বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ফরিদপুরে বিএনপির সমাবেশে হামলা, ভাঙচুর

  •    
  • ৩০ নভেম্বর, ২০২২ ২২:৪১

বিএনপির ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ এই হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘পুলিশের গুলিতে এ পর্যন্ত বিএনপির ১১জন নেতা-কর্মী নিহত হয়েছে। তার প্রতিবাদে চারদিন আগে আমরা এ বিক্ষোভ কর্মসূচি দিয়েছি। পুলিশের তত্ত্বাবধানে ছাত্রলীগ-যুবলীগ এই হামলা করেছে। আর পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় ককটেল রেখে গায়েবি মামলা দিচ্ছে।’

হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণে ফরিদপুরে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে পণ্ড হয়ে গেছে।

ফরিদপুর প্রেসক্লাব চত্বরে বুধবার বিকেলে এই হামলার সময় বেশকিছু চেয়ার ভাঙচুর করা হয়। বিএনপির পক্ষ থেকে এই হামলার জন্য ছাত্রলীগ ও যুবলীগকে দায়ী করা হয়েছে।

মিথ্যা মামলা, পুলিশি নির্যাতন ও গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ সমাবেশ আয়োজন করে বিএনপির ফরিদপুর মহানগর শাখা। এতে সভাপতিত্ব করেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এ এফ এম আব্দুল কাইউম।

সমাবেশে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেয়ার কথা ছিল যথাক্রমে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান ও বিএনপির ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদের। তবে হামলার সময় তারা সমাবেশস্থলে ছিলেন না।

সমাবেশ উপলক্ষে ফরিদপুর প্রেসক্লাব চত্বরে ছোট আকারের একটি মঞ্চ করা হয়। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সমাবেশের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ তখনও ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছেননি। ওই সময় মঞ্চে অন্যান্যদের মধ্যে বসা ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেছ আলী ও সদস্য সচিব এ কে কিবরিয়া।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিকেল পৌনে ৪টার দিকে হেলমেট ও মাস্ক পরিহিত ৩০/৩৫ জন তরুণ লাঠি ও ইট নিয়ে সভাস্থলে হামলা চালায়। তারা ব্যানার ছিনেয়ে নেয় ও চেয়ার ভাংচুর করে। এ সময় হামলাকারীরা তিনটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়।

ওই সময় পুলিশ সিজান নামে ছাত্রদলের এক কর্মীকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে। এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাদের ধ্বস্তাধ্বস্তি হয়।

হামলার পর ড. আব্দুল মঈন খান ও শামা ওবায়েদ ঘটনাস্থলে আসেন।

শামা ওবায়েদ এই হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘পুলিশের গুলিতে এ পর্যন্ত বিএনপির ১১জন নেতা-কর্মী নিহত হয়েছে। তার প্রতিবাদে চারদিন আগে আমরা এ বিক্ষোভ কর্মসূচি দিয়েছি। পুলিশের তত্ত্বাবধানে ছাত্রলীগ-যুবলীগ এই হামলা করেছে।

আমরা দেখেছি পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় ককটেল রেখে গায়েবি মামলা দিচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় এখানে ককটেল ফাটিয়ে আমাদের লোকদের ধরপাকড় করেছে।’

মঈন খান বলেন, সাধারণ মানুষ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর সরকারের নির্যাতনের বিরুদ্ধে এবং ১১ জন নেতাকর্মী নিহত হওয়ার প্রতিবাদে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। আর একটি শান্তিপূর্ণ ছোট সমাবেশ করতে এসে আমরা হামলার শিকার হলাম।’

জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ কে কিবরিয়া বলেন, ‘হামলায় আমাদের আট নেতা-কর্মী আহত হয়েছে। পুলিশ রিতু, কামাল, রাজীব ও সিজানসহ ছাত্রদলের বেশ কয়েকজন কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে।’

ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল বলেন, ‘ফরিদপুর বিএনপি শামা ওবায়েদ ও নায়াব ইউসুফ এই দুই ভাগে বিভক্ত। তাদের নিজেদের মধ্যে বিরোধ থেকে সভাস্থলে হামলা ও ভাংচুর হয়েছে।

‘হামলা ঠেকাতে গিয়ে পুলিশের পাঁচ সদস্য আহত হয়েছে। পুলিশ শর্টগানের ১১ রাউন্ড গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।’

এ বিভাগের আরো খবর