বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিএনপিকে কবর জিয়ারতে বাধা, আ.লীগের সঙ্গে গ্রামবাসীর সংঘর্ষ

  •    
  • ৩ ডিসেম্বর, ২০২২ ২২:২৪

এলাকার লোকজন জানান, এ সময় চরশিবপুর গ্রামের লোকজন মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে জড়ো হন। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে চেয়ারম্যান মো. শাহিন ও তার লোকজনের সঙ্গে চরশিবপুর গ্রামের লোকজনের সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত ২০ জন আহত হন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে পুলিশের গুলিতে নিহত ছাত্রদল নেতা নয়ন মিয়ার কবর জিয়ারতকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে ২০ জন আহত হয়েছে।

কবর জিয়ারতে গিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বাধার মুখে পড়েন। এক পর্যায় গ্রামবাসী মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে জড়ো হলে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংঘর্ষ বেধে যায়।

শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার সোনারামপুর ইউনিয়নের চরশিবপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

বিএনপি নেতাকর্মী, স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ জানায়, শনিবার বেলা ১১টার দিকে নয়ন মিয়ার কবর জিয়ারত ও তার পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিতে চরশিবপুর গ্রামে যান বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ সময় বিএনপি নেতা সায়দুজ্জামান কামালের সঙ্গে দলের সাবেক মহাসচিব খন্দকার দেলোয়ার হোসেনের বড় ছেলে অধ্যাপক খন্দকার আকবর হোসেনসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

স্থানীয়রা জানান, বেলা ১২টার দিকে উপজেলার দশানি ঘাট পার হয়ে চরশিবপুর ঘাটে পৌঁছালে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. শাহিন ও তার লোকজন বিএনপি নেতাকর্মীদের বাধা দেন। তারা বাধা অতিক্রম করে চরশিবপুর গ্রামে পৌঁছে নয়নের কবর জিয়ারত করেন।

এলাকার লোকজন আরও জানান, এ সময় চরশিবপুর গ্রামের লোকজন মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে জড়ো হন। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে চেয়ারম্যান মো. শাহিন ও তার লোকজনের সঙ্গে চরশিবপুর গ্রামের লোকজনের সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত ২০ জন আহত হন। এক পর্যায়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আহতরা হলেন, সোনারামপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য মনির হোসেন ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মিজানুর রহমান, সোনারামপুর ইউনিয়ন যুবলীগের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সভাপতি আইনউদ্দিন ভূঁইয়া, ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ওরফে আয়নাল, যুবলীগ কর্মী জয়নাল মিয়া।

এছাড়াও আহত হন গ্রামের আমির উদ্দিন, ফয়জন আলী, জাহিদুল হাসান ও রাসেল মিয়া। আহত সবাই বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে মনির, জয়নাল ও আনোয়ারকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

সোনারামপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহিন বলেন, ‘লোকজন নিয়ে ঘাটে বসে সভা করেছিলাম। তখন গ্রামের লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমরা বিএনপির নেতাকর্মীদের বাধা দেইনি।’

বাঞ্ছারামপুর থানার ওসি নূরে আলম বলেন, ‘গ্রামের লোকজনের সঙ্গে চেয়ারম্যানের দ্বন্দ্বের জেরে সংঘর্ষ হয়েছে।’ ১৯ নভেম্বর বিকেলে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা সদরে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে গুলিতে নিহত হন সোনারামপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহসভাপতি নয়ন।

এ বিভাগের আরো খবর