বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রসূতির মৃত্যু, টাকায় রফার অভিযোগ

  •    
  • ৫ ডিসেম্বর, ২০২২ ২১:৫৯

প্রসূতির নাম খাদিজা বেগম। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের খেওয়াই গ্রামের সৌদিপ্রবাসী নয়ন মিয়ার স্ত্রী। ৫ সন্তানের জননী খাদিজা ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের গ্রীন ভিউ স্পেশালাইজড হাসপাতালে রোববার রাত পৌনে ৮টার দিকে মৃত্যু হয় খাদিজার।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকের অবহেলায় গর্ভের সন্তানসহ প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনা এক লাখ টাকা রফা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শহরের গ্রীন ভিউ স্পেশালাইজড হাসপাতালে রোববার রাত পৌনে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

প্রসূতির নাম খাদিজা বেগম। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের খেওয়াই গ্রামের সৌদিপ্রবাসী নয়ন মিয়ার স্ত্রী। ৫ সন্তানের জননী খাদিজা ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।

নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাতে খাদিজার বুকে ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। ১১টার দিকে তাকে জেলা শহরের কুমারশীল মোড় এলাকায় অবস্থিত গ্রীন ভিউ স্পেশালাইজড হাসপাতালে নিয়ে আসেন স্বজনরা।

সেখানে গাইনি চিকিৎসক জিনিয়া খানের তত্ত্বাবধানে তাকে ভর্তি করা হয়। এর কিছুক্ষণ পর শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে সিলিন্ডারের মাধ্যমে অক্সিজেন দেয়া হয়।

শনিবার রাতভর সন্তান নড়াচড়া করেনি। রোববার সকাল ১১টা পর্যন্তও খাদিজার কোনো খোঁজ না নেয়ায় স্বজনরা চিকিৎসকের ওপর চাপ সৃষ্টি করেন। তখন চিকিৎসক তাদের আল্ট্রাসনোগ্রাম করাতে বলেন। আল্ট্রাসনোগ্রামে খাদিজার গর্ভে থাকা নবজাতক মৃত বলে জানা যায়। এরপর চিকিৎসক সাধারণ প্রক্রিয়ায় খাদিজার মৃত সন্তানটিকে প্রসব করানোর সিদ্ধান্ত নেন।

গাইনি চিকিৎসক জিনিয়া খান রোববার সন্ধ্যায় প্রসূতির মৃত সন্তানকে সাধারণ প্রক্রিয়ায় প্রসবের চেষ্টা করেন। এ সময় খাদিজার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়; একপর্যায়ে খিঁচুনি ও শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। রাত পৌনে ৮টার দিকে মারা যান খাদিজা।

পরে নিহতের স্বজনরা হাসপাতালে ভিড় করে হৈ-হুল্লোড় শুরু করেন। রাত ৯টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

নিহতের স্বামী নয়ন মিয়া বলেন, ‘অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে (সিজারিয়ান অপারেশন) মৃত নবজাতককে অপসারণের জন্য চিকিৎসককে অনুরোধ করেছিলাম। তবে তারা শোনেননি। একপর্যায়ে খিঁচুনি ও শ্বাসকষ্ট শুরু হয়, কিছুক্ষণের মধ্যেই খাদিজা মারা যায়।'

অভিযোগের স্বরে নয়ন মিয়া বলেন, ‘খাদিজার মরদেহ হাসপাতালে থাকা অবস্থায়ই চিকিৎসক ও মালিকপক্ষের লোকজন ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে ব্যস্ত হয়ে ওঠেন।

‘হাসপাতালে আমার অনেক আত্মীয়স্বজন ছিল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্বজনদের কাছে এক লাখ টাকা দিয়েছেন। তবে তা আমার হাতে পৌঁছেনি।

এ বিষয়ে গাইনি চিকিৎসক জিনিয়া খান বলেন, ‘তার (খাদিজা) গর্ভের সন্তান হয়তো আরও আগেই মারা গিয়েছিল। গর্ভে মৃত সন্তান থাকলে রক্তচাপ বাড়তে পারে এবং খিঁচুনি আসতে পারে। জরুরি অবস্থায় তাকে সব ধরনের চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। রোগীর স্বজনরা অস্ত্রোপচার করার কথা বললে আমরা তা করতাম। কিন্তু স্বজনরা এমন কিছু বলেননি।

‘এখানে চিকিৎসকের কোনো অবহেলা ছিল না।’

হাসপাতালের চেয়ারম্যান ও অভিযুক্ত চিকিৎসক জিনিয়া খানের স্বামী আবু হামেদ রোগীর স্বজনদের ১ লাখ টাকা দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘হাসপাতালের চিকিৎসা, ওষুধ ও অ্যাম্বুলেন্সের খরচ আমরা মওকুফ করে দিয়েছি।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, ‘নিহতের পরিবার থেকে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়নি। পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর