বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এএসপি আনিসুল হত্যা: ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

  •    
  • ১ ডিসেম্বর, ২০২২ ১২:৫০

মানসিক সমস্যার কারণে আনিসুল করিমকে ২০২০ সালের ৯ নভেম্বর মাইন্ড এইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তির কিছুক্ষণ পর হাসপাতাল কর্মচারীদের মারধরে তার মৃত্যু হয়।

রাজধানীর আদাবরের মাইন্ড এইড হাসপাতালে কর্মচারীদের মারধরে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনিসুল করিম নিহতের মামলায় অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এতে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের রেজিস্ট্রার আবদুল্লাহ আল মামুনসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

বুধবার ঢাকার আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) এ কে এম নাসির উল্যাহ এ অভিযোগপত্র জমা দেন।

অভিযোগপত্রে উল্লেখিত অন্য আসামিরা হলেন- মাইন্ড এইড হাসপাতালের পরিচালক আরিফ মাহামুদ, ফার্মাসিস্ট তানভীর হাসান, কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন, সাজ্জাদ আমিন, ফাতেমা খাতুন, হাসপাতালের সমন্বয়ক রেদোয়ান সাব্বির, হাসপাতালের কর্মচারী মাসুদ খান, জোবায়ের হোসেন, লিটন আহম্মেদ, সাইফুল ইসলাম, আবদুল্লাহ আল-আমিন,তানিফ মোল্লা, সজীব চৌধুরী ও অসীম কুমার পাল।

এছাড়া আসামি মুহাম্মদ নিয়াজ মোর্শেদ মৃত্যুবরণ করায় এবং আসামি ডা. নুশরাত ফারজানার বিরুদ্ধে অভিযোগের সতত্যা না পাওয়ায় মামলার দায় থেকে অব্যাহতির আবেদন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা।

মানসিক সমস্যার কারণে আনিসুল করিমকে ২০২০ সালের ৯ নভেম্বর মাইন্ড এইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তির কিছুক্ষণ পর হাসপাতাল কর্মচারীদের মারধরে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পরদিন ১০ নভেম্বর আদাবর থানায় আনিসুল করিম শিপনের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ফাইজুদ্দিন আহম্মেদ ১৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

তদন্ত শেষে ২০২২ সালের ৮ মার্চ ঢাকার আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও আদাবর থানার পরিদর্শক মো. ফারুক মোল্লা ১৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন। এ মামলার এজাহারে ডা. নুসরাত নামে একজনকে আসামি করা হয়নি। কিন্তু মামলার পর উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেন তিনি। তবে অভিযোগপত্রে তার নাম আসেনি। এএসপি আনিসের পরিবারের ধারণা, ডা. নুসরাত ঘটনার সঙ্গে জড়িত। না হলে কেন তিনি আগেই জামিন নিবেন। মামলাটি পুনরায় তদন্তের আবেদন করেন আনিসের বাবা ফাইজুদ্দীন আহম্মেদ। পরে আদালত তা মঞ্জুর করে পিবিআইকে প্রতিবেদন জমার নির্দেশ দেয়।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের ৩৩ ব্যাচের ছাত্র আনিসুল করিম ৩১ বিসিএসে পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পান। তিনি সর্বশেষ বরিশাল মহানগর পুলিশে কর্মরত ছিলেন। এক সন্তানের বাবা আনিসুলের বাড়ি গাজীপুরে।

এ বিভাগের আরো খবর