বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কামারখন্দে আ.লীগ-বিএনপি-পুলিশের সংঘর্ষে আহত ২০

  •    
  • ১৮ নভেম্বর, ২০২২ ২১:৪৪

আহতদের মধ্যে আছেন সাবেক সংসদ সদস্য রুমানা মাহমুদ, জেলার সহকারী পুলিশ সুপার (কামারখন্দ সার্কেল) আদনান মুস্তাফিজ ও কামারখন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরন্নবী প্রধান।

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও পুলিশের সংঘর্ষে পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে।

জামতৈল রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় শুক্রবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

আহতদের মধ্যে আছেন সাবেক সংসদ সদস্য রুমানা মাহমুদ, জেলার সহকারী পুলিশ সুপার (কামারখন্দ সার্কেল) আদনান মুস্তাফিজ ও কামারখন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরন্নবী প্রধান। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু বলেন, ‘আগামী ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীর জনসভা সফল করতে কামারখন্দে দলীয় কার্যালয়ে আমরা আলোচনা সভা করি। সেখানে কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দা আসিফা আশরাফী পাপিয়া, জেলা বিএনপির সভানেত্রী রুমানা মাহমুদ ছিলেন।

‘সভা শেষে দলীয় কার্যালয় থেকে বের হয়ে আমরা রেলওয়ে স্টেশনে এলে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় তারা সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপির সভাপতি রুমানা মাহমুদের গাড়ি ও বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। আমরা প্রতিরোধ করতে গেলে পুলিশ আমাদের ওপর গুলি চালায়। এতে রুমানা মাহমুদ ও আমিসহ অন্তত ১০ জন নেতা-কর্মী আহত হই।’

কামারখন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন শেখ বলেন, ‘বিএনপির অভিযোগ সঠিক নয়। বরং তাদের মধ্যেই গ্রুপিং রয়েছে। দুই গ্রুপে দ্বন্দ্বের এক পর্যায়ে স্টেশন এলাকায় আওয়ামী লীগের ৬-৭ জন নেতাকর্মীর ওপর তারা হামলা চালিয়ে আহত করে।’

কামারখন্দ থানার ওসি নুরন্নবী প্রধান বলেন, ‘ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনার সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে যায়। এ সময় বিএনপির নেতা-কর্মীরা হামলা চালায়। বাধ্য হয়ে গুলি চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়।’

সিরাজগঞ্জ সহকারী পুলিশ সুপার (কামারখন্দ সার্কেল) আদনান মুস্তাফিজ বলেন, ‘বিএনপি তাদের প্রোগ্রাম শেষ করে জামতৈল স্টেশন এলাকায় দোকান-পাট ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর শুরু করে। বাঁধা দিতে গেলে তারা পুলিশের উপর ইট-পাটকেল ও লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করে।

‘তাদের হাতে ধারাল অস্ত্রও ছিল। তাদের হামলায় আমি ও থানার ওসিসহ ৬ পুলিশ সদস্য আহত হই। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর