বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এখন সবাই রিজার্ভ বিশেষজ্ঞ: প্রধানমন্ত্রী

  •    
  • ২৫ নভেম্বর, ২০২২ ১৯:০৯

‘কিছুদিন থেকে শুনলাম আমাদের দেশের সবাই রিজার্ভ সম্পর্কে এবং অর্থনীতি সম্পর্কে ভীষণভাবে পারদর্শী হয়ে গেছে। গ্রামে গ্রামে চায়ের দোকানে রিজার্ভ নিয়ে কথা। সেখানে আমার কথা হচ্ছে জাতির পিতা তো যাত্রা শুরু করেছেন শূন্য রিজার্ভ নিয়ে। তিনি এই দেশটাকে গড়ে তুলেছিলেন।’

একটি দেশের আমদানি নিশ্চিত করতে যে পরিমাণ রিজার্ভ দরকার, বাংলাদেশে তার চেয়ে বেশি আছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই বিষয়টি নিয়ে বেশি চর্চা হচ্ছে বলে মনে করে তিনি খোঁচা দিয়ে বলেছেন, ‘এখন সবাই রিজার্ভ বিশেষজ্ঞ হয়ে গেছে।’

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের পর কেবল বাংলাদেশে নয়, দেশে দেশেই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমছে বলেও জানিয়েছেন সরকার প্রধান। বলেছেন, ব্যাংকে টাকা রাখা নিয়ে গুজব ছড়িয়ে মানুষের টাকাকেই বরং ঝুঁকিতে ফেলা হয়েছে। ব্যাংক থেকে তুলে নিয়ে চোরের হাতে তুলে দেয়ার উপক্রম হয়েছে।

শুক্রবার বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সরকারপন্থি চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ বা স্বাচিপের পঞ্চম জাতীয় সম্মেলনে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

উদ্যানে পৌঁছে বেলুন উড়িয়ে সম্মেলন উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগ প্রধান। সঙ্গে ছিলেন সংগঠনের সভাপতি ইকবাল আর্সলান এবং মহাসচিব এম এ আজিজ। স্বাচিপের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগদান ও আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত হওয়ায় সম্মেলনস্থল রূপ নেয় জনসভায়।

এরপর দীর্ঘ বক্তব্যে তার সরকারের আমলের উন্নয়ন, বর্তমান অর্থনৈতিক সংকট, ক্রমহ্রাসমান রিজার্ভ পরিস্থিতি, ব্যাংকে টাকা রাখা নিয়ে গুজব প্রসঙ্গ, ইউক্রেন যুদ্ধ এবং আমেরিকার বিভিন্ন নীতি নিয়ে বক্তব্য উঠে আসে।

বিদেশি ঋণ নিয়েও আশ্বস্ত করেন শেখ হাসিনা। বলেন, ঋণ পরিশোধের সব পরিকল্পনাই করা আছে। তিনি বলেন, ‘আমরা যত ঋণ নেই, সময় মতো সব পরিশোধ করি। একমাত্র বাংলাদেশ কোনোদিন ডিফল্টার হয়নি। যত সমস্যা হোক, ঋণ বিতরণে এবং ঋণ পরিশোধ সবসময় ধরে রাখি।’

তার সরকারের শাসনামলে দেশের অগ্রগতির কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘আমরা তৃতীয়বারে মতো এখন সরকারে। অন্তত এইটুকু দাবি করতে পারি, এই ১৪ বছরে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে, উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে, আমাদের দেশের মানুষের অর্থনৈতিক উন্নতি হয়েছে।’২০০১ সালে দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের দৃষ্টান্তও তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। বলেন, তার সরকার সবসময় রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা চায়, গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা চায়।

‘প্রয়োজনের চেয়ে বেশিই আছে রিজার্ভ’

এর মধ্যে শেখ হাসিনা সবচেয়ে বেশি কথা বলেন রিজার্ভ নিয়ে। সোয়া এক বছরের মধ্যে রিজার্ভ ১৪ বিলিয়ন কমে ৩৪ বিলিয়নের কোটায় নেমে আসার পর এ নিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর যে আক্রমণ শুরু হয়েছে, তারও জবাব দেন। বলেন, রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়নে তুলেছিল তার সরকারই। এরপর করোনার চিকিৎসা সরঞ্জাম ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বেশি দামে পণ্য কিনতে গিয়ে রিজার্ভ কমেছে।

এই বিষয়টি নিয়ে অতি চর্চা হচ্ছে বলেও মনে করেন সরকার প্রধান। বলেন, ‘কিছুদিন থেকে শুনলাম আমাদের দেশের সবাই রিজার্ভ সম্পর্কে এবং অর্থনীতি সম্পর্কে ভীষণভাবে পারদর্শী হয়ে গেছে। গ্রামে গ্রামে চায়ের দোকানে রিজার্ভ নিয়ে কথা। সেখানে আমার কথা হচ্ছে জাতির পিতা তো যাত্রা শুরু করেছেন শূন্য রিজার্ভ নিয়ে। তিনি এই দেশটাকে গড়ে তুলেছিলেন।’

করোনাকালে আমদানি-রপ্তানি, হুন্ডি, বিদেশ যাওয়া বন্ধ থাকায় দেশের রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয় বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু বিশ্ববাজারে জ্বালানি ও খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে পরে তা কমে।

এখনও যে রিজার্ভ আছে, তা যথেষ্ট জানিয়ে তিনি বলেন, ‘রিজার্ভ রাখা লাগে কীসের জন্য? যদি কোনো দৈব-দুর্বিপাক হয়, আমার তিন মাসের খাবার যেন আমি আমদানি করতে পারি।…আমাদের খরচ হচ্ছে রিজার্ভ। এটাও ঠিক। আমি বলব, আমাদের এখন যে রিজার্ভ তাতে তিন মাস না আমরা পাঁচ মাসের আমদানি করতে পারি এই পরিমাণ অর্থ আমাদের কাছে আছে।’

আমদানি যেন করতে না হয়, সেজন্য দেশের মানুষকে, এক ইঞ্চি জমি ফেলে না রেখে উৎপাদন করার পরামর্শ দিয়েছেন বলেও জানান সরকারপ্রধান। বলেন, ‘নিজেরটা নিজে করে খান, নিজে সাশ্রয় করেন, নিজের খাদ্য নিজে যোগান দেন। আমরা কিন্তু তা করতে পারি। কারণ বাংলাদেশ মানুষ তা পারে।’

রিজার্ভ কমার সমস্যাটা কেবল বাংলাদেশের নয় বলেও জানান শেখ হাসিনা। বলেন, ‘শুধু আমাদের দেশে নয়, পৃথিবীর অনেক দেশেরই রিজার্ভ কমে গেছে। আমরা শ্রীলঙ্কাকে কিছু সহযোগিতা করেছি, আরও অনেক দেশ কিন্তু ওই সহযোগিতার পর আমাকে অনুরোধ করেছে। আমি নাম বলতে চাই না, কিন্তু আমি তাদের কাছে ক্ষমা চেয়েছি যে আমার পক্ষে দেয়া সম্ভব না। কারণ, এখন যেটুকু রিজার্ভ তা আমার দেশের জন্য প্রয়োজন, সেটা আমাকে রাখতে হবে।’

কেন কমেছে রিজার্ভ

এই ব্যাখ্যা প্রধানমন্ত্রী আগেও দিয়েছেন। আবার উল্লেখ করলেন। বলেন, বিশ্ব বাজারে জ্বালানি ও ভোজ্য তেলসহ পণ্যমূল্যের দাম যেমন বেড়েছে, তেমনি পরিবহন ব্যয়ও বেড়েছে। সেই ধাক্কাটা দেশেও লেগেছে।

তিনি বলেন, ‘কোভিড শেষ হলে আমাদের আমদানি বেড়েছে, রপ্তানি বেড়েছে, কাজ বেড়েছে।…এখন খাদ্য কেনা, যত দামই বাড়ুক।

‘ইউক্রেন থেকে আমরা গম কিনি, রাশিয়া থেকে গম কিনি। যুদ্ধকালীন সময়ে পাইনি। কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, কোন কোন জায়গায় পাওয়া যায়, যত বেশি দাম হোক… ২০০ ডলারে যে গম পাওয়া যেত ৬০০ ডলারে আমরা কিনে নিয়ে আসি।

