বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সিলেটে ইজতেমা: সমাবেশের আগে ধর্মঘট দেখছে না বিএনপি

  •    
  • ১৭ নভেম্বর, ২০২২ ১০:২৯

শ্রমিক নেতা মো. মইনুল ইসলাম বলেন, ‘ইজতেমার পক্ষে তো আমরাও। এটি ধর্মীয় কর্মসূচি। এই কর্মসূচিতে কোনো বাধা আসলে আমরাই প্রতিহত করব। এই সময়ে ধর্মঘট ডাকার প্রশ্নই আসে না। এছাড়া শ্রমিকরা কোন রাজনৈতিক দলের কর্মসূচিতেও বাধা দিতে চায় না। তাই আমরা ধর্মঘটের পক্ষে নই।’

দেশের ছয়টি অঞ্চলে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের আগের দিন পরিবহন ধর্মঘট দেখা গেছে। তবে ব্যতিক্রম সিলেট। বিএনপির সমাবেশের আগের দিন জেলাটিতে ইজতেমা ঘোষণা হওয়ায় সেদিন ধর্মঘট ডাকছেন না পরিবহন নেতারা। পুলিশের দাবি, ধর্মীয় অনুষ্ঠানের ফায়দা নিচ্ছে বিএনপি।

বিএনপির সমাবেশের আগের দিন শুক্রবার সিলেটে ইজতেমার আয়োজনের ঘোষণা দেয় আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ নামের একটি সংগঠন। আয়োজকরা প্রথমে ১১ ও ১২ নভেম্বর নগরের সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে ইজতেমার ঘোষণা দিলেও হঠাৎই বদল করে সময়। ১২ নভেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে আয়োজকরা জানান, ১৭ ও ১৮ নভেম্বর ইজতেমার আয়োজন করা হবে।

সিলেট মহানগর পুলিশের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিউজবাংলাকে জানান, ইজতেমা থেকে বিএনপির ফায়দা নেয়ার বিষয়টি গোয়েন্দা প্রতিবেদনেও উঠে এসেছে। তাই ইজতেমা বিএনপির সমাবেশের পরে করার জন্য মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয় আয়োজকদের।

তবে পুলিশের এমন অনুরোধ উপেক্ষা করে এক দিন আগে বুধবার সকাল থেকেই ইজতেমা শুরু করেন আয়োজকরা। এরপর সন্ধ্যায় ইজতেমার আয়োজকদের নিয়ে বৈঠকে বসেন সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনার নিশারুল আরিফসহ সিলেটের আওয়ামী লীগ নেতারা।

বৈঠকে শুক্রবার সকাল ১০টার মধ্যে ইজতেমা শেষ করার সিদ্ধান্ত হয় জানিয়ে মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (গণমাধ্যম) সুদীপ দাস বলেন, ‘শুক্রবার সকাল ১০টার মধ্যে ইজতেমা শেষ করতে আয়োজকরা সম্মত হয়েছেন। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে তাদের আগে কার্যক্রম শেষ করার অনুরোধ করা হয়ছে।’

ইজতেমার আয়োজক সংগঠন আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা শাব্বীর আহমদ ফতেহপুরী বলেন, ‘মাদ্রাসা মাঠে বিএনপির সমাবেশ থাকায় আমরা নির্ধারিত তারিখে ও স্থানে ইজতেমার আয়োজন করতে পারিনি। আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলাম কোনো রাজনৈতিক দল নয়। ফলে কারো সমাবেশে সহায়তা করাও আমাদের কাজ নয়।’

সিলেট জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. মইনুল ইসলাম জানান, সিলেটের পরিবহন শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে মঙ্গলবার ঢাকায় বৈঠক করেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য শাজাহান খান। এই সভায় ১৭, ১৮ ও ১৯ নভেম্বর সিলেটে ধর্মঘট ডাকার ব্যাপারে আলোচনা হয়। তবে ইজতেমার বিষয়টি উল্লেখ করে ধর্মীয় অনুভূতির কারণে ধর্মঘট আহ্বানে আপত্তি জানান পরিবহন শ্রমিক নেতারা।

এ প্রসঙ্গে বুধবার রাতে মইনুল ইসলাম জানান, ‘ইজতেমার পক্ষে তো আমরাও। এটি ধর্মীয় কর্মসূচি। এই কর্মসূচিতে কোনো বাধা আসলে আমরাই প্রতিহত করব। এই সময়ে ধর্মঘট ডাকার প্রশ্নই আসে না। এছাড়া শ্রমিকরা কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মসূচিতেও বাধা দিতে চায় না। তাই আমরা ধর্মঘটের পক্ষে নই।’

এদিকে বিএনপির সমাবেশের আগে পরিবহন ধর্মঘট না ডাকলেও ইজতেমা শেষ হওয়ামাত্রই সমাবেশের দিন ধর্মঘট ঘোষণা করেছেন পরিবহন নেতারা। সিলেটে জেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হক পলাশ বুধবার রাতে বলেন, ‘শনিবার সকাল ৬টা থেকে পরদিন সকাল ৬টা পর্যন্ত আমরা বাস ধর্মঘটের ডাক দিয়েছি। তবে এই ধর্মঘটের সঙ্গে বিএনপির সমাবেশের কোনো যোগসূত্র নেই। এটি আমাদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি।’

তবে সমাবেশের দিনে ডাকা ধর্মঘটে সমাবেশে কোনো প্রভাব পড়বে না জানিয়ে বিএনপি নেতারা বলছেন, শনিবারের আগেই নেতাকর্মীরা সিলেটে পৌঁছে যাবেন। শহরে তাদের থাকারও ব্যবস্থা করা হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে দলটির স্থানীয় এক নেতা বলেন, ‘শুক্রবার ইজতেমা শেষ হয়ে যাওয়ায় শনিবার ধর্মঘট ডাকা হতে পারে এমনটি আমাদেরও ধারণা ছিল। তাই বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে শুক্রবার রাতের জন্য সিলেট নগরের কমিউনিটি সেন্টারগুলো ভাড়া নেয়া হয়েছে। যাতে আগের দিন নেতাকর্মীরা এসে রাতে থাকতে পারেন।’

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদসহ বিভিন্ন ইস্যুতে এর আগে চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা, রংপুর, বরিশাল ও ফরিদুপরে সমাবেশ করেছে বিএনপি।

এ বিভাগের আরো খবর