প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমরা জঙ্গিবাদ-মাদক-সন্ত্রাস চাই না। শান্তি-উন্নতি-প্রগতিতে বিশ্বাস করি। আমরা বিশ্বাস করি শিক্ষা-দীক্ষা, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক চর্চায়। আর এসব বিকাশের জন্য সরকার প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে যাবে।’
বুধবার রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২২ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা হচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সময় পেলে খেলা দেখি। কিন্তু আমাদের কোনো অবস্থানই নেই। অবশ্য সাফ, এশিয়ানসহ বিভিন্ন গেমসে ফুটবল-ক্রিকেটে মেয়েরা ভালো করছে। আশা করি, অদূর ভবিষ্যতে আমরাও সুযোগ পাবো। ছেলেরাও ভালো খেলবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার ছয় বছর পর দেশে ফিরতে পেরেছি। উদ্বাস্তু হিসেবে বিদেশে ছিলাম। দেশে ফেরার পর থেকে প্রচেষ্টা ছিল কিভাবে ক্রীড়া জগতের উন্নতি করব। কারণ খেলাধুলা-প্রতিযোগিতা যুব সমাজকে পথ দেখায়।
‘ছোট শিশু-কিশোররা যত বেশি খেলাধুলা করবে তত মন বড় হবে, শরীর ভালো থাকবে। আর এসব প্রতিযোগিতা তাদেরকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করবে। তাদের আত্মশুদ্ধি হবে, সুন্দরভাবে বাঁচবে।
‘এগুলোর জন্য সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা লাগে। তাছাড়া বিকশিত হয় না। সরকার তা করে যাচ্ছে।’
সরকার প্রধান বলেন, ‘আমরা আট বিভাগে আটটি বিকেএসপি করে দিচ্ছি, যাতে সবাই প্রশিক্ষণের সুযোগ পায়। সব জেলায় স্টেডিয়াম করে দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি মিনি স্টেডিয়ামও করে দিচ্ছি। কারণ আমরা চাই ছেলে-মেয়েরা লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলাও করবে।’
প্রাথমিক থেকে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে ছেলে-মেয়েরা নিজেদের যোগ্য করে তুলবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন শেখ হাসিনা।
স্বাধীনতার পরপরই বঙ্গবন্ধু প্রশিক্ষণের জন্য খেলোয়াড়দের জার্মানি, ভারতসহ অন্যান্য দেশে পাঠিয়েছিলেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে দিচ্ছি, যাতে যে যে খেলায় ভালো সে সেই খেলায় পারদর্শী হয়ে উঠতে পারে।’
জাতির পিতার কন্যা বলেন, ‘এমন এক পরিবারে আমার জন্ম যে বাবা, দাদা, দাদার ভাই ফুটবল খেলোয়াড় ছিলেন। দাদা অফিসারস টিমের ক্যাপ্টেন, বাবা ছাত্রদের টিমের ক্যাপ্টেন ছিলেন। তাদের মধ্যে ম্যাচও হয়েছিল।
‘দুই ভাই কামাল ও জামাল স্পোর্টসে জড়িত ছিলেন। কামালের স্ত্রী সুলতানা কামাল খুকু স্পোর্টসম্যান ছিলেন এবং জামালের স্ত্রী পারভীন সুলতানাও স্পোর্টসে ছিলেন।’