গাজীপুরের টঙ্গীতে পোশাককর্মীকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের অভিযোগে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আসামি গ্রেপ্তারে গিয়ে বাধা ও হামলার শিকার হওয়ায় আওয়ামী লীগ নেতাসহ আরও ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতার নাম লুৎফর রহমান কালু। তিনি টঙ্গী থানা আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক। পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে তাকে ও তার দুই স্ত্রী সোনিয়া আক্তার সনি ও ফাতেমা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আর ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বাবুল হোসেন বাবু ও আসাদুজ্জামান শাওন নামে দুজনকে।
টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফুল ইসলাম এসব নিশ্চিত করেছেন।
পোশাককর্মীর বরাতে তিনি জানান, শাওনের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তাদের মধ্যে বিভিন্ন সময় শারীরিক সম্পর্কও হয়েছে। সবশেষ গত সোমবার গভীর রাতে শাওন মেয়েটিকে নিজের এলাকায় ডেকে নেন। সেখানে পৌঁছালে স্থানীয় মরকুন কবরস্থানে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন শাওনের দুই বন্ধু বাবু ও রিপন। পরদিন ৯৯৯ এ কল পেয়ে পুলিশ গিয়ে মেয়েটিকে শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
ওসি বলেন, ‘ওই তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালায় পুলিশ। সেসময় অভিযুক্তরা ও তাদের পরিবারের অন্য সদস্যরা পুলিশকে বাধা দেয়। পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশের এক কনস্টেবল আহত হয়।
‘পরে ঘটনাস্থল থেকে ধর্ষণে অভিযুক্ত দুই যুবকসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় এসআই নজরুল ইসলাম ১২ জনের নামসহ অজ্ঞাতপরিচয় ১০ থেকে ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। আর ধর্ষণের ঘটনায় ভিকটিমের করা মামলায় ৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।’