বিচারিক আদালত থেকে ছিনিয়ে নেয়া দুই জঙ্গিসহ এ ঘটনায় হওয়া মামলার আসামিরা নজরদারিতে রয়েছে জানিয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান হারুন অর রশীদ বলেছেন, তাদের যেকোনো সময় গ্রেপ্তার করা হবে।
ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সোমবার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
ডিবির প্রধান বলেন, ‘আসামিদের ছিনিয়ে নেয়ার পর আমরা অলিগলিতে চেকপোস্ট বসিয়েছি এবং সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করেছি। ডিএমপির প্রতিটি এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরা আমরা পর্যবেক্ষণ করছি।’
তিনি বলেন, ‘এই ঘটনায় মামলা হয়েছে। ২০ জন (নাম উল্লেখ করা) আসামি; অজ্ঞাতনামা আসামিও রয়েছে। আসামিদের শিগগিরই গ্রেপ্তার করা হবে। এই ঘটনার মাস্টারমাইন্ড ছিল (বরখাস্ত মেজর) জিয়া।
‘ঢাকাসহ সারা দেশে ইন্সপেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ (আইজিপি) সতর্কতা জারি করেছেন। সবাই অ্যালার্ট রয়েছি।’
জঙ্গি ছিনতাইয়ের পর ব্যবস্থা প্রসঙ্গে হারুন বলেন, ‘১২ জন জঙ্গির মধ্যে দুইজন ছিনিয়ে নেয়ার পর বাকি ১০ জনকে ১০ দিন করে রিমান্ডে আনা হয়েছে।
‘পলাতক আসামিরা আমাদের নজরদারিতে রয়েছে। তাদের আমরা যেকোনো সময় গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হব।’
রোববারের ঘটনা নিয়ে তিনি বলেন, ‘জঙ্গি আনা-নেয়ার ক্ষেত্রে সবসময়ই প্রটেকশনের ব্যবস্থা করা হয়। কালকের ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত।
‘এখন টহল জোরদার করা হয়েছে। জঙ্গি আনা-নেয়ার ক্ষেত্রেও পুলিশ প্রটেকশন পর্যাপ্ত রয়েছে।’
জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ফয়সল আরেফীন দীপন হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামি মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে ইমরান এবং আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব রোববার দুপুর ১২টার দিকে পুলিশের চোখ-মুখে গ্যাস স্প্রে করে পালিয়ে যান। দুজনই আনসার আল ইসলামের সদস্য।
এ ঘটনায় হওয়া মামলার তদন্তভার কোতোয়ালি থানা থেকে সিটিটিসিতে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল এলাকা থেকে দুই জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় আদালতে দায়িত্বরত পাঁচ পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিবির প্রধান হারুন অর রশীদ।