বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জের দৈবজ্ঞহাটি ইউনিয়নে ট্রিপল মার্ডার মামলায় ১৪ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। ৪৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় এ মামলা থেকে তাদের খালাস দিয়েছে আদালত।
রোববার দুপুরে খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক নজরুল ইসলাম হাওলাদার এই রায় দেন। এ সময় আদালতে ৫৮ আসামির মধ্যে ৫০ জন উপস্থিত ছিলেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন দৈবজ্ঞহাটি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম ফকির, আবুয়াল ফকির, হুমায়ুন হাওলাদার, মিল্টন খান, মফিজ খান, ফারুক হাং, আবুল হোসেন শেখ, মোদাচ্ছের শেখ, সুনীল দাস, বিশ্বনাথ ওরফে বিশ্ব পরামানিক, লিয়ন শিকদার, সুব্রত কুমার সাহা, মেহের হাসান ও মহি মোল্যা।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবদুল আহাদ নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সাজাপ্রাপ্তদের সঙ্গে মোড়েলগঞ্জের দৈবজ্ঞহাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা আনসার আলী দিদার, তার স্ত্রী মঞ্জু বেগম ও যুবলীগ নেতা শেখ শুকুর আলীর দ্বন্দ্ব ছিল। ২০১৮ সালের ১ অক্টোবর তারা দৈবজ্ঞহাটি ইউনিয়ন পরিষদের পাশে কলেজ মাঠে যুবলীগ নেতা শেখ শুকুর আলীকে গুলি করে হত্যা করে।
সেখান থেকে গিয়ে তারা ঘরে ঢুকে আওয়ামী লীগ নেতা আনসার আলীকে কুপিয়ে হত্যা করে। এরপর আনসার আলী দিদারের বাড়ি গিয়ে তার স্ত্রী মঞ্জু বেগমকে কুপিয়ে জখম করে। এতে মঞ্জু বেগমের দুই পা ও বুকের হাড় ভেঙে যায়। ২২ মাস পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২০ সালের ৩০ জুলাই তিনি মারা যান।
শুকুরের ভাই শেখ ফারুক আহমেদ মোড়েলগঞ্জ থানায় ওই বছরের ৩ অক্টোবর ৩১ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
২০১৯ সালের ৪ জুন পুলিশ ৫৮ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেয়। এই মামলায় আদালতে ৪৩ জন সাক্ষ্য দেন।