণ জানানো হলেও বিদেশের কোনো রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে না। আমন্ত্রিতদের মাঝে দাওয়াতপত্র বিতরণ, গঠনতন্ত্র সংযোজন, বিয়োজন, ঘোষণাপত্র পরিমার্জন, মঞ্চ সাজসজ্জাসহ আনুষঙ্গিক সব কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। গঠনতন্ত্র ও ঘোষণাপত্র ছাপানো হয়েছে।

এবারের সম্মেলনের বাজেট শুরুতে তিন কোটি ৪৩ লাখ টাকা করা হলেও পরে ৩০ লাখ কমিয়ে তিন কোটি ১৩ লাখে নামিয়ে আনা হয়।

সভাপতির কার্যালয় সরগরম

সম্মেলনের আগের দিন দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির কার্যালয় নেতাকর্মীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ছিল। গত কয়েক দিনে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দলের এমপি, মন্ত্রী, জেলা নেতারও ভিড় করছেন সেখানে।

২০১৯ সালের ২০ ও ২১ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের সবশেষ জাতীয় সম্মেলন হয়। এতে সভাপতি পদে নবমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচিত হন। তার সঙ্গে দ্বিতীয়বারের মতো সাধারণ সম্পাদক হন ওবায়দুল কাদের।

এ বিভাগের আরো খবর