দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রায় ৩০ লাখ নতুন ভোটার যুক্ত হচ্ছে। তারা এবারই প্রথমবারের মতো নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য উপযুক্ত হয়েছেন। চলতি বছরের ভোটার তালিকা হালনাগাদে তারা ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছেন।
আগামী বছর ২ মার্চ তাদের নাম যুক্ত করে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন।
গত ২০ মে থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত দেশজুড়ে চার ধাপে ভোটারযোগ্য ব্যক্তিদের তথ্য সংগ্রহ চলে। নির্বাচন কমিশনের মাঠ পর্যায় থেকে একিভূত করে পাঠানো তথ্য বিশ্লেষন করে এ বিষয়টি উঠে আসে।
ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় তালিকা থেকে বাদ দিতে মৃতদের তথ্যও সংগ্রহ করা হয়েছে। এবার ভোটার তালিকা হালনাগাদে ১৫-১৭ বছর বয়সী এবং ভোটারযোগ্য বাদ পড়া মিলিয়ে প্রায় ১ কোটি নাগরিকের তথ্য সংগ্রহ করেছে নির্বাচন কমিশন। যার মধ্যে মৃত ভোটারের সংখ্য প্রায় ২০ লাখের মতো।
নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, নতুনদের যুক্ত করে ও মৃতদের বাদ দিয়ে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের সময় ভোটার দাঁড়াবে প্রায় ১১ কোটি ৬০ লাখের মতো। তবে তালিকা চূড়ান্ত হওয়ার পর প্রকৃত ভোটারের সংখ্যা জানা যাবে। সেই তালিকা দিয়েই অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।
আগামী বছরের শেষে কিংবা ২০২৪ সালের শুরুতে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। এক্ষেত্রে আগামী বছরের নভেম্বরের মাঝামাঝিতে তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে।
ইসির কর্মকর্তারা বলছেন, আগামী বছরের ২ জানুয়ারি নতুন ভোটারদের যুক্ত করে খসড়া তালিকা প্রকাশ করবে ইসি। ২ থেকে ১৭ জানুয়ারি সংশোধনীর সময় দেয়া হবে। পরে ২০২৩ সালের ২ মার্চ চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে; তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সংসদীয় আসন অনুযায়ী ৩০০ এলাকার তালিকা প্রস্তুত করছে কমিশন।
এর মধ্যে ২০২৩ সালে প্রায় ৩০ লাখের মতো নতুন যারা ভোটার তালিকাভুক্ত হবেন। তারা দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন। বাকিরা ২০২৪ ও ২০২৫ সালে আঠার বছর বা তার বেশি বয়সী হওয়ার পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে ৭০ লাখের মতো ভোটার যুক্ত হবে।
এদিকে হালনাগাদ চলাকালে রোহিঙ্গাদের ভোটার হওয়ার অভিযোগে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ পাঁচটি এলাকায় মামলা করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানান ইসি কর্মকর্তারা।
সর্বশেষ ২০২২ সালের ২ মার্চ দেশের মোট ভোটারের সংখ্যা ছিল ১১ কোটি ৩২ লাখ ৮৭ হাজার ১০ জন। ভোটার হওয়া প্রক্রিয়া চলমান থাকায় বর্তমানে এখন ভোটার সংখ্যা আরও কয়েক লাখ বেশি রয়েছে।
হালনাগাদে তথ্য সংগ্রহ করা নাগরিকের মধ্যে পুরুষ প্রায় ৫ কোটি ২৮ লাখ এবং নারী প্রায় ৪ কোটি ৯৩ লাখ। এছাড়া আছেন দুই সহস্রাধিক ট্রান্সজেন্ডার নাগরিক।