ঢাকার সাভারে মাইগ্রেশনের দাবিতে একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে।
আশুলিয়ার নরসিংহপুরে নাইটিংগেল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ রুহুল কুদ্দুস রুমিকে বুধবার সকাল ১১টার দিকে তার কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে শিক্ষার্থীরা বাইরে এসে অবস্থান কর্মসূচি পালন শুরু করেন।
কলেজটির শিক্ষার্থী ইমরান খান ইমন জানান, মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ আমাদের মিথ্যা আশ্বাস ও আদালতের কিছু কাগজপত্র দেখিয়ে ভর্তি করায় প্রথম বর্ষে বিএমডিসি রেজিস্ট্রেশন এনে দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু তারা এখনো রেজিস্ট্রেশন এনে দিতে পারেনি। কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থা সংক্রান্ত সব সুযোগ-সুবিধা থেকেও তাদের বঞ্চিত করেছে।
তিনি বলেন, ‘এ মেডিক্যাল কলেজ থেকে স্বাস্থ্যশিক্ষা–সম্পর্কিত পরিপূর্ণ জ্ঞান অর্জন আদৌ সম্ভব নয়। শিক্ষার্থীদের অন্যত্র মাইগ্রেশনের ব্যবস্থা করার জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, সচিব এবং স্বাস্থ্য ও শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর আবেদন করেছিলাম। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কলেজ কর্তৃপক্ষও একটি রিট করে আমাদের মাইগ্রেশন বন্ধ করে দেয়। আমরা দ্রুত পদক্ষেপ চাই। যেন আমাদের শিক্ষাজীবনে আলো ফিরে আসে। তাই আজ আন্দোলনের অংশ হিসেবে আমরা প্রিন্সিপাল স্যারকে অবরুদ্ধ করে রেখেছি। আমাদের কোনো ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত তিনি অবরুদ্ধ থাকবেন।’
ভুক্তভোগী আরেক শিক্ষার্থী আরিফুর ইসলাম বলেন, ‘জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত ভর্তি বিজ্ঞপ্তি দেখে এই মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হতে আসি। তখন কলেজ কর্তৃপক্ষ আমাদের জানায়, কলেজের অভ্যন্তরীণ কিছু সমস্যার কারণে ২০১৬ সালের তাদের পূর্ববর্তী শিক্ষার্থীরা মাইগ্রেশন করে অন্যত্র চলে গেছেন। ২০১৭ সালে আমাদের প্রথম ব্যাচ ধরে কলেজের সব কার্যক্রম নতুনভাবে শুরু করবে।
‘ক্লাস শুরুর পর প্রথম বর্ষ কোনো সমস্যা ছাড়া কাটলেও দ্বিতীয় বর্ষে জানতে পারি, এই কলেজের বিএমডিসি রেজিস্ট্রেশন নেই। এমনকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রেশনও তখন ছিল না। অন্যথায় ৪৫জন শিক্ষার্থীর ভবিষ্যতের পাশাপাশি ৪৫টি পরিবারের ভবিষ্যতও অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে।’
মেডিক্যাল কলেজটির অবরুদ্ধ অধ্যক্ষ রুহুল কুদ্দুস রুমি বলেন, ‘পাঁচদিন হলো প্রিন্সিপালের দ্বায়িত্ব পেয়েছি। আগে এখানে প্যাথলোজির দ্বায়িত্বে ছিলাম৷ রিটের একটি বিষয়ে সব কিছু আটকে আছে। আমাদের এমডি স্যার এ বিষয়ে কথা বলবেন। শিক্ষার্থীরা তার সঙ্গে কথা বলেছেন, তারাই ভালো জানেন। তবে তিনি আসবেন কি না জানি না।’
এদিকে যে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মেডিক্যাল কলেজটির বাইরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত রয়েছেন।