বড় ভাইকে মেইনটেইন করা ছাত্রলীগের কর্মীদের কাজ নয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ছাত্রলীগের কর্মীদের বড় ভাইকে মেইনটেইন করতে হবে কেন? তারা মেইনটেইন করবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ।
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মঙ্গলবার ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ছাত্রলীগের কর্মীদের উদ্দেশে কাদের বলেন, ‘আমার খুব খারাপ লাগে ছাত্রলীগের কর্মীরা যখন মেসেজ দিয়ে, কল করে বড় গলায় বলে আমিও অমুক ভাইকে মেইনটেইন করি। ভাইকে মেইনটেইন করতে হবে কেন। কিসের মেইনটেইন। তারা মেইনটেইন করবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, শেখ হাসিনার আদর্শ ও সাহসিকতা। ডিসিপ্লিন মেইনটেইন করবে।’
ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সতর্ক করে তিনি বলেন, ‘আর যেন মেইনটেইন শুনতে না হয়।’
আগামীতে ছাত্রলীগের সুনাম ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানান তিনি।
আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশ সামনে রেখে আজ থেকেই পাড়া, মহল্লা, ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, জেলা-উপজেলায় সতর্ক পাহারায় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মানুষকে বাঁচাতে হবে। মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দিতে হবে। তাদের বিশ্বাস নেই। এরা সাম্প্রদায়িকতার ঠিকানা। এরা বাংলাদেশ নালিশ পার্টি (বিএনপি)।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির ডাকে মহাসমাবেশ হয় সমাবেশ। আর আওয়ামী লীগের ডাকে সমাবেশ হয় মহাসমাবেশ। ১০ ডিসেম্বর তারা সমাবেশ করবে। গত ১৩ বছরে তারা ১৩ দিনও রাস্তায় দাঁড়াতে পারেনি। মির্জা ফখরুল সাহেব জানি আপনার অন্তরে কেন এত জ্বালা। তারা বলেছিল, পদ্মা সেতু নাকি জোড়াতালি দিয়ে করা হয়েছে। এখন সেখান দিয়ে হাজার হাজার গাড়ি চলছে। মেট্রোরেল উদ্বোধন হবে, চট্টগ্রামে হচ্ছে কর্ণফুলী টানেল। শেখ হাসিনা একদিনে ১০০ সেতু উদ্বোধন করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘খেলা হবে। ডিসেম্বরে খেলা হবে। নির্বাচন হবে, আন্দোলনে খেলা হবে। আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে খেলা হবে, লাঠির বিরুদ্ধে খেলা হবে। ভোট জালিয়াতির বিরুদ্ধে খেলা হবে। ভুয়া ভোটার তালিকার বিরুদ্ধে খেলা হবে।’১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘জবাব দিতে হবে। খুনিদের কারা পুরস্কৃত করল, বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিল তার জবাব দিতে হবে। বিদেশে চাকরি দিল কে, জিয়াউর রহমান। এই খুনিদের বিচার হবে না মর্মে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করল; কে করল, জিয়াউর রহমান। একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা কে করল, তারেক রহমান।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, “দেশের কথা ভেবে শেখ হাসিনার ঘুম হয় না। আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম আপনি কখন ঘুমান। তিনি বলেছিলেন, আমি তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা ঘুমাই। এ হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আবারও ঘুরে দাঁড়াবে শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে।
দেশের রপ্তানি আবারও বাড়ছে জানিয়ে কাদের বলেন, ‘ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে সারাবিশ্বে। তবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে।’