বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ডাম্পিং প্লেস: সাড়ে ৩ বছরে অগ্রগতি শুধু জমি অধিগ্রহণ

  •    
  • ৬ ডিসেম্বর, ২০২২ ১০:২৪

২০১৯ সালের ২৩ জুন ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে বাগেরহাট পৌরসভার আবর্জনা অপসারণ ও ব্যবস্থাপনার জন্য ডাম্পিং প্লেস নির্মাণের কাজ শুরু হয়। তবে সাড়ে ৩ বছরে জমি অধিগ্রহণ ছাড়া কোনো কাজ হয়নি। 

বাগেরহাট পৌরসভার আবর্জনা অপসারণ ও ব্যবস্থাপনার জন্য ডাম্পিং প্লেস নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৯ সালে। তবে সাড়ে ৩ বছরে জমি অধিগ্রহণ ছাড়া দৃশ্যমান কোনো কাজ হয়নি। খোলা জায়গায় অপরিকল্পিতভাবে ফেলা হচ্ছে আবর্জনা। এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রচন্ড দুর্গন্ধে বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠেছে ভাগাড়ের আশপাশের এলাকা। এদিকে পৌর কর্তৃপক্ষ বলছে, শিগগিরই পরিবেশবান্ধব গার্বেজ সেন্টারের কাজ শুরু করা হবে।

জানা গেছে, ২০১৯ সালের ২৩ জুন ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে বাগেরহাট পৌরসভার আবর্জনা অপসারণ ও ব্যবস্থাপনার জন্য ডাম্পিং প্লেস নির্মাণের কাজ শুরু হয়। তৎকালীন বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক এই নির্মাণকাজের ফলক উন্মোচন করেছিলেন। তবে সাড়ে ৩ বছরে জমি অধিগ্রহণ ছাড়া কোনো কাজ হয়নি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাগেরহাট সদর উপজেলার মুনিগঞ্জ পোলঘাট সড়কের পাশে মাঝিডাঙ্গা এলাকার বিশাল এলাকাজুড়ে ময়লার স্তূপ। পৌরসভার বিভিন্ন এলাকা থেকে ময়লা এনে ফেলা হয় এখানে। দুর্গন্ধে নাক চেপে চলাচল করছেন পথচারীরা।

পথচারী শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিদিন কাজের জন্য এই পথ দিয়ে যাওয়া-আসা করতে হয়। এখানে খোলা জায়গায় ময়লা ফেলায় দুর্গন্ধ থেকে বাঁচতে নাক বন্ধ করে যেতে হয়। দুর্গন্ধে খুবই কষ্ট হয় আমাদের। শুধু আমি নই, প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ এভাবে কষ্ট পায়।’

শেফালি বেগম নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘ময়লার দুর্গন্ধে ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে রাখতে হয় আমাদের। তাতেও গন্ধ যায় না। খুবই অসহায় লাগে তখন। মনে হয় ঘরবাড়ি বিক্রি করে অন্য কোথাও চলে যাই।’

মাঝিডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা কামরুন্নাহার বলেন, ‘বৃষ্টির সময় ময়লাযুক্ত পানি রাস্তায় চলে আসে। আমাদের বাড়িঘরেও এই ময়লা সে সময় প্রবেশ করে। তখন বাড়িতে থাকা দায় হয়ে দাঁড়ায়।’

এ বিষয়ে বাগেরহাট পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. কামরুজ্জামান সরকার বলেন, ‘পৌরসভা নিজস্ব আইনে পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। তারাই এর ব্যবস্থা নেবে। তবে কেউ অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আমরা পৌরসভাকে চিঠি দেব।’

বাগেরহাট পৌরসভার মেয়র খান হাবিবুর রহমান বলেন, ‘পৌরসভার আবর্জনা অপসারণ এবং উন্নত ব্যবস্থাপনার জন্য আমরা ৫ একর জমি কিনেছি। ওই জমির চারদিকে উঁচু দেয়াল দিয়ে পৌরসভার বর্জ্যকে আধুনিকভাবে ব্যবস্থাপনা করা হবে। এখানে বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট, কম্পোস্ট সার প্ল্যান্ট, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ ও বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। দুই মাসের মধ্যে এসব কাজের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হবে। এরপর যত দ্রুত সম্ভব কাজ শুরু করা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘পৌরসভার আবর্জনার দুর্গন্ধ যাতে না ছড়ায় সে জন্য নিয়মিত ব্লিচিং পাউডার দেয়া হয়। এ ছাড়া রাস্তার ওপর ময়লা এলে তা ভেতরে নিয়ে ফেলা হয়। সব মিলিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের যাতে কষ্ট না হয়, সেদিকে খেয়াল রেখে কাজ করা হচ্ছে। আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্ল্যান্ট চালু হলে এসব সমস্যা থাকবে না।’

এ বিভাগের আরো খবর