বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশক তৌফিক ইমরোজ খালিদীর বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে হাইকোর্ট।
তার জামিন বাতিল প্রশ্নে জারি করা রুলের শুনানিকালে আদালত এ আদেশ দেয়।
আগামী ১ ডিসেম্বর রায়ের জন্য তারিখ ঠিক করেছে আদালত। ওই দিন পর্যন্ত তার বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেয়।
আদালতে খালিদীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শাহরিয়া কবির। দুদকের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
পরে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জানান, বিডিনিউজের সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদীর জামিন বাতিলের জন্য দুদকের করা রিভিশন আবেদনের শুনানি আজ শেষ হয়েছে। আগামী ১ ডিসম্বর রায়ের জন্য রেখেছে আদালত। এ সময়ের মধ্যে আদালতের অনুমতি ছাড়া খালিদীর বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
বিডিনিউজ সম্পাদকের জামিন কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে ২০২০ সালের ৮ ডিসেম্বর রুল জারি করেছিল হাইকোর্ট। এরপর দীর্ঘদিন ধরে রুলের শুনানি শেষে রায়ের তারিখ ঠিক হয়।২০২০ সালের ২০ অক্টোবর ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ ইমরুল কায়েশ তৌফিক ইমরোজ খালিদীকে জামিন দেয়। তার সেই জামিন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করে দুদক। দুদকের আবেদনের শুনানি নিয়ে রুল জারি করে হাইকোর্ট।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদী এইচএসবিসি ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, সাউথ ইস্ট ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের বিভিন্ন হিসাবে ৪২ কোটি টাকা জমা রেখেছেন, যার বৈধ কোনো উৎস নেই। এই টাকা তিনি প্রতারণার মাধ্যমে ভুয়া কাগজপত্র সৃষ্টি করে অবৈধ প্রক্রিয়ায় অর্জন করেছেন মর্মে তথ্য-উপাত্তে প্রাথমিকভাবে প্রমাণ হয়েছে।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, তৌফিক ইমরোজ খালিদী উক্ত অস্থাবর সম্পদ অসাধু উপায়ে অর্জন করেছেন, যা তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ এবং জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত।
অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে তৌফিক ইমরোজ খালিদী বলেছেন, তার কোনো অবৈধ সম্পদ নেই এবং তিনি সবসময় নিয়ম মেনে চলার চেষ্টা করেছেন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত বিডিনিউজের ৯টি ও তৌফিক ইমরোজ খালিদীর নিজ নামে ১৩টি স্থায়ী আমানতের ৪২ কোটি টাকা অবরুদ্ধ (ফ্রিজ) করে রাখার আদেশ দেয়।
একই বছরের ২৬ নভেম্বর তাকে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। ওই সময় অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে এল আর গ্লোবাল (এলআরজি) অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির সিইও রিয়াজ ইসলামকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।