জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত গোপালগঞ্জের পাঁচুড়িয়া খাল মধুমতি নদীর সঙ্গে ৬৩ বছর পর যৌবন ফিরে পেতে যাচ্ছে। জেলা প্রশাসন বৃহস্পতিবার ওই খালের পুনঃসংযোগ কাজের উদ্বোধন করেছে। মধুমতি নদীর সঙ্গে এটির সংযোগ স্থাপন করা হবে।
জেলা প্রশাসক (ডিসি) শাহিদা সুলতানা বলেন, ‘এটা বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত পাঁচুড়িয়া খাল। দীর্ঘদিন ধরে পানি প্রবাহ বন্ধ ছিল। এই খাল দিয়ে বঙ্গবন্ধু এখানে যে লঞ্চঘাট ছিল, সেখানে নামতেন। স্মৃতিটা আস্তে আস্তে মানুষের স্মৃতি থেকে চলে যাচ্ছিল। আমরা অনেকদিন ধরে চেষ্টা করছিলাম এ খালটি উন্মুক্ত করতে।
‘দীর্ঘ ১ মাস ১৬ দিন কাজ করার পর আজকে আমরা সফল হলাম। এখানে দীর্ঘদিন ধরে বসতি স্থাপন করেছিলেন- তাদের একটা বড় সহযোগিতা আছে। তারা নিজেদের মতো করে জায়গাগুলো থেকে স্থাপনা সরিয়ে নিয়েছেন। সব মানুষের স্বপ্ন ছিল ১৯৫৯ এর মতো এই খাল দিয়ে মানুষ নৌপথে চলাচল করবে, এটি যাতে ফিরে আসে- প্রত্যেকের একটি আন্তরিক প্রচেষ্টা ছিল।’
খালের মুখ উন্মুক্ত করার খবরে স্থানীয়রা সেখানে ভিড় জমান। খাল প্রবাহ ফিরবে জেনে তারা আনন্দিত।
জেলা শহরের পাচুড়িয়া এলাকার খোরশেদ আলম বলেন, ‘এত বছর খালের মুখটি বন্ধ থাকায় পানি চলাচল বন্ধ ছিল। পানি পঁচে গিয়ে গন্ধ ছড়াতো। আমরা যারা খালপাড়ের বাসিন্দা তাদের অশেষ দূর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।
‘এখন খালের পানি অনায়াসেই নদীতে গিয়ে পড়বে এবং নদীর পানি খালে প্রবেশ করতে পারবে। এতে খালের পানি দুষিত হতে পারবে না।’
স্থানীয় মাসুদুর রহমান বলেন, ‘এখন নৌ চলাচল সহজ হবে। মধুমতি নদী থেকে নৌকায় করে টুঙ্গিপাড়া চলে যাওয়া যাবে। পণ্য পরিবহনেও এলাকার মানুষ সুবিধা পাবে।’
পৌর মেয়র শেখ মো. রকিব হোসেন বলেন, ‘এই খালের স্বপ্ন জাতির পিতার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারও ছিল। আমি যখন উনার সঙ্গে কথা বলি, উনার কথাই ছিল- আমার বাবা নৌকায় করে এই পাঁচুড়িয়া খালে চলতেন। তিনি পাঁচুড়িয়া খালটাকে মধুমতি নদী ও বর্ণির বাওড়ের সঙ্গে সংযোগ করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন।’