বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চিকিৎসক ধর্মঘটে অবর্ণনীয় কষ্টে রোগীরা

  •    
  • ৪ ডিসেম্বর, ২০২২ ২০:১৩

শুক্রবার রাতে এক রোগীকে মৃত ঘোষণা করেন করিমগঞ্জ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক। এ সময় তার ওপর হামলার অভিযোগে মামলা হয়েছে দুজনের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় সেবা বন্ধ রেখে রোগী ভোগান্তির কারণ হয়েছেন চিকিৎসকরা।

এক চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগ এনে কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ হাসপাতাল অনির্দিষ্টকালের জন্য সেবা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সীমিত পরিসরে জরুরি বিভাগ খোলা থাকলেও সেটি রোগী চাহিদা পূরণের মতো যথেষ্ট নয়।

এই ঘটনায় দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তারপরও কেন হাসপাতালে সেবা বন্ধ রাখতে হবে, সে প্রশ্ন উঠেছে।

রোববার সকাল থেকে এই কর্মবিরতিতে অচল হয়ে পড়ে হাসপাতালের কার্যক্রম। কিন্তু রোগীদের সে কথা জানা ছিল না। তারা দূর থেকে এসে হাসপাতালে চিকিৎসা হবে না শুনে হতবিহ্বল হয়ে পড়েন।

করিমগঞ্জ নয়াকান্দি এলাকার বাসিন্দা রাজিবুল হাসান জানান, তার এক আত্মীয় হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তাকে দেখতে এসেছিলেন তিনি। গিয়ে দেখেন ডাক্তারদের কেউ নেই। শুধু জরুরি বিভাগে একজন বসে আছেন। ভেতরে দুজন নার্স ছাড়া আর কেউ নেই।

কেন রোগীদের কষ্ট দিয়ে এভাবে সেবা বন্ধ রাখছেন, এমন প্রশ্নে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রিয়াদ শাহেদ রনি জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় চিকিৎসার জন্য এক বয়স্ক নারীকে নিয়ে জরুরি বিভাগে আসেন স্বজনরা। তবে সেখানে পৌঁছার আগেই মারা যান তিনি।

কর্তব্যরত চিকিৎসক কামরুল হাসান ওয়াসিম ওই নারীকে দেখে মৃত ঘোষণা করেন এবং জানান তাকে হাসপাতালে আনার আগেই মৃত্যু হয়েছে। তখন রোগীর স্বজনরা ওই চিকিৎসকের ওপর চড়াও হন। একপর্যায়ে তাকে চড়-থাপ্পড় মেরে চলে যান।

এ ঘটনায় শনিবার রাতে চিকিৎসক কামরুল হাসান দুইজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে করিমগঞ্জ থানায় মামলা করেন।

করিমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুল আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘ঘটনার পর থেকে আসামিরা পলাতক। তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করছে।’

মামলা করেছেন, পুলিশ গ্রেপ্তার করবে, বিচার হবে। এর মধ্যে সেবা বন্ধ করে চিকিৎসকরা রেখে রোগীদের দুর্দশায় ফেলতে পারে কি না, এমন প্রশ্নে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা দাবি করেন, আসামিরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় সব চিকিৎসক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাই তারা কর্মবিরতি পালন করছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি তাদের সাথে আলোচনা করে দ্রুতই এই বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি। আশা করি, আগামীকালই সেবা চালু করতে পারব।’

এ বিভাগের আরো খবর