কুমিল্লায় শনিবার বিএনপির সমাবেশকে ঘিরে পরিবহন ধর্মঘট দিলে সরকারের পতন এক মাস আগেই হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু।
তিনি বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দেশের অর্থনীতির লাইফ লাইন। এই সড়কে পরিবহন ধর্মঘট হবে সরকারের জন্য আত্মঘাতী।
বুধবার বিকেলে কুমিল্লা টাউন হল মাঠ পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। এই মাঠেই হবে বিএনপির সমাবেশ।
নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবি আগায়ে গত ৮ অক্টোবর থেকে প্রতি শনিবার বিভাগীয় সমাবেশ করছে বিএনপি। বিভাগ ছাড়াও সমাবেশ হয়েছে ফরিদপুরে, আগামী শনিবার ডাকা হয়েছে কুমিল্লায়।
চট্টগ্রাম ছাড়া বিএনপির প্রতিটি সমাবেশের সময় বাস ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। কুমিল্লায় এ বিষয়ে কোনো ঘোষণা এখনও না এলেও বিএনপির শঙ্কা, সেখানে একই ঘটনা ঘটবে।
তবে বাস বন্ধ করে কোনো লাভ হবে না জানিয়ে বুলু বলেন, ‘কোনো বাধা মানুষের জোয়ার ঠেকাতে পারেনি, আগামীতেও পারবে না। অন্য বিভাগে নেতারা নির্দেশ দিতে হয়েছে, এখানে আমরা নির্দেশ দেয়ার ১৫দিন আগেই নেতাকর্মীরা কাজ শুরু করেছেন।
‘সরকার যতই উপায় খুঁজে বের করুক কোনো কাজ হবে না। কারণ, বিএনপির সমাবেশ এখন আর বিএনপির নেই। সমাবেশ হয়ে গেছে জনতার। সাধারণ মানুষ তাদের দাবি নিয়ে সমাবেশে যোগ দিচ্ছে।’
শেখ হাসিনা কুমিল্লাকে পছন্দ করেন না বলেও মেঘনা নামে বিভাগ করতে যাচ্ছেন মন্তব্য করে বিএনপি নেতা বলেন, ‘এর প্রতিবাদে আমাদের সমাবেশে ৫ লক্ষ মানুষ বেশি হবে। আমরা ক্ষমতায় এলে মেঘনা বিভাগের নাম পাল্টে কুমিল্লা বিভাগ দেবো।’
দ্রব্যমূল্যে ঊর্ধ্বগতিতে মানুষ দিশাহারা মন্তব্য করে বিএনপি নেতা বলেন, ‘আওয়ামী ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের নিকট মানুষ জিম্মি। দেশের হাজার কোটি টাকা লুট হয়েছে। দুদক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে চুনোপুটি নিয়ে পড়ে আছে।’
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমিন-উর- রশিদ ইয়াছিন, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (কুমিল্লা বিভাগ) মোস্তাক মিয়া, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব জসিম উদ্দিন, মহানগর বিএনপি নেতা কাউসার জামান বাপ্পী, আমিরুজ্জামান আমীর, সারোয়ার জাহান দোলন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক উৎবাতুল বারী আবু, সদস্য সচিব ইউসুফ মোল্লা টিপুও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।