মহাসড়কে অবৈধ যান চলাচল বন্ধসহ ১১ দফা দাবিতে রাজশাহী বিভাগে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট চলছে। ধর্মঘটের তৃতীয় দিনেও নাটোরে যাত্রীদের ভোগান্তির চিত্র দেখা গেছে।
শনিবার সকাল থেকেই শহরের পশ্চিম বাইপাস, বড়হরিশপুর বাইপাস, মাদ্রাসা মোড়, বনপাড়া বাইপাস থেকে কোনো বাস চলাচল করেনি। বাস চলাচল না করায় ভোগান্তিতে পড়েছে কর্মজীবী মানুষ ও বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতকারী যাত্রীরা। জরুরি প্রয়োজনেও অনেকেই গন্তব্যে যেতে পারছেন না।
হানিফ মোল্লা নামে এক যাত্রী জানান, তিনি পাবনার দাশুরিয়া থেকে নাটোরে আসবেন বলে বাড়ি থেকে বের হয়েছেন। যেহেতু অফিস করতেই হবে তাই অটোরিক্সা দিয়ে এসেছেন। ৫০ টাকার ভাড়া জায়গায় দেড়শ টাকা খরচ হয়েছে।
আনোয়ার হোসেন নামে আরেক যাত্রী বলেন, ‘বাস বন্ধ থাকাতে আমাদের অনেক দুর্ভোগ হচ্ছে। কীভাবে গন্তব্যে যাব তা নিয়ে খুবই দুশ্চিন্তায় আছি। আদৌ যেতে পারবো কিনা বলতে পারছি না।’
গত ২৬ নভেম্বর রাজশাহী বিভাগের ৮ জেলায় সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ সংশোধান করাসহ হাইকোর্টের নির্দেশানুযায়ী মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে থ্রি হুইলার, সিএনজি ও ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা চলাচল বন্ধ ও জ্বালানি তেলসহ যন্ত্রাংশের মূল্য হ্রাস করাসহ ১১ দফা বাস্তবায়নে পরিবহন ধর্মঘটের ঘোষণা দেয় রাজশাহী বিভাগীয় সড়ক পরিবহন মালিক শ্রমিক পরিষদ।
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, ‘রাজশাহীতে বিএনপির মহাসমাবেশকে বাধাগ্রস্থ করতেই সরকারের সহযোগী হিসাবে বাস ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন পরিবহন সংশ্লিষ্ঠরা। তারপরেও সরকার রাজশাহীর মহাসমাবেশের গণজোয়ার থামাতে পারেনি। ধর্মঘটের কারণে তিন চারদিন আগেই নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে উপস্থিত হয়েছেন।’
নাটোর বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি লক্ষণ পোদ্দার জানান, তাদের দীর্ঘদিনের দাবি আদায়ে আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছিল। কিন্তু ওই ব্যাপারে কোনও ঘোষণা না আসায় পূর্বঘোষিত কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় গণসমাবেশের সাথে এই কর্মসূচির কোন সম্পর্ক নেই।