নীলফামারীর উত্তরা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (ইপিজেড) এর বন্ধ চারটি কারখানা খুলে দেয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকেরা। সোমবার বেলা ১১টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ইপিজেডের সামনে আসেন কয়েক হাজার শ্রমিক। এক পর্যায়ে তারা ইপিজেডের ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের বাঁধা প্রদান করেন। এতে উত্তেজনা দেখা দিলে তাদের ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চার কারখানার কয়েকজন শ্রমিক জানান, কারখানা কর্তৃপক্ষ তাদের প্রাপ্য বেতন নিয়মিত পরিশোধ করে না। অসুস্থতার কারণে ছুটি চাইলে তাদের সঙ্গে অশালীন আচরণ ও গালিগালাজ করা হয়। এছাড়া অতিরিক্ত সময় কাজ (ওভারটাইম) করলেও সেই পারিশ্রমিক দেওয়া হয় না। তাদের বিরুদ্ধে কথা বললে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ তাদের। শ্রমিকরা জানান, আজ তারা শুধুমাত্র ইপিজেডে কারখানাগুলো পুনরায় চালুর দাবিতে একত্রিত হয়েছেন। তারপরও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বহিরাগতরা তাদের উপর হামলা চালায়।
এর আগে গত রোববার শ্রমিক অসন্তোষের জেরে উত্তরা ইপিজেডের দেশবন্ধু টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড, সেকশন সেভেন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড, ইপিএফ প্রিন্ট লিমিটেড এবং মেইগো বাংলাদেশ লিমিটেড কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষনা করে কর্তৃপক্ষ।
নোটিশে বলা হয়,গত গত শনিবার কিছু শ্রমিক কাজে যোগ না দিয়ে প্রধান ফটকের সামনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে অন্যান্য শ্রমিকদেরও কাজে বাধা দিয়ে বেআইনিভাবে উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ রাখেন। এর ফলে উৎপাদন কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে এবং প্রতিষ্ঠানগুলো মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়ে।
নোটিশে আরও উল্লেখ করা হয়, কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে শ্রমিকদের কাজে যোগ দিতে এবং যেকোনো দাবি–দাওয়া আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের আহ্বান জানানো হলেও তারা নির্দেশ অমান্য করে কাজ বন্ধ রাখেন। শ্রমিকদের জোরপূর্বক উৎপাদন বন্ধ রাখা ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে কার্যক্রম পরিচালনা করা অসম্ভব হয়ে পড়ায় আইন অনুযায়ী চারটি কারখানার কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।