বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

৪৬ গ্যাস কূপ অনুসন্ধান ও খননের মহাপরিকল্পনা

  •    
  • ১২ ডিসেম্বর, ২০২২ ২০:৪৪

এসজিএফএল সূত্র জানায়, জ্বালানি সংকট নিরসনে ২০২৫ সালের মধ্যে দেশে ৪৬টি গ্যাস কূপ অনুসন্ধান, খনন ও পুনর্খননের মহাপরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। সে অনুযায়ী বাপেক্স ২০, বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ড কোম্পানি ১২ এবং সিলেট গ্যাস ফিল্ড কোম্পানি ১৪টি কূপ খনন ও পুনর্খননের উদ্যোগ নেয়।

জ্বালানি সংকট নিরসনে গ্যাস উত্তোলন বাড়াতে দেশে ৪৬টি কূপ অনুসন্ধান, খনন ও পুনর্খননের মহাপরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। ২০২৫ সালের মধ্যে এসব খননকাজ শেষ হওয়ার কথা। এর ফলে ৬১৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেডের (এসজিএফএল) আওতায় ১৪টি কূপ খনন ও পুনর্খননের কাজ চলছে। সিলেটের ১৪ কূপের মধ্যে তিনটির খনন শেষ হয়েছে। বিয়ানীবাজার এলাকায় নতুন গ্যাসক্ষেত্র অনুসন্ধানে চলছে জরিপ।

সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মিজানুর রহমান রোববার নিউজবাংলাকে এসব তথ্য জানান।

জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি ও সংকটকালে দেশের গ্যাস ভাণ্ডার নিয়ে আশার আলো দেখছেন এই কর্মকর্তা।

তিনি বলেন, ‘১৪টি কূপ খনন ও পুনর্খননের বাইরে নতুন গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনায় সিলেটের বিয়ানীবাজার এলাকা ও আশপাশের ১ হাজার ৫৬ বর্গকিলোমিটার এলাকায় নতুন গ্যাসের ক্ষেত্রের সন্ধানে ত্রি-মাত্রিক জরিপ চলছে। এর মধ্যে বিয়ানীবাজারের ১৯১ বর্গকিলোমিটার এলাকার একটি অংশ এবং উপজেলার বারশিয়া, ডুপিটিলা, হারারগঞ্জ ও দক্ষিণ সিলেট এলাকায় ৮৬৫ বর্গকিলোমিটারে ত্রি-মাত্রিক জরিপ চালানো হচ্ছে। ৭ থেকে ৮ মাস পর এ জরিপের ফল জানা যাবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা একটি বিশাল সম্ভাবনার পথে এগুচ্ছি। এই চরম সংকটের সময়ে যা আমাদের আশার আলো দেখাচ্ছে।’

২৮ নভেম্বর থেকে প্রতিদিন সিলেট থেকে আরও ৮০ লাখ ঘনফুট গ্যাস যুক্ত হচ্ছে জাতীয় সঞ্চালন লাইনে। বিয়ানীবাজার গ্যাসক্ষেত্রের পাঁচবছর পরিত্যক্ত থাকা ১ নম্বর কূপ খনন শেষে পাওয়া গেছে প্রায় ৭০ হাজার ঘনফুট গ্যাসের মজুত। সেখান থেকে প্রতিদিন তোলা হচ্ছে ৮ বিলিয়ন ঘনফুট।

সিলেটের ১৪টি কূপ খনন ও পুনর্খনন শেষ হলে প্রতিদিন আরও ৬৬ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সঞ্চালন লাইনে যুক্ত হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। ২০২৫ সালের মধ্যে দৈনিক ১৬৪ ঘনফুট গ্যাস উত্তোলনের লক্ষ্য সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিডেডের (এসজিএফএল)।

এসজিএফএল সূত্র জানায়, জ্বালানি সংকট নিরসনে গ্যাসের উত্তোলন বাড়াতে ২০২৫ সালের মধ্যে দেশে ৪৬টি গ্যাস কূপ অনুসন্ধান, খনন ও পুনর্খননের মহাপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার। পরিকল্পনা অনুযায়ী, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন (বাপেক্স) ২০টি, বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ড কোম্পানি ১২টি এবং সিলেট গ্যাস ফিল্ড কোম্পানি ১৪টি কূপ খনন ও পুনর্খননের উদ্যোগ নেয়।

বিশ্ববাজারে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি আর দেশে সংকটের সময় উত্তোলন বাড়ানোর এমন পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন এসজিএফএলর কর্মকর্তারা। তারা জানান, ২০২৫ সালের মধ্যে খনন ও পুনর্খননের চলমান কাজ শেষ হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এরই মধ্যে সিলেটের তিনটি কূপের পুনর্খনন শেষ হয়েছে। এসব কূপ থেকে দৈনিক ১৬ থেকে ১৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় সঞ্চালন লাইনে সরবরাহ হচ্ছে। ২০২৩ সালে আরও কিছু কূপের খনন শেষ হবে।

এসজিএফএল মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) আব্দুল জলিল প্রামানিক জানান, এসজিএফএলের আওতায় সিলেটে আটটি কূপ পুনর্খনন ও সাতটির খনন শুরু হয়েছে। চলতি বছরে সিলেট-৮, কৈলাশ টিলা-৭ ও বিয়ানীবাজার-১ নামে তিনটি পরিত্যক্ত কূপ পুনর্খনন করে দৈনিক ১৬ থেকে ১৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় সঞ্চালন লাইনে সরবরাহ করা হচ্ছে। এ ছাড়া আরও পাঁচটি কূপ পুনর্খনন প্রক্রিয়ায় আছে। এছাড়াও ছয়টি কূপ খনন করা হবে।

নতুন তিনটি মিলিয়ে বর্তমানে এসজিএফএলের ১৩টি কূপ গ্যাস উত্তোলনে রয়েছে। এগুলো থেকে দৈনিক ৯৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা হচ্ছে। চলমান কাজ সুষ্ঠুভাবে শেষ হলে ২০২৫ সালে দৈনিক ১৬৪ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

১৯৫৫ সালে সিলেটের হরিপুরে প্রথম গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায়। এরপর আবিষ্কৃত হতে থাকে একের পর এক গ্যাসক্ষেত্র। বর্তমানে এসজিএফএলের আওতায় পাঁচটি গ্যাসক্ষেত্র আছে। সেগুলো হলো- হরিপুর গ্যাস ফিল্ড, রশিদপুর গ্যাস ফিল্ড, ছাতক গ্যাস ফিল্ড, কৈলাশ টিলা গ্যাস ফিল্ড ও বিয়ানীবাজার গ্যাস ফিল্ড। এর মধ্যে ছাতক গ্যাস ফিল্ড পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে। বাকিগুলোর মধ্যে ১৩টি কূপ থেকে বর্তমানে প্রতিদিন ৯৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা হচ্ছে।

এ বিভাগের আরো খবর