খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে এক তরুণের বিরুদ্ধে বড় ভাইকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আটকের পর তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করাতে টাকা দিতে পারবেন না, এমন কথা জানানোর পর ঝগড়ার এক পর্যায়ে তিনি খুন করেন বড় ভাইকে।
সন্দেহভাজন মোস্তাফিজুর রহমানকে গ্রেপ্তারের পর তাকে জিজ্ঞাবাদ করে এ কথা জানায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীটি।
মঙ্গলবার বিকেলে খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার নাইমুল হক এ তথ্য জানান। তিন দিনের তদন্তে পাওয়া তথ্য জানাতে গণমাধ্যমকর্মীদের ডাকেন তিনি।
গত শনিবার রাতে খাগড়াছড়ির মানিকছড়ির যোগ্যছোলা সেমুতাং গ্যাস ক্ষেত্র এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে কাতারপ্রবাসী সাজ্জাদুর রহমানের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
তদন্তে নেমে মুস্তাফিজের বিষয়ে সন্দেহ হয় পুলিশের। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পাশাপাশি তথ্য প্রমাণ তুলে ধরলে তিনি সব অভিযোগ স্বীকার করেন। পাশাপাশি খুনে ব্যবহৃত দা ও রক্তমাখা জামার সন্ধান দেন।
মানিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহনুর আলম জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন মোস্তাফিজ। এরপর তাকে কারাগারে পাঠান বিচারক।
পুলিশ সুপার জানান, মোস্তাফিজুর এবার এইচএসসি পরীক্ষার্থী। পাস করতে পারলে চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তার জন্য টাকা লাগবে বলে জানান।
কিন্তু সাজ্জাদ জানিয়ে দেন, তিনি আর পড়ালেখার খরচ দিতে পারবেন না। এ নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে মোস্তাফিজকে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করেন সাজ্জাদ।
কিছুক্ষণ পরে ফোনে কল আসলে সাজ্জাদ মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। তখন পেছন থেকে তাকে হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করেন মোস্তাফিজ। বড় ভাই অজ্ঞান হয়ে গেলে দা দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন তিনি।