বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিএনপি অনেক ছাড় পেয়েছে, আর নয়: কাদের

  •    
  • ৫ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৩:৫২

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিরোধী দলের অধিকার আছে, তাই আমরা ছাড় দিয়েছি। কিন্তু তারা যদি বেশি বাড়াবাড়ি করে, বিশৃঙ্খলা করে, জনগণের জানমালের প্রতি হুমকি সৃষ্টি করে সে অবস্থায় আমরা ছেড়ে দেব না। সমুচিত জবাব দেব।’

রাজধানীতে বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশকে ঘিরে মানুষ আতঙ্কিত হয়ে উঠেছে বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বলেছেন, বিএনপির সমাবেশ করার অধিকার থাকলেও মানুষকে আতঙ্কে রাখার অধিকার নেই।

বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিতে সরকার অনেক ছাড় দিয়েছে জানিয়ে তিনি এও বলেছেন যে, জনগণের জানমালের প্রতি হুমকি হলে আর কোনো ছাড় দেয়া হবে না।

হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৫৯তম মৃত্যুবার্ষিকীতে সোমবার রাজধানীতে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগ নেতা।

কাদের বলেন, ‘তারা (বিএনপি) শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করুক। সমাবেশ করার অধিকার আছে। তারা কর্মসূচি ঘোষণা করুক। কিন্তু মানুষ আতঙ্কে আছে কেন? এই আতঙ্কে মানুষ থাকবে কেন? মানুষের আতঙ্ক দূর করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘বিরোধী দলের অধিকার আছে, তাই আমরা ছাড় দিয়েছি। কিন্তু তারা যদি বেশি বাড়াবাড়ি করে, বিশৃঙ্খলা করে, জনগণের জানমালের প্রতি হুমকি সৃষ্টি করে সে অবস্থায় আমরা ছেড়ে দেব না। সমুচিত জবাব দেব।’

আগের দিন চট্টগ্রামের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন বিএনপি কেন ১০ ডিসেম্বরকে সমাবেশের দিন হিসেবে বেছে নিল। সেই প্রশ্ন এবার করেছেন কাদেরও।

তিনি বলেন, ‘১০ ডিসেম্বর তারা সমাবেশ করবে, যেদিন বুদ্ধিজীবী হত্যার নীলনকশা বাস্তবায়ন শুরু হয়। শহীদ সিরাজ উদ্দিন ও শহীদ নিজাম উদ্দিন দুইজনেই সাংবাদিক। এই দুইজনকে কিন্তু আলবদর বাহিনী উঠিয়ে নিয়ে যায় ১০ ডিসেম্বর। বিএনপি তাদের আন্দোলন করার জন্য, কর্মসূচি ঘোষণার জন্য, ঢাকা দখল করার জন্য এই দিনটি কেন বেছে নিল আমরা জানি না।’

বিএনপি শাসনামলে আওয়ামী লীগকে ব্যাপক নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন ক্ষমতাসীন দলের নেতা। বলেন, ‘আমরা ৫ বছরে ৫০ দিন ঘরে থাকতে পারিনি। আমাদের নেতাকর্মীরা কেউ ঘরে থাকতে পারেনি। অপারেশন ক্লিনহার্ট, কী অবস্থা চলছিল?

‘প্লেট চুরির অপরাধে সাবের হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা, লিটন চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা, শেখ সেলিম আমাদের নেতা, সিনেমা হলে আগুন দেওয়ার অপরাধে মামলা। এসব প্রহসন এদেশে আমরা অনেক দেখেছি।’

বাংলাদেশে গণতন্ত্র বিকাশের প্রক্রিয়া পদে পদে বাধায় পড়েছে জানিয়ে কাদের বলেন, ‘এদেশে গণতন্ত্রের পথ ছিল কণ্টকাকীর্ণ। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রের শৃঙ্খলমুক্তি ঘটেছে।

‘বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর গণতন্ত্রের জন্য তিনি লড়াই শুরু করেন। সারা দেশ ঘুরে ঘুরে মুক্তিযুদ্ধের মুল্যবোধের পক্ষে, স্বাধীনতার আদেশের পক্ষে, গণতন্ত্রের পক্ষে তিনি ক্যাম্পিং করেন। জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে গণতন্ত্রের শৃঙ্খল মুক্তি ঘটিয়েছেন।’

গণতন্ত্র বিকাশে বিরোধী দলের ভূমিকাও জরুরি বলে মন্তব্য করেন কাদের। বলেন, ‘নির্বাচন হচ্ছে গণতন্ত্রের প্রাণ। কিন্তু বিএনপি আমলে সেই নির্বাচন কীভাবে হয়েছে? ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার, ১৫ ফেব্রুয়ারির সে প্রহসনের নির্বাচন।

‘এগুলো এ দেশের ইতিহাসে আছে। আমরা ভুলে যাইনি। এখনও সাম্প্রদায়িক অশুভ শক্তি, জঙ্গিবাদী শক্তি গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে সক্রিয়। এদের পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে বিএনপি। বিএনপি হচ্ছে সাম্প্রদায়িকতা, অগণতান্ত্রিক বিশ্বাসযোগ্য ঠিকানা। গণতন্ত্র বিকাশে অন্তরায়।’

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, এস এম কামাল হোসেন ও আফজাল হোসেন, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক জাহানারা বেগম, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাপা, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনিবাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন, সাহাবুদ্দিন ফরাজি, আজিজুস সামাদ আজাদ ডন ও সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীমও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

কাদেরের পর ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের পক্ষ থেকেও হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর