বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভারত থেকে আগামী বছর পাইপলাইনে তেল আসবে: প্রধানমন্ত্রী

  •    
  • ২০ নভেম্বর, ২০২২ ১৬:৪৩

আঞ্চলিক সহযোগিতার ওপরও গুরুত্বারোপ করে শেখ হাসিনা বলেন, প্রতিবেশী নেপাল, ভুটান এবং ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসাম ও ত্রিপুরা পরিবহন সুবিধা নিতে চট্টগ্রাম বিমান ও সমুদ্রবন্দর এবং সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবহার করতে পারে।

ভারত থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে আগামী বছর জ্বালানি তেল আমদানি শুরু হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আসাম বিধানসভার স্পিকার বিশ্বজিৎ দাইমারির নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল রোববার সকালে গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে প্রধানমন্ত্রী এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর ৩২ বিধায়কের প্রতিনিধিদলটি বাংলাদেশ সফর করছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ পাইপলাইনের মাধ্যমে ভারত থেকে তেল আমদানি করতে চায়। আশা করছি আগামী বছর তা শুরু করা যাবে।’

বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

যে পাইপলাইনে জ্বালানি তেল আসবে তার দৈর্ঘ্য ১৩০ কিলোমিটার। ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন (আইবিএফপিএল) প্রকল্পের লক্ষ্যই হলো ভারত থেকে বাংলাদেশে তেল পণ্য রপ্তানি করা।

করোনাকালে বন্ধ হয়ে যাওয়া দুই দেশের সীমান্ত হাটগুলো পুনরায় চালু করা হবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশ সফরে আসা আসামের প্রতিনিধি দলকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ সবসময়ই প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায়।

ভারতের সঙ্গে ছিটমহল বিনিময়ের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুই প্রতিবেশী দেশ আলোচনার মাধ্যমে অনেক বিরোধের সমাধান করেছে।

আঞ্চলিক সহযোগিতার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, প্রতিবেশী নেপাল, ভুটান এবং ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসাম ও ত্রিপুরা পরিবহন সুবিধা নিতে চট্টগ্রাম বিমান ও সমুদ্র বন্দর এবং সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবহার করতে পারে।

১৯৬৫ সালে যুদ্ধের সময় বন্ধ হয়ে যাওয়া কানেক্টিভিটি রুটের উল্লেখ করে তিনি বলেন, রুটগুলো পর্যায়ক্রমে চালু করা হচ্ছে।

এ সময় ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা ও উদ্বাস্তুদের আশ্রয় দেয়ায় ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য এবং পশ্চিমবঙ্গের অবদানের কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন বঙ্গবন্ধু-কন্যা।

আসাম বিধানসভার স্পিকার বলেন, বাংলাদেশ সফরে তাদের খুব ভালো অভিজ্ঞতা হয়েছে এবং প্রতিবেশী দেশের সহযোগিতায় আসামের জনগণ উপকৃত হবে। এই অঞ্চলে ব্যবসা-বাণিজ্যের পাশাপাশি জনগণের পারস্পরিক যোগাযোগ জোরদারের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন প্রতিনিধিরা।

বিশ্বজিৎ দাইমারি বলেন, আসাম বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে কৃষি খাতে সহযোগিতা চায়। কারণ এ খাতে বাংলাদেশের ব্যাপক অভিজ্ঞতা রয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়ায় ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে এখন শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের প্রশংসা করে প্রতিনিধি দল।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর