একই দিন একই সঙ্গে রাজধানীতে দুই প্রধান দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমাবেশ চলছে।
ক্ষমতাসীন দল জড়ো হয়েছে শেরেবাংলা নগরে নগরে চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে বাণিজ্য মেলার মাঠে। আর বিরোধী দলটি নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কের এক পাশে।
মঙ্গলবার দুপুরের পর পর এই সমাবেশ দুটি শুরু হলেও নেতা-কর্মীদের স্রোত শুরু হয় আরও আগে থেকেই। তারা মিছিল করেই সমাবেশস্থলে আসতে থাকে আর যে পথ ধরে এসেছে, সেই পথে গাড়ির গতি হয়ে যায় সীমিত।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের এই জমায়েতের নাম দেয়া হয়েছে শান্তি সমাবেশ। বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে সমাবেশের নামে সহিংসতার অভিযোগ এনে এই কর্মসূচির ডাক দেয়া হয়েছে।
অন্যদিকে বিএনপির জমায়েতটি হচ্ছে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে, যারা গত ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশের তিন দিন আগে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের মামলায় গ্রেপ্তার আছেন।
নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনের সড়কে দলের নেতা-কর্মীদের অবস্থান
সেই সমাবেশ থেকেই মঙ্গলবার মিছিলের কর্মসূচি দেয়া হয়েছিল। তবে সমাবেশের আগের দিন কর্মসূচি সংশোধন করে মিছিলের পাশাপাশি সমাবেশের কথাও জানানো হয়। ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে জড়ো হওয়ার অনুমতি না মিললেও এবার ঢাকা মহানগর পুলিশ তাদেরকে অনুমতি দিয়েছে।
এই সমাবেশে প্রধান অতিথি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। সভাপতিত্ব করবেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান।
দুপুর দুইটায় জমায়েত হওয়ার কথা থাকলেও নেতা-কর্মীরা কর্মসূচিতে যোগ দিতে আসতে থাকেন বেলা ১২টা থেকেই। একটার পর আসতে থাকে একের পর এক মিছিল।
রাজধানীতে একই সময়ে দুই প্রধান দলের এই সমাবেশকে ঘিরে রাজনৈতিক উত্তেজনা না থাকলেও কর্মদিবসে নগরবাসীর চলাচলে ভোগান্তির শঙ্কা রয়েছে।
বিএনপির এই সমাবেশের কারণে ফকিরাপুল থেকে বিজয়নগর নাইটিঙ্গেল মোড়ের দিকে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। সড়কের অপর পাশে ও যান চলাচল সীমিত।
এ কারণে পাশেপাশের সড়ক এবং অলি গলিতে যানবাহনের চাপ বেশি। ফলে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় চলাচলে সময় লাগছে বেশি।
আওয়ামী লীগের জমায়েতটি অবশ্য খোলা মাঠে। সরাসরি যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে না এই সমাবেশ। তবে আশেপাশের এলাকা থেকে নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে আসার কারণে পরোক্ষ প্রভাব আছে।
শেরেবাংলা নগরে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সমাবেশের একাংশ
বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে নৈরাজ্যের অভিযোগ এনে এই সমাবেশে লক্ষাধিক মানুষের সমাগমের ঘোষণা আছে ক্ষমতাসীন দলের। নেতাদের বক্তব্যের পর মিছিলের কথাও আছে।
বিকেল ৩টার পর সমাবেশ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলেও নেতা-কর্মীরা আসতে থাকেন দুপুরের পর থেকেই।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এই সমাবেশে প্রধান অতিথি হওয়ার কথা আছে। সভাপতিত্ব করবেন ঢাকা মহানগর উত্তর কমিটির সভাপতি শেখ বজলুর রহমান।