বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দুই বিবেচনায় জামায়াত-বিচ্ছেদ গোপন বিএনপির

  •    
  • ২৯ নভেম্বর, ২০২২ ১৭:২৫

জামায়াতকে বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির আবার সম্ভাব্য জোটকে মোকাবিলায় পিছিয়ে পড়ার আশঙ্কা আছে। আবার জামায়াত জোটে থাকলে যুগপৎ আন্দোলনে অন্য দলগুলোকে কাছে পাওয়ার বাসনাও পূরণ হওয়া নিয়ে আছে অনিশ্চয়তা। এর অংশ হিসেবেই দলটি থেকে দূরত্ব রাখার কৌশল আছে।

বিএনপির সঙ্গে জোট নেই, দলের নেতা-কর্মীদের জানিয়ে দিয়েছেন জামায়াতের আমির। কিন্তু ‘রা’ নেই বিএনপির মুখে। এর মধ্যে রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির বর্জনের মুখেও জামায়াতের প্রার্থী দেয়ার মধ্যে রাজনৈতিক সমীকরণটাও স্পষ্ট। তবু সম্পর্ক স্পষ্ট করছে না বিএনপি। কেবল দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, এখন থেকে বিএনপি-জামায়াত আর নয়।

কেবল জামায়াত নয়, ২০-দলীয় জোটের বেশির ভাগ শরিকের সঙ্গেই বিএনপির যোগাযোগ একেবারে তলানিতে। যুগপৎ আন্দোলনের পরিকল্পনার কথা বলে গত জুলাই থেকে রাজপথে কর্মসূচি বাড়িয়ে কেবল শরিকদের নয়, যাদের সঙ্গে সংলাপ, তাদেরও ডাকছে না দলটি।

কেন জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি বিএনপি স্পষ্ট করে না, এমন প্রশ্নে ২০-দলীয় জোটের সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম খান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘১০ ডিসেম্বরের পর এসব নিয়ে প্রশ্ন করেন। এখন আমরা অনেক ব্যস্ত আছি।’

বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের শীর্ষস্থানীয় একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বললে তারাও নিশ্চিত করেন, জামায়াতের সঙ্গে এখন কোনো পর্যায়ে রাজনৈতিক যোগাযোগ নেই। এমনকি বিএনপি বিভিন্ন দল ও জোটের শরিকদের সঙ্গেও যুগপৎ আন্দোলন নিয়ে যে সংলাপ করেছে, সেখানেও ডাকা হয়নি জামায়াতকে।

এর মধ্যে গত আগস্টের শেষে কুমিল্লা জামায়াতের একটি রুকন সম্মেলনে ভার্চ্যুয়ালি যোগ দিয়ে দলটির আমির শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা এতদিন একটা জোটের সঙ্গে ছিলাম। আপনারা শুনে হয়তো ভাবছেন কী হয়েছে এখন। হ্যাঁ, হয়ে গেছে।’

বিএনপির প্রতি দোষ দিয়ে তিনি বলেন, ‘এই বিষয়টি এখন আমাদের কাছে স্পষ্ট, দিবালোকের মতো পরিষ্কার এবং তারা আমাদের সঙ্গে বসে এটা স্বীকার করেছে। …বছরের পর বছর এই ধরনের অকার্যকর জোট চলতে পারে না।…একটা জোটের সঙ্গে কি কেয়ামত পর্যন্ত থাকব?... কোনো অ্যালায়েন্স আপনারা করবেন না, বাস্তবতাও নাই, পারবেনও না।’

বিএনপির পক্ষ থেকে এই বক্তব্যের বিপরীতে কোনো জবাব দেয়া হয়নি। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এ বিষয়ে তারা কিছুই বলবেন না। সাংবাদিকদের প্রশ্নে এ-ও বলেছেন, কিছু না বলতে চাওয়া তার গণতান্ত্রিক অধিকার।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ করে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘জোট ভেঙে গেছে অনেক আগেই। নানা প্রতিকূলতা আর সিদ্ধান্তহীনতার কারণে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হচ্ছে না।’

কী সেই প্রতিকূলতা আর সিদ্ধান্তহীনতা?- এই প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘প্রতিকূলতা বলতে দলের সিদ্ধান্তহীনতার কথাই বলছি। সেটা বিএনপিরও হতে পারে, জামায়াতেরও হতে পারে। এটা তো খোলাসা করে বলা মুশকিল।’

