বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জি-২০ বৈঠকে বাংলাদেশের সক্রিয় অংশগ্রহণ চায় ভারত

  •    
  • ২১ নভেম্বর, ২০২২ ২০:২২

ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেন, আগামী জি-২০ সম্মেলনের সভাপতি হিসেবে ভারত বিশ্বব্যাপী আলোচনায় পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়গুলোকে উন্নীত করতে চায়। এ জন্য এই বৈঠকে ঢাকার সক্রিয় অংশগ্রহণ আশা করে নয়াদিল্লি। 

শিল্পোন্নত দেশগুলোর জোট জি-২০-এর আগামী বৈঠকে বাংলাদেশের সক্রিয় অংশগ্রহণ আশা করে ভারত।

ঢাকায় দেশটির নতুন হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা সোমবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এ কথা জানান।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এই সাক্ষাৎকালে হাইকমিশনার বলেন, আগামী জি-২০ সম্মেলনের সভাপতি হিসেবে ভারত বিশ্বব্যাপী আলোচনায় পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়গুলোকে উন্নীত করতে চায়। এ জন্য এই বৈঠকে ঢাকার সক্রিয় অংশগ্রহণ আশা করে নয়াদিল্লি।

বাংলাদেশে উষ্ণ অভ্যর্থনার জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান নবনিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে কাজ করা একটি সম্মান ও সুবিধার বিষয়। তিনি দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্ককে আরও জোরদার করার জন্য পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়ে কাজ করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

হাইকমিশনার আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দুই দেশের পরস্পরকে সমর্থনের গুরুত্ব তুলে ধরেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও হাইকমিশনার উভয়েই যোগাযোগ এবং বহু পুরোনো সম্পর্ক জোরদার করতে বাংলাদেশ ও ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মধ্যে সম্পর্ক বাড়ানোর ওপর জোর দেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনের সময় হাইকমিশনারের সাফল্য কামনা করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ভারতকে সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ ও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী হিসেবে বিবেচনা করে। উভয় দেশ ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক বন্ধনের মাধ্যমে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত এবং দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক অভূতপূর্ব উচ্চতায় পৌঁছেছে।

মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতের জনগণ ও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথাও স্মরণ করেন তিনি।

ড. মোমেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের অনুকরণীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিভিন্নভাবে ভারতের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পরিপূরক।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি ‘আঞ্চলিক সংযোগ কেন্দ্র’ হিসেবে অবস্থান করছে। নিকটতম প্রতিবেশী দেশ হওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কল্পনা অনুসারে সংযোগের দৃষ্টিভঙ্গির সুবিধা পেতে পারে ভারত।

ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে আন্তর্জাতিক নিয়ম এবং নিয়মভিত্তিক অবাধ ও ন্যায্য সংযোগের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন ড. মোমেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের সন্ত্রাসবাদ, মৌলবাদ এবং বিদ্রোহের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার পথ প্রশস্ত করেছে।

তিনি সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে কাজ করার আহ্বান জানান।

ড. মোমেন বলেন, মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে আশ্রয় দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ মানবিক কারণে তাদের আশ্রয় দিয়েছে। কিন্তু এখন এটি দেশের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ এবং বড় বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তিনি রোহিঙ্গাদের তাদের দেশ মিয়ানমারে দ্রুত প্রত্যাবাসনে ভারতের সমর্থন চান।

উত্তরে হাইকমিশনার জানান, ভারতও এই সমস্যার একটি গ্রহণযোগ্য সমাধান পেতে আগ্রহী এবং মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের দ্রুত, নিরাপদ, টেকসই ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে কাজ চালিয়ে যাবে।

এ বিভাগের আরো খবর