বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশক তৌফিক ইমরোজ খালিদী আদালতের অনুমতি নিয়ে বিদেশে যেতে পারবেন বলে আদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
তার পাসপোর্ট জব্দে দুদকের আবেদনে সাড়া দেয়নি উচ্চ আদালত।
তৌফিক ইমরোজ খালিদীর জামিন বাতিল প্রশ্নে রুল নিষ্পত্তি করে বৃহস্পতিবার বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
হাইকোর্টের আদেশের ফলে খালিদীর জামিন বহাল থাকল বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা।
আদালতে খালিদীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক ও শাহরিয়া কবির।
দুদকের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আন্না খানম কলি।
বিডিনিউজ সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদীর জামিন বাতিল প্রশ্নে জারি করা রুল শুনানি নিয়ে গত ২৪ নভেম্বর দেয়া আদেশে হাইকোর্ট বলেছিল, ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিদেশ যেতে পারবেন না জ্যেষ্ঠ এই সাংবাদিক। বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে আদালত রায় দেয়।
দুদকের মামলায় ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ ইমরুল কায়েশ তৌফিক ইমরোজ খালিদীকে জামিন দেয়। তার সেই জামিন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করে দুদক।
ওই বছরের ৮ ডিসেম্বর রুল জারি করেছিল হাইকোর্ট। এরপর দীর্ঘদিন ধরে রুলের শুনানি হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, বিডিনিউজের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদী এইচএসবিসি ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের বিভিন্ন হিসাবে ৪২ কোটি টাকা জমা রেখেছেন, যার বৈধ উৎস নেই। এ টাকা তিনি প্রতারণার মাধ্যমে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে অবৈধ প্রক্রিয়ায় অর্জন করেছেন মর্মে তথ্য-উপাত্তে প্রাথমিকভাবে প্রমাণ করা হয়েছে।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, তৌফিক ইমরোজ খালিদী অস্থাবর সম্পদ অসাধু উপায়ে অর্জন করেছেন, যা তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ও জ্ঞাত আয়ের উৎসবহির্ভূত।
অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে তৌফিক ইমরোজ খালিদী বলেছেন, তার কোনো অবৈধ সম্পদ নেই; তিনি সব সময় নিয়ম মেনে চলার চেষ্টা করেছেন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত বিডিনিউজের ৯টি ও তৌফিক ইমরোজ খালিদীর নিজ নামে ১৩টি স্থায়ী আমানতের ৪২ কোটি টাকা অবরুদ্ধ (ফ্রিজ) করে রাখার আদেশ দেয়।
একই বছরের ২৬ নভেম্বর তাকে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। ওই সময় অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে এল আর গ্লোবাল (এলআরজি) অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির সিইও রিয়াজ ইসলামকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, জামিন বাতিল প্রশ্নে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে আদালত বলেছে, বিদেশ যেতে তাকে বিচারিক আদালত থেকে অনুমতি নিতে হবে। আদালত অনুমতি দিলেই তিনি বিদেশে যেতে পারবেন।