বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অংশগ্রহণমূলক না হলে নির্বাচন অর্থহীন: আবু হেনা

  •    
  • ২১ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৯:৩৯

মোহাম্মাদ আবু হেনা বলেন, ‘নির্বাচন অর্থহীন, যদি সে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক না হয়। যদি কমপেটিটিভ না হয়, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ যদি না হয়; সে নির্বাচন কিন্তু নির্বাচন নয়। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে গেলে সবার আস্থা অর্জন করতে হবে । সেই আস্থার ভিত্তিতেই আমি (নির্বাচন কমিশন) সবাইকে নিয়ে আসতে পারবো। এই কাজটি খুবই প্রয়োজন।’

দেশে কোনো নির্বাচনে যদি সব দলের অংশগ্রহণ না থাকে তাহলে সে নির্বাচন অর্থহীন বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) মোহাম্মাদ আবু হেনা। নির্বাচন যদি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ না হয় সে নির্বাচনকে নির্বাচন বলতে নারাজ তিনি।

বুধবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ডেইলি স্টার ভবনে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন সাবেক এই প্রধান নির্বাচন কমিশনার।

অনুষ্ঠানে ‘দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীদের তথ্যবলি’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। সুজনের পাশাপাশি আগামী প্রকাশনী যৌথভাবে এ আয়োজন করে।

১৯৯৬ সালে সপ্তম জাতীয় নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করা মোহাম্মাদ আবু হেনা বলেন, ‘নির্বাচন অর্থহীন, যদি সে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক না হয়। যদি কমপেটিটিভ না হয়, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ যদি না হয়; সে নির্বাচন কিন্তু নির্বাচন নয়।

‘অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে গেলে সবার আস্থা অর্জন করতে হবে । সেই আস্থার ভিত্তিতেই আমি (নির্বাচন কমিশন) সবাইকে নিয়ে আসতে পারবো। এই কাজটি খুবই প্রয়োজন।’

নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক করতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি নির্বাচন কমিশনকে আহ্বান করতে হবে জানিয়ে সাবেক এই সিইসি বলেন, ‘আপনাকে (নির্বাচন কমিশনকে) আহ্বান করতে হবে। আস্থা অর্জন করতে হবে। টোটালি নিউট্রাল হতে হবে। কাজের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে আপনি নিউট্রাল আপরি ফেয়ার।’

নির্বাচন কমিশনকে সবাইকে নিয়ে নির্বাচন করতে হবে বলে মনে করেন তিনি। বলেন, ‘সবাইকে নিয়ে নির্বাচন, এটাই তো সুষ্ঠু। নির্বাচন কমিশন তাদের দাওয়াত দিতে পারে। ব্যক্তিগতভাবে কথা বলতে পারে। আমি অনেকের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। কাউকে ফেলে দিতে পারেন না। তাদের কাছে ডাকতে হবে ।’

১৯৯৬ সালর ১২ জুনের ভোট উৎসবে পরিণত হয়েছিল জানিয়ে সাবেক সিইসি আবু হেনা বলেন, ‘একেবারে উৎসব। মেয়েরা নতুন শাড়ি পরে ভোট দিতে গেছে। এটাই হচ্ছে আসল নির্বাচন। উৎসবমুখর। আমার ভোট আমি দেবো যাকে খুশি তাকে দেবো। এইটা আমরা সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছিলাম। উই সাকসিডেড।’

বর্তমান নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এখন থেকে এই কাজটা শুরু করা দরকার। শুধু বলবো আপনারা আসেন, এটা বললে চলবে না। আপনার কাজের মাধ্যমে আস্থা সৃষ্টি করতে হবে। সবাইকে বিস্ময়ভাবে দেখাতে হবে ইলেকশন কমিশন নিউট্রাল। নিউট্রালিটি ইলেকশন কমিশনের বড় চরিত্র। ’

এ বিভাগের আরো খবর