বরিশালের বাবুগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে যুবদল নেতা মিলন খানে বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয়া হয়েছে মিলনের সাবেক স্ত্রীকে। আর মিলন আহত অবস্থায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
নিহত মারুফা বেগমের বাবা আইউব আলী মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হত্যা মামলা করেছেন বাবুগঞ্জ থানায়।
ওসি মাহবুবুর রহমান এসব নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, মামলায় মিলন ছাড়াও অজ্ঞাতপরিচয় ৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে মারুফাকে হত্যা ও হত্যায় সহযোগিতার অভিযোগ আনা হয়েছে।
উপজেলার দেহেরগতি ইউনিয়নের রাকুদিয়া গ্রামে সোমবার রাত দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
মিলন এলাকায় রড সিমেন্টের ব্যবসা করেন। তিনি উপজেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক। মারুফা তার দ্বিতীয় স্ত্রী। তাদের দুটি শিশু সন্তান আছে।
মিলনের ভাই সবুজ খান এর আগে জানান, সোমবার রাত দেড়টার দিকে বাসার কলাপসিবল গেট ভেঙে ডাকাতদল প্রবেশ করে। ডাকাতরা বাসায় থাকা আড়াই লাখ টাকা ও তিন ভরি সোনার গয়না লুট করতে গেলে মারুফা বাধা দেয়। তখন তাকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। এসময় মিলনকেও কুপিয়ে আহত করে ডাকাতরা।
ওসি মাহাবুবুর রহমান বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মিলন খান পুলিশের নজরদারিতে রয়েছে।’
পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, ‘পারিবারিক বিরোধ ছিল। এরই জেরে এই ঘটনা ঘটতে পারে। বিষয়টি তদন্ত চলছে।’