বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে প্রতিদিন আরও ৮০ লাখ ঘনফুট গ্যাস

  •    
  • ২৭ নভেম্বর, ২০২২ ২০:১১

বিয়ানীবাজার গ্যাস ফিল্ডের ১ নম্বর কূপের বিষয়ে এসজিএফএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, ‘বর্তমানে এই কূপের ৩ হাজার ২৫৪ মিটার গভীরে ৭০ বিলিয়ন (৭ হাজার কোটি) ঘনফুটের বেশি গ্যাস মজুত আছে। গ্যাসের চাপ পরীক্ষার পর দেখা গেছে কূপটি প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করতে সক্ষম।’

সোমবার থেকে জাতীয় গ্রিড সঞ্চালন লাইনে যুক্ত হচ্ছে আরও প্রায় ৮০ লাখ (৮ মিলিয়ন) ঘনফুট গ্যাস। সিলেটের বিয়ানীবাজার গ্যাসকেন্দ্রের ১ নম্বর কূপ থেকে এই গ্যাস সঞ্চালন লাইনে যুক্ত হবে। এতে চলমান গ্যাস সংকট কিছুটা কমবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকা বিয়ানীবাজারের ১ নম্বর কূপে গত সেপ্টেম্বরে খননকাজ শুরু করে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)।

সোমবার থেকে এই কূপ থেকে গ্যাস সরবরাহ শুরুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেডের (এসজিএফএল) মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) আব্দুল জলিল প্রামানিক।

তিনি বলেন, ‘রোববার বিকেলে আমরা পরীক্ষামূলক সব কাজ সম্পন্ন করেছি। গ্যাসের চাপ পরীক্ষার কাজ শেষে চূড়ান্ত পর্যায়ে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহের জন্য কারিগরি সব প্রস্ততি সম্পন্ন হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে কাল (সোমবার) সকাল থেকেই এ কূপ থেকে সঞ্চালন লাইনে গ্যাস সরবরাহ শুরু হবে।’

এই কূপ থেকে থেকে প্রতিদিন ৮০ লাখ ঘনফুট গ্যাস গ্রিড লাইনে সরবরাহ করা সম্ভব হবে বলে জানান আব্দুল জলিল প্রামানিক।

বিয়ানীবাজার গ্যাসক্ষেত্রটি সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেডের (এসজিএফএল) আওতাধীন। এই গ্যাসক্ষেত্রের ২ নম্বর কূপ থেকে প্রতিদিন ৭০ লাখ ঘনফুট গ্যাস জাতীয় সঞ্চালন লাইনে সরবরাহ হচ্ছে।

এসজিএফএল সূত্রে জানা গেছে, বিয়ানীবাজার গ্যাস ফিল্ডের ১ নম্বর কূপ থেকে ১৯৯১ সালে গ্যাস তোলা শুরু হয়। ২০১৪ সালে তা বন্ধ হয়ে যায়। ২০১৬ সালে আবার উত্তোলন শুরু হলেও ওই বছরের শেষদিকে আবারও তা বন্ধ হয়ে যায়। ২০১৭ সালের শুরু থেকেই কূপটি পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। পরে বাপেক্স ওই কূপে অনুসন্ধানকাজ চালিয়ে নতুন করে গ্যাসের মজুত পায়।

এরই রাধাবাহিকতায় গত ১০ সেপ্টেম্বর ওই কূপে নতুন করে খননকাজ (ওয়ার্ক ওভার) শুরু হয়। গত ১০ নভেম্বর ওই কূপে গ্যাসের মজুতের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়।

এ অবস্থায় গ্যাসের চাপ পরীক্ষা শেষে কূপ থেকে দ্রুত জাতীয় সঞ্চালন লাইনে গ্যাস দেয়ার প্রস্তুতি নেয়া হয়।

এসজিএফএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, ‘বর্তমানে এই কূপের ৩ হাজার ২৫৪ মিটার গভীরে ৭০ বিলিয়ন (৭ হাজার কোটি) ঘনফুটের বেশি গ্যাস মজুত আছে। গ্যাসের চাপ পরীক্ষার পর দেখা গেছে কূপটি প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করতে সক্ষম। তবে কারিগরি বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে প্রতিদিন ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হবে। এতে দৈনিক ১২৫ থেকে ১৩০ ব্যারেল ঘনীভূত তরল (কনডেন্সড) গ্যাস পাওয়া যাবে বলেও আশা করা হচ্ছে।

দেশে গ্যাস সংকটের সময়ে এ কূপ থেকে জাতীয় সঞ্চালন লাইনে গ্যাস সরবরাহ একটি আনন্দের সংবাদ বলে উল্লেখ করে মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, ‘বিয়ানীবাজার গ্যাস ফিল্ডের ১ নম্বর কূপে গ্যাস পাওয়ার পর আনুষাঙ্গিক কাজ দ্রুত শেষ করে জাতীয় সঞ্চালন লাইনে সরবরাহের জন্য বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে। এর জন্য আমরা সফলভাবে কাজটি দ্রুত করতে পেরেছি। এ ছাড়া বিয়ানীবাজারের বিভিন্ন এলাকায় ত্রিমাত্রিক সিসমিক জরিপ চলছে। সেই জরিপ থেকেও নতুন গ্যাস ফিল্ড পাওয়ার সম্ভাবনা আছে।’

মিজানুর রহমান আরও বলেন, ‘২০২৫ সাল নাগাদ দেশের সব কোম্পানি প্রায় ৪৬টি কূপ খননের মাধ্যমে ৬১৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস বাড়ানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।’

বর্তমানে এসজিএফএল এর আওতায় ৫টি গ্যাসক্ষেত্র আছে। এগুলো হলো- হরিপুর গ্যাস ফিল্ড, রশিদপুর গ্যাস ফিল্ড, ছাতক গ্যাস ফিল্ড, কৈলাশটিলা গ্যাস ফিল্ড ও বিয়ানীবাজার গ্যাস ফিল্ড।

এর মধ্যে ছাতক গ্যাস ফিল্ড পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে। বাকিগুলোর ১২টি কূপ থেকে বর্তমানে প্রতিদিন ৯১ মিলিয়ন (৯ কোটি ১০ লাখ) ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা হচ্ছে।’

এ বিভাগের আরো খবর