বিএনপি ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ ঘিরে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন নীল দল।
শুক্রবার সন্ধ্যায় দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. আব্দুছ সামাদ, যুগ্ম-আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. আবদুর রহিম এবং অধ্যাপক ড. মো. আকরাম হোসেন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর থেকে বুদ্ধিজীবী হত্যার নীলনকশা চূড়ান্তভাবে বাস্তবায়ন শুরু হয়েছিল। এই দিনে রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে বিএনপির যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি করছে। তাদের রাজনৈতিক অবস্থান ৭১-এর নৃশংসতাকে মনে করিয়ে দিচ্ছে।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘কিছুদিন ধরে লক্ষ করা যাচ্ছে, একটি মহল দেশে বিদ্যমান শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিঘ্নিত করে রাজনৈতিক অঙ্গনে নৈরাজ্য সৃষ্টির অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নীলদল এ ধরনের কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।’
‘এই ডিসেম্বর মাসেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের অনেক বুদ্ধিবৃত্তিক প্রতিষ্ঠান তাদের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হারিয়েছিল। শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশের মধ্য দিয়ে ডিসেম্বর মাসে নানা কর্মসূচি পালিত হয়। পবিত্র এ মাসের মর্যাদাকে অসম্মানিত করার জন্য ৭১ এর পরাজিত শক্তি ও তাদের দোসররা নানাবিধ অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে।’
বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়, ‘দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করে সরকার উৎখাতের জন্য একটি মহল অপতৎপরতা শুরু করেছে। প্রকাশ্যে গণতান্ত্রিক সরকার উৎখাতের হুমকিও তারা প্রদান করছে, যা রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল।’
বিজ্ঞপ্তিতে নীল দলের নেতৃবৃন্দ বলেন, গণতান্ত্রিক পন্থায় ক্ষমতা পরিবর্তনের একমাত্র উপায় নির্বাচন। বর্তমান সরকার ২০২৪ সালে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ‘জনশৃঙ্খলা ও জনস্বাস্থ্যের স্বার্থে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসঙ্গত বাধানিষেধ সাপেক্ষে’ শান্তিপূর্ণভাবে জনসভা করতে কোনো বাধা নেই।’
সবশেষে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমাজ যে কোনো অগণতান্ত্রিক কর্মতৎপরতার বিরুদ্ধে সর্বদা সজাগ থেকেছে। বর্তমানেও যে কোনো ধরনের অগণতান্ত্রিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করছি। আমরা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সম্পন্ন নাগরিকদের প্রতি যে কোন ধরনের নৈরাজ্য ও অপতৎপরতার বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট অবস্থান গ্রহণ করা জন্য আহবান জানাচ্ছি।’