দুই ধরনের টিকিট নিয়ে চলাচল করা যাবে মেট্রোরেলের এমআরটি ৬ লাইনে। প্রথমটি সিঙ্গেল জার্নির জন্য, দ্বিতীয়টি এমআরটি পাস (পারমানেন্ট টিকিট) পারমানেন্ট জার্নির জন্য।
সিঙ্গেল জার্নির জন্য যাত্রীকে প্রতিবার যাত্রার আগে টিকিট কাটতে হবে। যাত্রা শেষ করে টিকিট স্টেশনের স্বয়ংক্রিয় দরজায় জমা দিয়ে আসতে হবে। কারণ, এই টিকিট জমা না দিলে দরজা খুলবে না, ফলে যাত্রী স্টেশন থেকে বের হতে পারবে না।
এমআরটি পাসের (পারমানেন্ট জার্নি) জন্য যাত্রীকে একবার একটি টিকিট কিনলেই হবে। টাকা শেষ হলে রিচার্জ করতে হবে। এই টিকিট যাত্রীকে স্টেশনে জমা দিতে হবে না। যাত্রীর কাছেই এই টিকিট থাকবে।
-
যেভাবে টিকিট কাটতে হবে
মেট্রোরেলের প্রতিটা স্টেশনে এই দুই ধরনের টিকিট কাটতে পারবে যাত্রীরা। স্টেশনে থাকা টিকিট কাউন্টারের কর্মীদের কাছ থেকে এবং টিকিট বিক্রয় মেশিনের মাধ্যমে টিকিট কাটা যাবে।
টিকিট বিক্রয় মেশিনের মাধ্যমে টিকিট কাটতে হলে যাত্রীকে প্রথমে মনিটরে বাংলা অথবা ইংরেজি অপশন নির্বাচন করতে হবে। সিঙ্গেল ও পারমানেন্ট জার্নির জন্য টিকিট নির্বাচন করতে হবে।
এরপর আসবে যাত্রীদের গন্তব্যের তালিকা। কোন স্টেশনের কত ভাড়া সেই তালিকা দেওয়া থাকবে। সেখান থেকে যাত্রীকে তার গন্তব্য স্টেশন নির্বাচন করতে হবে। তারপর কয়টি টিকিট কাটবে তার আপশন আসবে। সিঙ্গেল জার্নির জন্য একজন যাত্রী একবার যাত্রায় পাঁচটির বেশি টিকিট কাটতে পারবে না। এরপর ওকে বাটনে চাপ দিলেই মেশিন টাকা চাইবে। টাকা দিলেই টিকিট বেরিয়ে আসবে। মেশিনে সর্বনিম্ন ২০ টাকা আর সর্বোচ্চ ১ হাজার টাকা প্রবেশ করানো যাবে।
টিকিট বিষয়ে মেট্রোরেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিকী বলেন, মেট্রোরেলের প্রতিটা স্টেশনে টিকিট পাওয়া যাবে। তবে পরবর্তী সময়ে এমআরটি পাস রাজধানীর বিভিন্ন দোকানে পাওয়া যাবে। যাত্রীরা সেসব জায়গা থেকে এই টিকিট সংগ্রহ করতে পারবে। আমরা মোবাইল অপারেটরদের সঙ্গেও কথা বলছি। সেটা হলে যাত্রীরা এমআরটি পাস মোবাইল ফোনের মাধ্যমে রিচার্জ করতে পারবে।