রাষ্ট্রকে মেরামত করতে বিএনপি যে রূপরেখা দিয়েছে তাকে হাস্যকর আখ্যা দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ড স্টান্টবাজি।
রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে মঙ্গলবার দলের খাদ্য উপকমিটির সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সরকার পতনের যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে সোমবার রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ২৭ দফা রূপরেখা ঘোষণা করে বিএনপি।
এতে বলা হয়, “প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধের রাজনীতির বিপরীতে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ‘রেইনবো নেশন’ (বহু বর্ণ-ধর্ম মিলিয়ে জাতি) প্রতিষ্ঠা করা হবে। এ জন্য করা হবে একটি ‘জাতীয় রিকনসিলিয়েশন কমিশন’।”
এ ছাড়া বেকার ভাতা চালু, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী নির্ধারণ, শ্রমজীবীদের ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত করার মতো উদ্যোগের কথা উঠে আসে দফাগুলোতে।
ওই রূপরেখার সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যদি নদীতে ফেলে দেন, ক্ষমতায় না আসলে নদীতে ভেসে যাবে। রাষ্ট্রকে তারা মেরামত করবে?’
২৭ দফা নিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘তারা ধ্বংস করছে। তারা মেরামত করতে কীভাবে? এটা একটা স্টান্টবাজি।’
বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “তারা মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ ধ্বংস করেছে। তাদের হাতে রক্তের দাগ। খুনিদের পুরষ্কৃত করেছে; সাংবাদিকদের রক্তের হাতও তাদের হাতে।
“তারা ভোট চুরি করেছে। তারা নির্বাচনে জালিয়াতি করেছে; প্রহসন মার্কা নির্বাচন তারাই করেছে। ‘ইয়েস, নো’ ভোট করেছিল। কোথাও কোথাও ১৩০ শতাংশ ইয়েস ভোট পড়েছে। এখন তাদের লোকেরা ক্ষমতার লোভে আবার মাঠে নেমেছে, কিন্তু সাধারণ মানুষকে তারা আজও মাঠে নামাতে পারেনি।”
বিএনপিকে জনগণ বিশ্বাস করে না দাবি করে কাদের বলেন, সাধারণ মানুষ আজও আওয়ামী লীগকে চায়, আওয়ামী লীগের উন্নয়ন চায়।
তিনি বলেন, ‘মানুষ শেখ হাসিনাকে বিশ্বাস করে। তিনি অত্যন্ত সৎ। তিনি দিন-রাত পরিশ্রম করেন মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নের জন্য, নিজের পকেটের উন্নয়নের জন্য নয়।
‘বিএনপি রাষ্ট্রকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিল। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশের মাধ্যমে উন্নয়ন সাধন করেছেন।’
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও খাদ্য উপকমিটির আহ্বায়ক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যরিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক জাহানারা বেগমসহ অনেকে।