বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঐক্যবদ্ধ জনগণকে ভয় পেয়ে সরকার সমাবেশে বাধা দিচ্ছে: মোশাররফ

  •    
  • ১৭ নভেম্বর, ২০২২ ২০:৪০

খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘সরকারকে হটানোই বিএনপির মূল চ্যালেঞ্জ। এ লক্ষ্যে আগামী দিনের আন্দোলন-সংগ্রামে ছাত্রসমাজকে ব্যাপকভাবে ভূমিকা রাখতে হবে। স্বৈরাচার আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে সরাতে হলে ছাত্রদলকে সামনের কাতারে থেকে ভূমিকা রাখতে হবে।’

‘বিদ্যুতের লোডশেডিং, জ্বালানি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ‌আর সরকারের অপশাসনে জনগণ অতিষ্ঠ। এই সরকারের হাত থেকে রক্ষা পেতে তারা আজ ঐক্যবদ্ধ। ইতোমধ্যে বিএনপির সমাবেশগুলোতে তার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে। আর সরকার ভয় পেয়ে বিএনপির সমাবেশে বাধা দিচ্ছে।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বৃহস্পতিবার জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আয়োজিত উন্মুক্ত আলোচনায় এসব কথা বলেন।

৭ নভেম্বর ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘সরকারকে হটানোই মূল চ্যালেঞ্জ। এ লক্ষ্যে বিএনপির আগামী দিনের আন্দোলন-সংগ্রামে ছাত্রসমাজকে ব্যাপকভাবে ভূমিকা রাখতে হবে। স্বৈরাচার আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে সরাতে হলে ছাত্রদলকে সামনের কাতারে থেকে ভূমিকা রাখতে হবে। তাহলেই দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের মধ্য দিয়ে খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন। তারেক রহমান দেশে ফিরতে পারবেন।

‘আওয়ামী লীগের নেতারা যেখানে ব্যর্থ জিয়াউর রহমান সেখানেই সফল। ৭ নভেম্বরকে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার বিতর্কিত করছে। অথচ সেই দিনটি বাংলাদেশের সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থার জন্য একটি টার্নিং পয়েন্ট। ৭ নভেম্বর সিপাহি-জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আকাঙক্ষা পুনরুদ্ধার হয়েছিল।

‘৭ নভেম্বর মুক্তিযুদ্ধের ধারাবাহিকতার ফসল। কিন্তু আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করে জিয়াউর রহমানের অবদানকে অস্বীকার করতে চায়। সে জন্য তারা ৭ নভেম্বরকে পছন্দ করে না।’

বিএনপির এই বর্ষীয়ান নেতা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দিনের ভোট রাতে ডাকাতি করে ক্ষমতায় আছে। এ জন্যই সরকার জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও বিএনপিকে ভয় পায়।'

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে। চাপাবাজি করে দেশ পরিচালনা করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছে। তারা গণতন্ত্র হত্যা ও অর্থনীতি ধ্বংস করেছে। তাদের লুটপাটের কারণে দেশে ডলার সংকট দেখা দিয়েছে।’

ছাত্রদলের পূর্বঘোষিত এই সমাবেশ বেলা ২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল থেকেই খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা নয়াপল্টনে আসতে থাকেন। রাজধানীর বিভিন্ন ইউনিটের পাশাপাশি ঢাকার আশপাশের জেলা থেকেও সংগঠনের নেতা-কর্মীরা জড়ো হন।

সমাবেশ ঘিরে নয়াপল্টনের একটি সড়ক বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শান্তিনগর, কাকরাইল মোড়, পুরানা পল্টন, বিজয়নগর, দৈনিক বাংলা ও ফকিরাপুল এলাকায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। নয়াপল্টন ও আশপাশের এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ছিল।

ছাত্রদল সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলের পরিচালনায় উন্মুক্ত আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপি নেতা মো. আবদুস সালাম, আমান উল্লাহ আমান, ফজলুল হক মিলন, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, মীর শরফত আলী সপু, আজিজুল বারী হেলাল, শহিদুল ইসলাম বাবুল, রফিকুল আলম মজনু, আমিনুল হক, রাজিব আহসান, ফজলুর রহমান খোকন, প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন, ছাত্রদলের রাশেদ ইকবাল খান, তানজিল হাসান, তবিবুর রহমান সাগর, মাহবুব মিয়া, রাকিবুল ইসলাম রাকিব, আবু আফসান মো. ইয়াহিয়াসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা।

এ বিভাগের আরো খবর