বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

২০০১-এর নির্বাচন ছিল গভীর চক্রান্ত: প্রধানমন্ত্রী

  •    
  • ২২ ডিসেম্বর, ২০২২ ২২:০৬

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির রাজনৈতিক ধারাবাহিকতা অগণতান্ত্রিক ও অবৈধ। জেনারেলের পকেট থেকে দলটির জন্ম, মাটি ও মানুষ থেকে এদের জন্ম হয়নি। এরা সব সময় মানুষের ভোটের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে। এ দলটি সরকারে থাকার সময় দুর্নীতিই হয়ে উঠেছিল এদের মূলনীতি।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০০১-এর নির্বাচন ছিল গভীর চক্রান্ত। জনগণের ভোট আওয়ামী লীগ পেয়েছিল কিন্তু ক্ষমতায় বসতে পারেনি। ক্ষমতায় বসানো হয় বিএনপি-জামায়াতকে। তখন জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও লুটপাট মিলে দেশে কালো অধ্যায় শুরু হয়।

আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকের শুরুতে বৃহস্পতিবার তিনি এসব কথা বলেন।

সরকারি বাসভবন গণভবনে চলমান এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করছেন দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির রাজনৈতিক ধারাবাহিকতা অগণতান্ত্রিক ও অবৈধ। জেনারেলের পকেট থেকে দলটির জন্ম, মাটি ও মানুষ থেকে এদের জন্ম হয়নি। এরা সব সময় মানুষের ভোটের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে। এ দলটি সরকারে থাকার সময় দুর্নীতিই হয়ে উঠেছিল এদের মূলনীতি।

আর যখন আওয়ামী লীগ সরকারে এসেছে তখনই মানুষের জীবনমান উন্নত হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার নিজেকে জনগনের সেবক মনে করে এবং সেটাই করে যাচ্ছে।’

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘২০০৮ সালের নির্বাচন নিয়ে কারো কোনও অভিযোগ ছিল না। সে সময় বিএনপির সব পছন্দের লোকই ক্ষমতায় ছিল। এতোকিছুর পরও যে দল ৩১ টি আসন পায়, সে দল জনগনের ভোটে ক্ষমতায় আসবে- এটা বিএনপির নেতারা কিভাবে মনে করেন। এর আগে ২০০১ ও ২০০৬ সালে বিএনপি ভোটের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে।

‘যে দলের নেতারা বিদেশে টাকা পাচারের জন্য শাস্তি পাওয়া, গ্রেনেড হামলায় শাস্তি পাওয়া তারাই আবার টাকা পাচার নিয়ে কথা বলে। যে দলের নেতারা গ্রেনেড হামলায় সাজাপ্রাপ্ত, ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালান, মানিলন্ডারিংয়ে জড়িত, জনগণের ভোটে সেই দল ক্ষমতায় যাবে তা ভাবাই যায় না।’

তিনি বলেন, ‘মুচলেকা দিয়ে দেশ ছেড়ে এখন বিদেশে বসে একজন দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছে। পাচার করা টাকায় দেশের বিরুদ্ধে বদনাম করা তার কাজ। বিদেশে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা তার একমাত্র কাজ।’

সরকার প্রধান বলেন, ‘দেশের কিছু ‘বুদ্ধিজীবী প্রতিবন্ধী’ জামা কাপড় ইস্ত্রি করে বসেই থাকেন, অগনতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থার জন্য। যারা উন্নয়ন চোখে দেখে না, তারা বুদ্ধিজীবী প্রতিবন্ধী। তারা আওয়ামী লীগ সরকারকে হটাতে চায়। কারণ অগনতান্ত্রিক সরকার আসলে তাদের কদর বাড়ে। অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে তাদের মূল্য বাড়ে। গণতান্ত্রিক ধারায় দেশ চললে তাদের হতাশা লাগে।

‘নির্বাচিত সরকার হটিয়ে অনির্বাচিত কাউকে ক্ষমতায় আনলে দেশের ভালো হবে না। বুদ্ধিজীবীদের জ্ঞান বুদ্ধিকে দেশের কল্যাণে কাজে লাগানোর আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।’

একটি মহল আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিতে চক্রান্তে ব্যস্ত বলে অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী। তাদেরকে ‘বুদ্ধিজীবী প্রতিবন্ধী’ অ্যাখ্যা দিয়ে শেখা হাসিনা বলেন, ‘এরা আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে হটাতে চায়। নির্বাচন আসলে তাদের ষড়যন্ত্র বেড়ে যায়।

‘আমাদের কিছু বুদ্ধিজীবী আছে যারা বুদ্ধি বেচে জীবিকা নির্বাহ করে। সেই বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে কিছু কিছু আবার আছে যারা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী... বুদ্ধিজীবী প্রতিবন্ধী। এই বুদ্ধিজীবীরা আসলে প্রতিবন্ধী। কারণ তারা কোনো উন্নয়নই দেখেনা। কীভাবে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে হটানো যায় সেই চক্রান্তে তারা ব্যস্ত।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের এই ব্যস্ততার কারণ একটাই। যখন কোনো অস্বাভাবিক পরিস্থিতি থাকে, তখন হয় মার্শাল ল কিংবা ওই যে ইয়াজউদ্দিন, মইনুদ্দিন, ফখরুদ্দিন ওই রকম সরকার আসে।

‘অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে তাদের মূল্য খুব বেড়ে যায়। কারণ যারা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল অথবা মার্শাল ল দিয়ে ক্ষমতায় আসে তারা তো জনগণের সমর্থন পায় না। তখন ওই বুদ্ধিজীবীরা দাঁড়িয়ে পড়ে। ওই যে লেখা থাকে না ইউজ মি মানে আমাকে ব্যবহার করুন... তো ওনারা ওইরকম জামাকাপড় ইস্ত্রি করে রেডি হয়ে বলেন ইউজ মি... আমাকে ব্যবহার করেন এবং উনারা ব্যবহারই হন। যখন গণতন্ত্র আসে, গণতান্ত্রিক ধারায় দেশ চলে তখন তারা নিজেদের খুব অসহায় মনে করে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি তাদের একটা কথা বলতে চাই... তারা তাদের জ্ঞান-বুদ্ধিটা দেশের কল্যাণে কাজে লাগাক, অকল্যাণকর কাজের জন্য কেন তারা নিজেদের জ্ঞান খরচ করে?

‘আমরা দেশের উন্নয়ন করছি, সেটা একটু চোখ খুলে দেখুক। আরও ভালো কাজ কীভাবে করা যায় সেই পরামর্শটা দিক। নির্বাচিত সরকার হটিয়ে অনির্বাচিত কাউকে আনা যায় কি না... ওই চক্রান্ত করে দেশের কোন ভালো কাজটা হবে? এটা আমার প্রশ্ন।’

শেখ হাসিনার উদ্বোধনী বক্তব্যের পর মুল বৈঠক শুরু হয়।

কার্যনির্বাহী সংসদের এ বৈঠক সম্মেলনের দিন প্রথম অধিবেশন পর্যন্ত মুলতবি করা হতে পারে।

এ বিভাগের আরো খবর