বেসকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরির ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতার মূল সনদ জমা রাখার বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।
রুল জারির পাশাপাশি রিটে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা-প্রোগ্রেসকে চাকরিচ্যুত এক ব্যক্তির মূল সনদ ফেরত দেয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
চাকরিচ্যুত হওয়ার পর বারবার আবেদন করেও সাড়া না পাওয়ায় মো. শাহান শাহ নামে এক ব্যক্তি ২৯ নভেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন।
রিটকারীর আইনজীবী মোহাম্মদ সেলিম মিয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা প্রোগ্রেসে চাকরি করতেন মো. শাহান শাহ। গত বছর তার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ তুলে চাকরিচ্যুত করা হয়। পরে তিনি তার মূল সনদ ফেরত চেয়ে আবেদন করেন প্রতিষ্ঠানের কাছে। প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বলা হয়, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে, সেই অভিযোগ তদন্তের পর সনদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
‘এরপর তিনি ক্ষুদ্রঋণ নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেন। ক্ষুদ্রঋণ নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ প্রোগ্রেসকে চিঠি দিয়ে মূল সনদ ফেরত দিতে কয়েক দফা চিঠি পাঠায়। তাতেও সাড়া দেয়নি প্রতিষ্ঠানটি।’ আইনজীবী সেলিম মিয়া বলেন, ‘আমরা হাইকোর্টে রিট করেছি। রিটে অর্থসচিব, ক্ষুদ্রঋণ নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের নির্বাহী সহসভাপতি ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা-প্রোগ্রেসের নির্বাহী পরিচালককে বিবাদী করেছি।’ সংবিধানের ৪০ অনুচ্ছেদের কথা উল্লেখ করে রিটকারীর এই আইনজীবী বলেন, ‘এ অনুচ্ছেদে পেশা বা বৃত্তির স্বাধীনতার কথা বলা হয়েছে। কোনো ব্যক্তির শিক্ষাগত মূল সনদ আটকে রাখতে পারে না। এটা সংবিধান পরিপন্থি।’ রিটটি শুনানির জন্য বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চের তালিকায় রয়েছে।রিট আবেদনে বলা হয়, মো. শাহেন শাহ ২০১৭ সালে এনজিও প্রোগ্রেসের ক্রেডিট অফিসার হিসেবে নিয়োগ পান। নিয়োগের সময় এনজিওটি তার কাছ থেকে এসএসসি, এইচএসসির মূল সনদ ও ব্ল্যাংক চেক জমা রাখে। চার বছর কাজ করার পর ২০২১ সালে তিনি চাকরিচ্যুত হন। এরপর থেকে তার বিরুদ্ধে অর্থ তছরুপের অভিযোগ এনে মূল সনদ আটকে রাখে।