রাজধানীতে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত এক তরুণী গৃহবধূর আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে। তার স্বামী দাবি করেছেন, জ্বরের যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে গলায় ফাঁস দেন ২০ বছর বয়সী কবিতা আক্তার।
রোববার দুপুরের দিকে এই ঘটনা ঘটে। তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
কবিতাকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার স্বামী সোহাগ মিয়া। জানান, ছয় মাস আগে বিয়ে করেন তারা। তিন দিন হলো বাবার বাড়ি থেকে ঢাকায় আসেন কবিতা।
‘সে বেশ কয়েকদিন ধরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত। গায়ে প্রচণ্ড জ্বর ছিল। আমি তার জন্য দুপুরে ডাব আনতে যাই। কিছুক্ষণ পর এসে দেখি ঘরের দরজা বন্ধ। ডাকাডাকি করি, কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে জানালা দিয়ে উঁকি দিয়ে দেখি আমার স্ত্রী লোহার অ্যাঙ্গেলে ঝুলে আছে’- ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন সোহাগ।
পরে জানালার ভেতর দিয়ে রড ঢুকিয়ে দরজা খোলা হয়। সরাসরি নিয়ে আসা হয় হাসপাতালে।
সোহাগের গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর উপজেলার কুক্রাই নয়াদি গ্রাম। তিনি খিলগাঁও থানার দক্ষিণ বনশ্রীর মেরাদিয়া বাজারের একটি বাসায় বসবাস করেন। এই বাড়িতেই নিরাপত্তা প্রহরীর কাজ করেন তিনি।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘খিলগাঁও থেকে এক গৃহবধূর ফাঁসিতে আত্মহত্যা করেছেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল মর্গে রাখা হয়েছে বিষয়টি খিলগাঁও থানাকে অবগত করা হয়েছে।’