কুমিল্লার মুরাদনগরে আওয়ামী লীগের সম্মেলনে দুই সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীর অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ১০ জন আহত হওয়ার খবর মিলেছে। বৃহস্পতিবার মুরাদনগর ডি আর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে এ ঘটনা ঘটে।
রাত সাড়ে ৮টায় মুরাদনগর থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার এ সব তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘বেলা ১১টায় সম্মেলন শুরু হয়। আহতের সংখ্যা জানি না। তবে এ মুহূর্তে কোনো সমস্যা নেই।’
অন্তত ১০ জন প্রত্যক্ষদর্শীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মুরাদনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন উপলক্ষে সকাল থেকেই বিভিন্ন স্থান থেকে নেতাকর্মীরা আসতে শুরু করেন। সম্মেলন শুরু হওয়ার আগেই সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী গোলাম সারোয়ার চিনুর অনুসারীরা মাঠে অবস্থান নেন।
একই সময়ে অপর সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী আহসানুল আলম সরকার কিশোরের অনুসারীরা মিছিল নিয়ে মাঠে প্রবেশ করেন। তখন চিনুর সমর্থকরা কিশোরের লোকজনদের ধাওয়া দিয়ে চেয়ার দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন।
এতে অন্তত ১০ জন আহত হন। হামলায় গুরুতর আহত হন মোচাগাড়া গ্রামের মৃত জহির মিয়ার ছেলে রঙ মিস্ত্রি ইয়াসিন। এছাড়াও আহত হয়েছেন গুঞ্জর গ্রামের রেজাউল করিমের ছেলে মামুনসহ আরও কয়েকজন।
তবে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মুরাদনগর উপজেলা চেয়ারম্যান কিশোর দাবি করেন, ‘আমরা কাউকে মারার জন্য সম্মেলনে যাইনি। প্রতিপক্ষ আমার বয়স্ক কর্মীদের মেরে পানিতে ফেলে দিয়েছে। আমি আমার কর্মীদের বলেছি প্রয়োজনে মার খাইবা তবু কারো গায়ে হাত দিবা না। তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। তারা কারো গায়ে হাত দেয়নি।’
এ বিষয়ে জানতে গোলাম সারোয়ার চিনুর ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
উপজেলা আ.লীগের ত্রি-বার্ষিক এ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন।
স্থানীয় সংসদ সদস্য ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুনের সভাপতিত্বে ও কুমিল্লা উত্তর জেলা আ.লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক রানার সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আ.লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী ও হোমনা আসনের সংসদ সদস্য সেলিনা আহমদ মেরী।
উদ্বোধক ছিলেন কুমিল্লা জেলা উত্তরের সভাপতি ম. রুহুল আমিন, প্রধান বক্তা ছিলেন সাধারণ সম্পাদক রোশন আলী মাস্টার। বিশেষ বক্তা ছিলেন- কুমিল্লা উত্তর জেলা আ.লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সরকার, সহ-সভাপতি হানিফ সরকার, মুরাদনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আহসানুল আলম সরকার কিশোর, সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন আল রশিদ ও সৈয়দ আব্দুল কাইয়ুম খসরু প্রমুখ।