জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে জি এম কাদের বিভিন্ন দলীয় সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন কি না, সে বিষয়ে মঙ্গলবার আদেশের জন্য রেখেছে আপিল বিভাগ। সোমবার প্রধান বিচারপতিসহ তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ শুনানি শেষে এ তারিখ ঠিক করেন।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে বিভিন্ন দলীয় সিদ্ধান্ত নিতে জি এম কাদেরের ওপর বিচারিক আদালতের নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করে আদেশ দেয় হাইকোর্ট। এরপর হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে শুনানির জন্য আপিলের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেয় চেম্বার জজ আদালত। সে অনুসারে আজকে আপিল বিভাগ শুনানি শেষ করে মঙ্গলবার আদেশের জন্য রাখে।
আদালতে জি এম কাদেরের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম। আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা।
জাপা থেকে বহিষ্কৃত নেতা সাবেক এম পি জিয়াউল হক মৃধা গত ৪ অক্টোবর জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে জি এম কাদেরের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে মামলা করেন। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৩১ অক্টোবর ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালত জি এম কাদেরের দলীয় যাবতীয় কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে অস্থায়ী আদেশ দেয়। এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেন জি এম কাদের। তার আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি শেখ আবদুল আউয়ালের একক বেঞ্চ বিচারিক আদালতের আদেশ স্থগিত করে। হাইকোর্টের এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন করেন জিয়াউল হক মৃধা।
জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর মারা যান। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, এরপর জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে হাইকোর্ট বিভাগে একটি রিট মামলা বিচারাধীন থাকার পরও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ওই বছর ২৮ ডিসেম্বর কাউন্সিল করে নিজেকে তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করেন।
জিয়াউল হক মৃধার মামলায় বলা হয়, জি এম কাদের গত ৫ মার্চ গাজীপুর মহানগর কমিটির উপদেষ্টা আতাউর রহমান সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক সবুর শিকদার, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. মো. আজিজকে বহিষ্কার করেন। এ ছাড়া ১৪ সেপ্টেম্বর মসিউর রহমান রাঙ্গাকে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
মামলায় বলা হয়, ১৭ সেপ্টেম্বর অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধাকেও জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কার করা হয়, যা সম্পূর্ণ অবৈধ। তার এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মামলা করেন জিয়াউল হক মৃধা।