বিএনপিকে জনগণের কাছে ক্ষমা চাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাাহঙ্গীর কবির নানক।
বেগম খালেদা জিয়ার কাছে ক্ষমা চাইতে আওয়ামী লীগকে বিএনপি নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল পরামর্শ দেয়ার পর দিন মঙ্গলবার ক্ষমতাসীন দলের নেতা এই কথা বললেন।
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দলের জাতীয় সম্মেলন এবং মহিলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি মঞ্চ ও সাজসজ্জা উপ-কমিটির পক্ষ থেকে পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন নানক।
আগামী ২৫ নভেম্বর মহিলা আওয়ামী লীগ এবং ২৪ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন হবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে।
২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বিএনপির আন্দোলনে সহিংসতার কথা তুলে ধরে আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘তারা আন্দোলনের নামে বাস পুড়িয়েছে, বাসের ভেতর যাত্রীকে জীবন্ত পুড়িয়েছে, রেললাইন উপড়ে ফেলেছে, রেল স্টেশন জ্বালিয়ে দিয়েছে, তাণ্ডব চালিয়েছে। যে মানবতা তারা লঙ্ঘন করেছে, তার জন্য তাদের জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত।’
সরকারের মানবিক বোধ বলতে কিছু নেই বলে বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যেরও জবাব দেন নানক। বলেন, ‘এটি মনে হয় ভূতের মুখে রাম নাম। যারা মানবতাকে ভুলণ্ঠিত করেছে, পদদলিত করেছে, যাদের প্রতিষ্ঠাতা সামরিক জান্তা জিয়াউর রহমান এবং যারা ক্ষমতায় এসে একাত্তরের পরাজিত জামায়াতকে নিয়ে রাজনীতি করেছেন। তারা এই দেশে মায়ের সামনে মেয়েকে ধর্ষণ করেছে, ভাইয়ের সামনে বোনকে ধর্ষণ করেছে, হাত কেটেছে পা কেটেছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমুন্নত মানুষের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিয়েছে। তারা মানবতাবোধের কথা বলছেন, আমার মনে হয় তাদেরকে মানবতার শিক্ষা নেয়া দরকার।’
আগের দিন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ করে বিএনপি নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ‘এত কেন ভয়? চালাতেই যদি না পারেন তাহলে রাতের অন্ধকারে খালেদা জিয়ার কাছে গিয়ে মাফ চান। তাকে বলুন, অনেক অন্যায় করেছি মাফ করে দেন এবং দেশের সমস্যা সমাধানের জন্য আসুন একসঙ্গে কাজ করি।’
নানক কথা বলেন ১০ ডিসেম্বর রাজধানীতে বিএনপির সমাবেশ নিয়েও, যে কর্মসূচিকে ঘিরে বিএনপি আগেভাগে উৎফুল্ল। একাধিক নেতা দাবি করেছেন, সেদিন থেকে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে চলবে দেশ।
নানক বলেন, ‘বিএনপি ১০ ডিসেম্বরকে কেন্দ্র কবে যে শব্দবোমা নিক্ষেপ করছে, এই শব্দবোমায় আওয়ামী লীগ আতঙ্কিত না।’
আওয়ামী লীগের ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম কৃকসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।