বন্ধুর প্রেমিকাকে বাসায় ডেকে নিয়ে ধর্ষণ ও মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণের অভিযোগে মসজিদের ইমাম, মাদ্রাসার শিক্ষক ও এক কলেজছাত্রকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার জাকির হোসেন মজুমদার সোমবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আসামিরা হলেন নগরীর রূপাতলী উকিল বাড়ি সড়কের জামিয়া কাসিমিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক আবিদ হাসান রাজু, বাবুগঞ্জ উপজেলার গাঙ্গুলি বাড়ি মোড় এলাকার বাইতুল মামুর জামে মসজিদের ইমাম আবু সাইম হাওলাদার এবং সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের ছাত্র হৃদয় ফকির।
এয়ারপোর্ট থানা-পুলিশের ওসি হেলাল উদ্দিন জানান, ধর্ষণের অভিযোগ তোলা তরুণীর মামলা হয় রোববার রাতে। এরপর অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয় তাদের।
তিনি জানান, গ্রেপ্তার তিনজন আগে একই বাসায় ভাড়া থাকতেন। সেই সূত্রে পরিচয়। নিজেরা পরিকল্পনা করে এই ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন।
এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা বাদীর হবু বরের বন্ধু। গত ২০ আগস্ট রাতে বাদীকে হৃদয় কল করে জানায়, তার হবু বরের অন্য নারীর সঙ্গে সম্পর্ক আছে; প্রমাণ চাইলে ২৭ আগস্ট হৃদয়ের ভাড়া বাসায় আসতে হবে।
বাদী জানান, তিনি ফাঁদে পা দেন ও সেদিন সকালে সেখানে যান। এরপর তাকে আটকে রেখে আসামিরা ধর্ষণ করেন, ভিডিও ধারণ করেন মোবাইল ফোনে। এরপর সেই ভিডিও ভাইরাল করার হুমকি দিয়ে তাকে আরও কয়েকবার ধর্ষণ করা হয়। একপর্যায়ে আসামিরা তার কাছে টাকা চাইতে থাকেন। তা না দেয়ায় সম্প্রতি হবু বরের পরিবারের কাছে ওই ভিডিও পাঠিয়ে দেয়া হয়। এরপরই বিষয়টি জানাজানি হয়।
হবু বরের সহায়তায় ওই তরুণী রোববার থানায় গিয়ে মামলা করেন।