তবে এই সিদ্ধান্তহীনতা দূর হবে- এমন প্রশ্নে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এই নিয়ে কোনো সিদ্ধান্তই হয়নি।’

দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য জমির উদ্দিন সরকার বলেন, ‘জোট আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে দেয়া হয়নি, ফলে এখনও আছে।

‘সংলাপে জোটের শরিক দলগুলো একমত হয়েছে, তারা যুগপৎ আন্দোলনটা শুরু করবে। যার যার অবস্থান থেকে আন্দোলন শুরু হয়ে চলতে থাকবে। যারা আন্তরিকতার সঙ্গে সেই আন্দোলনে থাকবে, তারা কোনো একপর্যায়ে গিয়ে আবার ঐক্যবদ্ধ হবে কি না সেটা এখনই বলা যাবে না। আন্দোলনের গতি-প্রকৃতির ওপর সেটা নির্ভর করবে।’

২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে সে সময়ের চারদলীয় জোটের নেতারা এক মঞ্চে। ফাইল ছবি

বিএনপির না হয় নানা হিসেবনিকেশ। রংপুরে প্রার্থী দিয়ে বিএনপির সঙ্গে মতভিন্নতা স্পষ্ট করার পরও জামায়াতের গোপনীয়তার কী বাকি- এমন প্রশ্ন নিয়ে দলটির মুখপাত্র মতিউর রহমান আকন্দের সঙ্গে যোগাযোগ করে হতাশ হতে হয়।

নারী কণ্ঠে প্রশ্ন শুনে তিনি কথা বলতেই চাননি। পরে অন্য একজনকে দিয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি জোট নয়, কথা বলেন যুগপৎ আন্দোলন নিয়ে।

তিনি বলেন, ‘যুগপৎ আন্দোলন চূড়ান্ত হলে আমাদের সঙ্গে (বিএনপির) সংলাপ হবে।’

বিএনপির ‘দুই ভয়’

ভোটের সমীকরণের হিসাবনিকাশের কারণে স্বাধীনতাবিরোধী দলটির সঙ্গে বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়ে দেয়াও কঠিন। জামায়াতকে বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির আবার সম্ভাব্য জোটকে মোকাবিলায় পিছিয়ে পড়ার আশঙ্কা আছে। এ কারণে শেষ পর্যন্ত জোটের বিষয়ে ধোঁয়াশা রেখে দেয়ার একটি ভাবনা আছে।

জামায়াতের একটি ভোটব্যাংক আছে উত্তরাঞ্চল, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল, উত্তর-পূর্ব ও চট্টগ্রাম বিভাগে। সব মিলিয়ে ৭০ থেকে ৮০টি আসনে ভোটের লড়াইয়ে বিএনপিকে সুবিধা এনে দেয় তা।

আবার জামায়াত জোটে থাকলে যুগপৎ আন্দোলনে অন্য দলগুলোকে কাছে পাওয়ার বাসনাও পূরণ হওয়া নিয়ে আছে অনিশ্চয়তা। এর অংশ হিসেবেই দলটি থেকে দূরত্ব রাখার কৌশল আছে।

২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনেই বিএনপি বিষয়টি নিয়ে ভুগেছে। ভোটের আগে আগে ভারতীয় একটি প্রভাবশালী দৈনিককে দেয়া সাক্ষাৎকারে বিএনপির জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রধান নেতা ড. কামাল হোসেন বলেছিলেন, জামায়াত জোটে আছে জানতে পারলে তারা বিএনপির সঙ্গে সম্পর্কই গড়তেন না।

এবারও বৃহত্তর বা যুগপৎ আন্দোলনের ক্ষেত্রে জামায়াত ইস্যু কোনো বাধা হয়ে দাঁড়ায় কি না, এই ভাবনা থেকে দলটির সঙ্গে কোনো প্রকাশ্য আলোচনায় যায়নি দলটি। যদিও গত আগস্টে এই জোট ভেঙে যাওয়ার কথা জানিয়ে কুমিল্লা ইউনিটের রুকন সম্মেলনে জামায়াত আমির শফিকুর রহমান বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে আপত্তি নেই তাদের।

ভোটের হিসাবনিকাশ

পাকিস্তান আমলে ১৯৭০ সালের নির্বাচন এবং স্বাধীন বাংলাদেশের বিভিন্ন জাতীয় নির্বাচনের ফল বিবেচনা করে দেখা যায়, জামায়াতে ইসলামীর ভোট ৫ থেকে ৭ শতাংশের মধ্যেই থাকে। এর মধ্যে ১৯৯১ সালেই কেবল তা লাফ দিয়েছিল, তবে সে সময় বিএনপির সঙ্গে অঘোষিত সমঝোতা একটি কারণ হতে পারে।

১৯৭০ সালের নির্বাচনে ৬ শতাংশ ভোট পাওয়া জামায়াত মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের পক্ষে অস্ত্র ধরে যুদ্ধ শেষে নিষিদ্ধ হয়। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের শাসনামলে রাজনীতিতে ফেরার সুযোগ পাওয়ার পর ১৯৮৬ সালের জাতীয় নির্বাচনে তারা অংশ নেয়। সেই নির্বাচনে দলটি ভোট পায় ৪ দশমিক ৬ শতাংশ। আসন পায় ১০টি।

বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে সমঝোতায় ভোটের রাজনীতিতে কতটা প্রভাব পড়ে, সেটি বোঝা গেছে ১৯৯১ ও ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে।

এরশাদ পতনের পর প্রথমবারের ভোটে আওয়ামী লীগকে দ্বিতীয় অবস্থানে ঠেলে দিয়ে বিএনপির ক্ষমতায় আসা নিয়ে এখনও আলোচনা হয় যে, এটা কীভাবে হলো।

ওই নির্বাচন নিয়ে জামায়াতের নায়েবে আমির মুজিবুর রহমানের লেখা একটি বইয়ের তথ্য বলছে, পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে জামায়াতকে অঘোষিতভাবে ৩৫ আসনে সমর্থন দেয় বিএনপি। আর বিএনপিকে শতাধিক আসনে ভোট দেয় দলটি।

সেই নির্বাচনে বিএনপি আসন পায় ১৪০টি, জামায়াত পায় ১৮টি। আর আওয়ামী লীগ পায় ৮৮ আসন।

ওই নির্বাচনে দুই প্রধান দলের ভোট ছিল একেবারেই কাছাকাছি। ধানের শীষ নিয়ে বিএনপি পায় মোট ভোটের ৩০ দশমিক ৮ শতাংশ। আর নৌকা নিয়ে আওয়ামী লীগ পায় ৩০ দশমিক ১০ শতাংশ।

জামায়াতের বাক্সে পড়ে ১২ দশমিক ১০ শতাংশ ভোট। দলটির রাজনৈতিক ইতিহাসে স্বাভাবিক হারের দ্বিগুণের বেশি ভোট পাওয়াতেই এটা স্পষ্ট হয় যে নেপথ্যে কিছু একটা ছিল।

২০০১ সালের অষ্টম সংসদ নির্বাচনে আনুষ্ঠানিক জোটই করে দল দুটি। সঙ্গে ছিল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টি থেকে বের হয়ে আসা একটি অংশ, যারা এরশাদ জোট ছাড়ার পরেও বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে থেকে যায়। একই সঙ্গে ছিল কওমি মাদ্রাসাকেন্দ্রিক দলগুলোর মোর্চা ইসলামী ঐক্যজোট।

এই সম্মিলিত শক্তিতে আওয়ামী লীগকে বলতে গেলে উড়িয়ে দেয় তারা। ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে এই জোট আসন পায় দুই শতাধিক, যার মধ্যে বিএনপি একাই পায় ১৯৩টি, জামায়াত পায় ১৭টি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি বা বিজেপি পায় চারটি, ইসলামী ঐক্যজোট পায় দুটি আসন।

ওই বছর আওয়ামী লীগ আসন পায় ৬২টি। এর মধ্যে উপনির্বাচনে দলটি আরও চারটি আসন হারিয়ে ফেলে। শেষ পর্যন্ত আসন দাঁড়ায় ৫৮তে।

সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির ভোটের পার্থক্য ছিল কম। বিএনপি পায় মোট ভোটের ৪১ দশমিক ৪০ শতাংশ। আর আওয়ামী লীগ পায় ৪০ দশমিক ০২ শতাংশ।

জামায়াতের আসন ১৭টি হলেও তাদের ভোট ছিল ৪ দশমিক ২৮ শতাংশ।

মাঝে ১৯৯৬ সালে যে দুইবার ভোট হয়, তার মধ্যে ১৫ ফেব্রুয়ারির ভোট আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির মতো বর্জন করে জামায়াতও। ওই বছরের ১২ জুন সব দল একক শক্তিতে যে নির্বাচন করে, তাতে জামায়াতের ভোট আবার কমে যায়।

ওই বছর মোট ভোটের ৩৭ দশমিক ৪০ শতাংশ পড়ে আওয়ামী লীগের বাক্সে। দলটি আসন পায় ১৪৬টি। বিএনপি ১১৬টি আসন পায়। মোট ভোটের ৩৩ দশমিক ৬০ শতাংশ পায় দলটি।

অর্থাৎ এই নির্বাচনেও যদি বিএনপি ও জামায়াতের সমঝোতা থাকত, তাহলে তারা আওয়ামী লীগের চেয়ে বেশি ভোট পেতে পারত। আর এরশাদ সরকারের পতনের পর যে দুটি নির্বাচনে বিএনপি ভোট কিছুটা বেশি পেয়েছে, দুটিতেই আসন অনেক বেশি নিয়ে সরকার গঠন করেছে।

২০০৮ সালের পর নতুন সমীকরণ

২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে তৈরি হয় নতুন সমীকরণ। ওই বছর আওয়ামী লীগও ভোটে নামে জোটের শক্তি নিয়ে। জাতীয় পার্টির একটি উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ভোট যোগ হওয়ার পর বিএনপির জোট আর পাত্তা পায়নি।

এই নবম সংসদ নির্বাচনে ৪৮ দশমিক ০৪ শতাংশ ভোট পেয়ে আওয়ামী লীগ আসন পায় ২৩০টি। এই ভোটের মধ্যে জাতীয় পার্টি ও অন্য শরিকদের সমর্থকদের অংশগ্রহণও ছিল।

আর বিএনপির ধানের শীষে ভোট পড়ে ৩২ দশমিক ৫০ শতাংশ। আসন হয় ৩০টি।

জোটের শক্তিতে বলীয়ান হয়ে জাতীয় পার্টিও পায় ২৭টি আসন। আওয়ামী লীগের ভোটাররাও লাঙ্গলে সিল দেয়ার পর দলটির ভোট দাঁড়ায় ৭ দশমিক ০৪ শতাংশ, যা ছিল আগের নির্বাচনের চেয়ে বেশি।

ওই নির্বাচনে জামায়াতের দাঁড়িপাল্লায় ভোট পড়ে ৪ দশমিক ৭০ শতাংশ, যা আগের নির্বাচনের চেয়ে বেশি, তবে আসন কমে হয় দুটি।

২০০৬ সালে পল্টনে লগি-বৈঠা হাতে থাকা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন প্রাণহানি হয়। সে সময় সরকারের পক্ষ থেকে কাঙ্ক্ষিত সহায়তা পায়নি জামায়াত। ফাইল ছবি

ঘোষণা দিয়ে বিএনপির জোট ছেড়েছে যারা

বিএনপি জোট থেকে গত কয়েক বছরে বের হয়ে গেছে বেশ কয়েকটি দল। এর মধ্যে রয়েছে প্রয়াত আবুল হাসনাত আমিনীর নেতৃত্বাধীন ইসলামী ঐক্যজোট, আন্দালিভ রহমান পার্থের বিজেপি, জেবেল রহমান গানির বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ, মুহম্মদ ইসহাকের নেতৃত্বাধীন খেলাফত মজলিস, প্রয়াত নূর হোসেন কাসেমীর জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এনডিপি ও হামদুল্লাহ আল মেহেদীর নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ লেবার পার্টি।

অবশ্য এই দলগুলো ২০-দলীয় জোট ছেড়ে গেলেও জোটে দলের সংখ্যা কমেনি একটিও। কারণ, যে দল জোট ছেড়েছে, সে দলের কয়েকজন নেতা একই নামে দল করে ২০-দলীয় জোটের শরিক হিসেবে থেকে গেছে।

আরও পড়ুন বিএনপির ওপর জামায়াত নাখোশ ‘তিন কারণে’

বিএনপি-জামায়াতের বিচ্ছেদে কতটা পাল্টাবে রাজনীতি

এ বিভাগের আরো খবর