বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঝড়ের গতিতে দর কমছে বিপিএমএল-ওরিয়ন ইনফিউশনদের

  •    
  • ২৮ নভেম্বর, ২০২২ ১৬:৩৮

সোমবার প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় দ্বিগুণ ৩৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ৬ হাজার ১৯৭ পয়েন্টে। সূচকের অবস্থান এর চেয়ে কম ছিল পাঁচ কর্মদিবস আগে ২১ নভেম্বর। সেদিন ডিএসইএক্সের অবস্থান ছিল ৬ হাজার ১৯০ পয়েন্টে।

আগের দিন সূচক ১৭ পয়েন্ট ও লেনদেন সামান্য বাড়লেও হতাশা কাটাতে না পারা পুঁজিবাজারে এক দিন পরই দ্বিগুণ পতন হলো।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সোমবার দরপতনের কারণ ফ্লোর প্রাইস কার্যকরের পর উড়তে থাকা কোম্পানিগুলো দরপতন। কারণ ওই সব কোম্পানির দর কমছে ঝড়ের গতিতে।

প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় দ্বিগুণ ৩৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ৬ হাজার ১৯৭ পয়েন্টে। সূচকের অবস্থান এর চেয়ে কম ছিল পাঁচ কর্মদিবস আগে ২১ নভেম্বর। সেদিন ডিএসইএক্সের অবস্থান ছিল ৬ হাজার ১৯০ পয়েন্টে।

সূচক পতনে ভূমিকা রেখেছে লাফিয়ে দর বাড়া বিকন ফার্মা, বসুন্ধরা পেপার, ওরিয়ন ইনফিউশন, ওরিয়ন ফার্মা ও ইস্টার্ন হাউজিংয়ের মতো কোম্পানিগুলো। গত ৩১ জুলাই ফ্লোর প্রাইস আরোপের পর ৩০টি শেয়ারের দরবৃদ্ধির ওপর ভর করে পুঁজিবাজারে যে উত্থান দেখা দেয়, ওই দরবৃদ্ধির তালিকায় রয়েছে এসব কোম্পানির শেয়ার।

সেই উত্থানে সামগ্রিক পুঁজিবাজার লাভবান না হলেও বর্তমানে সেসব শেয়ারের দরপতনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে শেয়ারবাজারে।

আজ ওরিয়ন গ্রুপের বিকন ফার্মার দর ৫ শতাংশ দরপতনে সূচক কমেছে ৭ দশমিক ৩৮ শতাংশ। বসুন্ধরা পেপার কমিয়েছে ৩ দশমিক ২৯ শতাংশ। বহুল আলোচিত ওরিয়ন ইনফিউশন ও ওরিয়ন ফার্মা যথাক্রমে ২ দশমিক ০৩ ও ২ দশমিক ২৯ পয়েন্ট করে সূচক কমিয়েছে।

এ ছাড়া বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল, জেনেক্স ইনফোসিস, সামিট পোর্ট অ্যালায়েন্স, ইস্টার্ন হাউজিং, লাফার্জ হোলসিম, জেএমআই হসপিটালের দরপতনে সূচক কমেছে। এ ১০টি কোম্পানি ২৫ দশমিক ১৯ পয়েন্ট সূচক কমিয়েছে।

ডিএসইতে শেয়ার হাতবদল হয়নি ১০১টি কোম্পানির। এর মধ্যে রেকর্ড ডেটের কারণে ১১টি কোম্পানির লেনদেন বন্ধ ছিল।

বাকি যে ২৮৯টি কোম্পানির লেনদেন হয়, তার মধ্যে ২০৬টির শেয়ার হাতবদল হয় সর্বনিম্ন মূল্যস্তর বা ফ্লোর প্রাইসে। আর দরবৃদ্ধির তুলনায় দরপতনের সংখ্যা সাত গুণের বেশি। এদিন ১০টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দরপতন হয় ৭৩টির।

আগের দিনের মতো আজও লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। দিনভর হাতবদল হয়েছে ৪১৬ কোটি ৭৫ লাখ ২৫ হাজার টাকার, যা আগের দিনের তুলনায় ৭৭ কোটি ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা বেশি। রোববার লেনদেন হয়েছিল ৩৩৯ কোটি ৭৩ লাখ ৭০ হাজার টাকার।

১১৪টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয় ১ থেকে ১ হাজারের মধ্যে। কোটি টাকার বেশি শেয়ার লেনদেনে হয়েছে মাত্র ৫১টি কোম্পানির। এ লেনদেনের পরিমাণ ২৮৮ কোটি ২১ লাখ ৩ হাজার টাকার। বাকি ২৩৮টি কোম্পানিতে লেনদেন হয় ১২৮ কোটি ৫৪ লাখ ২২ হাজার টাকার।

যেভাবে কমছে দর

তুমুল আলোচিত ওরিয়ন ইনফিউশনের দর কমছে ধারাবাহিকভাবেই। ২৮ জুলাইয়ে ১০৪ টাকা ৭০ পয়সা লেনদেন হওয়া শেয়ারটি ফ্লোর প্রাইস কার্যকরের পর উড়তে শুরু করে। ২৭ অক্টোবর এর দর সর্বোচ্চ ৯৭৩ টাকা ৯০ পয়সায় ঠেকে। মাঝেমধ্যে বাড়লেও ক্রমাগত দর হারাচ্ছে কোম্পানিটি। ৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ দর কমে সোমবার শেয়ারটি হাতবদল হয় ৫৬৬ টাকা ৯০ পয়সায়।

জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে ৭৮ টাকায় লেনদেন হওয়া গ্রুপের আরেক কোম্পানি ওরিয়ন ফার্মার দর সেপ্টেম্বরে ১৪৯ টাকায় ঠেকে। সোমবার ৫ দশমিক ১২ শতাংশ কমে শেয়ার হাতবদল হয় ৮৩ টাকা ৪০ পয়সায়।

ওই গ্রুপেরই বিকন ফার্মার দর কমে ৫ দশমিক ০৬ শতাংশ। জুলাইয়ে এ কোম্পানির দর ছিল ২৪০ টাকার মতো। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহেই তা ৩৮০ টাকা ছাড়িয়ে যায়। সোমবার সেটি হাতবদল হয় ২৭৫ টাকা ৮০ পয়সায়।

অক্টোবরের শেষ সপ্তাহেও বসুন্ধরা পেপারের লেনদেন হয়েছিল ৭০ টাকার নিচে। ১৫ দিনের ব্যবধানে শেয়ারটির দর গিয়ে দাঁড়িয়েছিল ১২১ টাকার ওপরে। এরপর মাঝে মাঝে বাড়লেও প্রায় প্রতিদিনই দর কমছে।

সোমবার ১০ শতাংশ কমে শেয়ারটি হাতবদল হয় ৭৮ টাকা ৩০ পয়সায়। আগের দিনে দর ছিল ৮৭ টাকা।

দর দ্বিগুণ বেড়ে ১১৬ টাকায় উঠেছিল জেনেক্স ইনফোসিসের শেয়ারদর। এরপরই উল্টো পথে ছুটতে দেখা গেছে শেয়ারটি। আজ ৯ দশমিক ৭৮ শতাংশ কমে শেয়ার লেনদেন হয় ৯০ টাকা ৪০ পয়সা।

সামিট পোর্ট অ্যালায়েন্সের দর উঠেছিল ৩৮ টাকা ২০ পয়সায়, যা ৯ দশমিক ৭০ শতাংশ কমে লেনদেন হয় ৩০ টাকায়।

সেপ্টেম্বরে ৭৬ টাকায় লেনদেন হওয়া ইস্টার্ন হাউজিং অক্টোবরে ১৪০ টাকায় গিয়ে ঠেকে। সেখান থেকে কমতে কমতে আজ হাতবদল হয় ৭৬ টাকা ৮০ পয়সায়। দর কমেছে ৮ দশমিক ৭৮ শতাংশ।

একই সময়ে বিডি কমের দর ৩২ টাকা ৭৫ টাকায় ঠেকেছিল। বর্তমানে দর দাঁড়িয়েছে ৩৪ টাকা ৪০ পয়সা। দর কমেছে ৮ দশমিক ৭৮ শতাংশ।

লেনদেনের বিষয়ে ট্রেজার সিকিউরিটিজের শীর্ষ করকর্তা মোস্তফা মাহবুব উল্লাহ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাজারের বর্তমান অবস্থায় ফান্ড অ্যাক্টিভ হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। যারা শেয়ার বিক্রি করে ক্যাশ করতে পেরেছিলেন, তারা সবাই সাইডলাইনে রয়েছেন, বাজার পর্যবেক্ষণ করছেন। আর যারা ক্যাশ করতে পারেননি, ফ্লোর প্রাইসে বা লোকসানের কারণে আটকে আছেন তাদের থেকে অ্যাক্টিভিটি আসা করা যায় না।’

সূচক বাড়ানোর চেষ্টায় যারা

সবচেয়ে বেশি ১ দশমিক ১৪ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে সোনালী পেপার। এদিন শেয়ারটির দর বেড়েছে ২ দশমিক ৩৮ শতাংশ। বেক্সিমকো সুকুকের দর শূন্য দশমিক ৫৭ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে শূন্য দশমিক ৬৫ পয়েন্ট। পূবালী ব্যাংক সূচকে যোগ করেছে শূন্য দশমিক ৪৫ পয়েন্ট। কোম্পানির দর বেড়েছে শূন্য দশমিক ৪৫ শতাংশ।

এর বাইরে সূচকে পয়েন্ট যোগ করেছে যমুনা অয়েল, পেপার প্রসেসিং, মুন্নু অ্যাগ্রো, কে অ্যান্ড কিউ, জুট স্পিনার্স, সোনালী আঁশ ও বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স। সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ২ দশমিক ৯২ পয়েন্ট।

দরবৃদ্ধির যেমন

যে ১০টি কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে তার মধ্যে সর্বোচ্চ ৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ দর বেড়ে জুট স্পিনার্সের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২১২ টাকা ৬০ পয়সায়, যা আগের দিন ছিল ১৯৭ টাকা ৮০ পয়সায়।

এরপরই ৩ দশমিক ৫৯ শতাংশ বেড়ে মুন্নু অ্যাগ্রোর শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৫৯৯ টাকা ৮০ পয়সায়, যা আগের দিন ছিল ৫৭৯ টাকা। তালিকার তৃতীয় স্থানে ছিল পেপার প্রসেসিং। ৩ দশমিক ১৮ শতাংশ দর বেড়ে শেয়ারটি হাতবদল হয়েছে ১৯৭ টাকা ৭০ পয়সায়। আগের দিনের দর ছিল ১৯১ টাকা ৬০ পয়সা।

এর পর কে অ্যান্ড কিউ এবং সোনালী পেপারের দর বেড়েছে ২ শতাংশের বেশি। এর বাইরে সোনালী আঁশ, পূবালী ব্যাংক, যমুনা অয়েল, বেঙ্গল উইন্ডসর ও বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের দর বেড়েছে ১ শতাংশের কম।

এ বিভাগের আরো খবর