বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

খাসজমির আধিপত্য নিয়ে ১৫ জন গুলিবিদ্ধ

  •    
  • ৩ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৮:৪০

সংঘর্ষের বিষয়ে ডাহিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল মজিদ মামুন বলেন, ‘আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। আমি এখন হাসপাতালে। আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করছি। তাদের সবাই গুলিবিদ্ধ।’

নাটোরের সিংড়ায় পূর্ববিরোধ ও খাসজমির দখল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১৫ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

শনিবার ভোর ৬টায় উপজেলার ডাহিয়া ইউনিয়নের বেড়াবাড়ি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এতে নারী, পুরুষ, বৃদ্ধসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।

আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বগুড়ার শহীদ জিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার বেড়াবাড়ি গ্রামে খাস জায়গা নিয়ে আধিপত্য বিস্তারের লড়াই চলে আসছে।

এই লড়াইয়ে এক পক্ষের নেতৃত্বে রয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-দপ্তর সম্পাদক রেজাউল করিম, তার সহোদর সাইফুল ইসলাম, ডাহিয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি ও ইউপি সদস্য মানিক হোসেন। অপর পক্ষের নেতৃত্বে রয়েছেন ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন।

শনিবার ভোরে দুই পক্ষের মধ্যে প্রথমে কথা-কাটাকাটি পরে গোলাগুলি শুরু হয়। এতে উভয় পক্ষের ২০ জন আহত হন। তাদের মধ্যে স্থানীয় শামীম, সবুজ, রিপন, আব্দুল মান্নান হাজি, আব্দুর রউফ, লাকী, সাইদুল, বাবু, নয়ন, আমিরুল ইসলাম, মোজাম্মেল, জামাল, শিরিনা খাতুন, জয়নুল ও সেন্টু গুলিবিদ্ধ হন।

সংঘর্ষের ঘটনায় এখন একে অপরকে দোষারোপ করছে দুই পক্ষ।

এক পক্ষের নেতৃত্বে থাকা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-দপ্তর সম্পাদক রেজাউল করিম বলেন, ‘জরুরি কাজে নাটোর শহরে আছি। আমি ও আমার ভাই এই ঘটনার সাথে জড়িত না।’

এই পক্ষের ইউপি সদস্য মানিক হোসেন বলেন, ‘আমি গ্রামে থাকি না। তবে এ ঘটনায় আমার পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।’

অন্য পক্ষের স্থানীয় ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘সাইফুল ও মানিক মেম্বারের নেতৃত্বে আমাদের লোকজনের ওপর অতর্কিত হামলা হয়। এতে আমাদের ১৬ জন আহত হয়েছে।’

সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মইনুল হক রিকো বলেন, ‘আহতরা সবাই গুলিবিদ্ধ। তাদের মধ্যে ৫ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি ও গুরুতর ১১ জনকে বগুড়ার শহীদ জিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপতালে পাঠানো হয়েছে।’

সংঘর্ষের বিষয়ে ডাহিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল মজিদ মামুন বলেন, ‘আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। আমি এখন হাসপাতালে। আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করছি। তাদের সবাই গুলিবিদ্ধ।’

সিংড়া থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে। এখন পর্যন্ত ঘটনাস্থল থেকে ৯ জনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর