ঝাল-মুড়ি খাওয়াকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে আহত বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজের (শজিমেক) শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী মো. মেহেরাজ হোসেন ফাহিম ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
ফাহিম শজিমেকের ২৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও ঢাকার সবুজবাগের নুর মোহাম্মদের ছেলে। তিনি শেষ পর্বের পরীক্ষা সম্পন্ন করেছিলেন।
শজিমেকের অধ্যক্ষ ডা. রেজাউল আলম জুয়েল জানান, ওই শিক্ষার্থী ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মারা যান।
ছাত্রলীগের শজিমেক শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. মোফাজ্জল হোসেন রনি জানান, ‘ঘটনার তৃতীয় দিনে ফাহিমকে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকার এভারকেয়ারে নিয়ে যাওয়া হয়। রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তিনি মারা যান।
‘ওখানকার চিকিৎসকদের কাছ থেকে আমরা জানতে পেরেছি, ছুরিকাঘাতের পর ফাহিমের শরীরে ইনফেকশন ছড়িয়ে পড়ে। চিকিৎসকদের পক্ষে তা আর নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি।’
২৩ নভেম্বর সন্ধ্যার দিকে ফাহিম বন্ধুদের সঙ্গে শজিমেক হাসপাতালের দুই নম্বর গেটে আড্ডা দিচ্ছিলেন। ওই গেটে ফরিদ ব্যাপারি ও তার ছেলে শাকিল ব্যাপারি ঝাল-মুড়ির বিক্রি করতেন। সেখানে ঝাল-মুড়ি খাওয়া নিয়ে ফরিদ ব্যাপারির সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন ফাহিম। ওই সময় ফরিদের ছেলে শাকিল তার হাতে থাকা পেঁয়াজ কাটার চাকু দিয়ে ফাহিমের পেটে আঘাত করে পালিয়ে যান। পরে ফাহিমকে হাসপাতালে আইসিইউতে রাখা হয়। সেখানে দুই দিন থাকার পর ফাহিমকে ঢাকায় নিয়ে যান স্বজনেরা।
এ ঘটনায় ওইদিন পুলিশ ফরিদ ব্যাপারিকে গ্রেপ্তার করে। পরে রাতে শাকিলকেও গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার দুজনকে আসামি করে পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে ফাহিমের বাবা নুর মোহাম্মদ মামলা করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বগুড়া সদর থানার এসআই মো. রাসেল বলেন, ‘ঝাল-মুড়ি খাওয়াকে কেন্দ্র করে বাকবিতণ্ডার জেরে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। সেই শিক্ষার্থী রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মারা গেছেন। আসামিরা জেল-হাজতে রয়েছে।’