‘ভোজ্য তেলেও একই অবস্থা। সেই ব্রাজিল থেকে শুরু করে পৃথিবীর যে দেশে পাওয়া যায়, যত দাম হোক, আমরা নিয়ে আসছি। মানুষের যেগুলো ভোগ্যপণ্য তার যেন কোনোরকম অসুবিধা না হয়, তার জন্য যথাযথ কাজ আমরা করে যাচ্ছি, মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি।’

ভোগ্যপণ্যের কোনো অসুবিধা হবে না বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘ইউক্রেন থেকে, রাশিয়া থেকে আমরা আমদানি শুরু করেছি। যদিও স্যাংশনের কারণে ডলারে পেমেন্টের অসুবিধে। আমরা বিকল্প ব্যবস্থা কিভাবে করা যায়, তার জন্য ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

করোনার টিকার কথাও উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, ‘শুধু ভ্যাকসিনের মূল্য ধরলে তো হবে না। এর সঙ্গে সিরিঞ্জ কিনতে হয়েছে। আমাদের ইন্ডাস্ট্রি মাত্র এক কোটি সিরিঞ্জ তৈরি করতে পারে। তখন ছোট সিরিঞ্জ পাওয়া যাচ্ছিল না বিদেশে। বলে, একটু বড় সাইজ, পয়সা বেশি লাগবে। আমি বলি, লাগুক, আনতে হবে। যখন যেটা প্রয়োজন হয়েছে সোজা প্লেন পাঠিয়ে কোটি টাকা খরচ করে আমরা কিন্তু নিয়ে এসেছি, মানুষকে ভ্যাকসিন দিয়েছি।

‘ভ্যাকসিন রক্ষণাবেক্ষণ, ফ্রিজার কিনে সংরক্ষণ, পরিবহন ব্যয় গ্রাম থেকে শহরে তা নিয়ে যেতে অর্থ খরচ হয়েছে।’

শুক্রবার বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাচিপের পঞ্চম জাতীয় সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: নিউজবাংলা

বিনা খরচে করোনাপ্রতিরোধী টিকা দেয়ার কথাও স্মরণ করান শেখ হাসিনা। সবাইকে ভাইরাসটির বুস্টার ডোজ নেয়ার আহ্বানও জানান তিনি। চিকিৎসা সেবায় যারা জড়িত তাদের অবশ্যই নিতে হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী মজার ছলে বলেন, ‘যে না নেবে, তাকে ফাইন করব।’

টাকা বাড়িতে রাখলে চোরে নেবে

ব্যাংকে রাখা অনিরাপদ বলে সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানো গুজবে বিশ্বাস করে যারা টাকা তুলে ফেলছেন, তাদেরকে সতর্কও করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘একটা গুজব ছড়াচ্ছে, টাকা ব্যাংকে নাই, টাকা পাবে না। সবাইকে টাকা ব্যাংক থেকে তুলে যাতে ঘরে রাখে।

‘ঘরে টাকা রেখে তো চোরকে সুযোগ করে দেয়া, তাই না? চোরের পোয়াবারো! তারা বেশ ভালোভাবে জানবে ওই বাড়িতে টাকা আছে, যাই চুরি করি। চোরের হাতে তুলে দেবেন নাকি ব্যাংকে টাকা থাকবে, টাকার মালিক যারা তাদের ওপরই নির্ভর করে।’

‘মন্দা তো উন্নত বিশ্বেও, দেশের অর্থনীতি গতিশীল’

বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে বিশ্বের অনেক উন্নত দেশও হিমশিম খাচ্ছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘সেখানে আমি সবাইকে আহ্বান করেছি যেন কৃচ্ছ্র্রতা সাধন করে। সবাইকে একটু সাশ্রয়ী হতে হবে। বিদ্যুৎ, পানি, বা খাদ্য কোনো কিছু যেন অপচয় না হয় সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি দিতে সবাইকে অনুরোধ জানাচ্ছি।’

বাংলাদেশ তুলনামূলক ভালোই আছে বলেও মনে করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা আমাদের অর্থনৈতিক গতিশীলতা বা সক্ষমতা আমরা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছি। যদিও আমাদের বিরুদ্ধে অনেক কথা বলা হয়।

‘খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা…বিশ্বব্যাপী, ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ, তারওপর আমেরিকার স্যাংশন, ইউরোপের স্যাংশন, কাউন্টার স্যাংশন, যার ফলে আজকে প্রতিটি জিনিস আন্তর্জাতিক বাজারে অত্যাধিক মূল্য বৃদ্ধি হয়েছে।’

বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পাওয়ার বিষয়টি সামনে এনে সরকারপ্রধান বলেন, ‘চেষ্টা করে যাচ্ছি আমাদের উন্নয়নের ধারা যাতে অব্যাহত থাকে। সেজন্য আমাদের প্রচেষ্টা আছে। আমরা কিছু অগ্রগতিও পাচ্ছি।’

যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর সমালোচনা

মানবাধিকারের কথা বললেও বঙ্গবন্ধুর সাজাপ্রাপ্ত খুনিকে আশ্রয় দিয়ে রাখা এবং র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞার কথা তুলে যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর সমালোচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার দৃষ্টিতে বিশ্বের এই পরাশক্তির নীতি দ্বিমুখি।

বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমেরিকায় এক খুনি রয়ে গেছে। তাকে বার বার আনার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। যেহেতু তার ফাঁসির আদেশ হয়েছে, আমেরিকা সেই খুনিকে লালন পালন করছে।’

পরক্ষণেই যুক্তরাষ্ট্রের নীতির সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘অবশ্য আমেরিকার কারবারই এ রকম। এখানে যখন একজন ড্রাগ ডিলার, যখন ড্রাগসহ তাকে ধরতে গেছে পুলিশ তাদের ওপর হামলা করেছে, র‌্যাব ধরতে গেছে হামলা করেছে। ১৪টা মামলার আসামি এবং ড্রাগসহ ধরা পড়ে তার গ্রুপ পুলিশের ওপর গুলি করে, র‌্যাবের ওপর গুলি করে, তারপর সেও গুলি খায়, মারা যায়। তার জন্য আমাদের দেশের কিছু লোক বিভিন্ন জায়গায় তদবির করে বেড়ায়।

‘অথচ এই ড্রাগ ডিলারদের খোঁজ আনতে যেয়ে, ধরতে যেয়ে আমাদেরই একজন এয়ার ফোর্সের অফিসার, তাকে ড্রাগ ডিলাররা অপহরণ করে নিয়ে যায়, অত্যন্ত নির্মমভাবে তাকে মারে, হত্যা করে।

‘এ ব্যাপারে তাদের কিন্তু উদ্বেগ নেই, মানবাধিকার সংস্থাগুলোরও উদ্বেগ নেই বা যারা আমাদের ওপর স্যাংশন দেয়, আমেরিকা, তাদেরও কোনো উদ্বেগ নেই, কারও কোনো উদ্বেগ নেই। কেমন একটা অদ্ভুত বিশ্ব পরিস্থিতি, সেটাই আমার অবাক লাগে।’

দেশের উন্নয়নের বর্ণনা

২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর দেশের উন্নয়নে কী কী করেছেন, সে কথা আবারও তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।

বক্তব্যের মাঝে নেতা-কর্মীরা স্লোগান দিলে তাদের থামিয়ে তিনি বলেন, ‘স্লোগানটা একটু পরে। অনেক কথা বলার আছে, একটু বলে রাখি। শুনি, আমরা নাকি কিছুই করিনি। তাই যখন যে সেক্টরে যাচ্ছি, সেই সেক্টরে কী কাজ করেছি, একটু মানুষকে জানানো দরকার।

‘আসলে বাংলাদেশের মানুষ তো, ছয় ঋতুর দেশ। দুই মাস পর ঋতু বদলায়, পাখির ডাক বদলায়, পশু-পাখির কলকাকলি বদলায়, বাতাসের গতি বদলায়, মানুষের মনও বদলায়, আর যা কিছু করি ভুলে যায়। ভুলে যেন না যায়, মাঝে মাঝে একটু স্মরণ করাতে হয়।’

অন্য সব খাতের মতো আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে দেশের স্বাস্থ্যখাতে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘এখন আমরা প্রতিটি বিভাগে একটি করে মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় আমরা প্রতিষ্ঠা করব। ইতিমধ্যে রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও সিলেটে করেছি। পর্যায়ক্রমে প্রতিটি বিভাগে একটি করে মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় আমরা করে দিচ্ছি। প্রতিটি জেলায় আমরা মেডিক্যাল কলেজ করে দিচ্ছি।’

চিকিৎসা সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানান সরকারপ্রধান।

এ বিভাগের আরো খবর